আমাদের মগজের সবকটা চেম্বারে ছবির এসব ক্যান্সার স্থায়ীভাবে গেঁথে দেয় ওরা। অপসংস্কৃতির সুনামিতে ভাসিয়ে নেয় অনাদিকাল ধরে চলে আসা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। সীমান্তের কাঁটাতারে আমাদের ঝুলিয়ে পৈশাচিক আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। আসমান সমান অসম বাণিজ্যের থাবায় সূতিকাগারে মৃত্যু ঘটায় আমাদের অর্থনীতির অবকাঠামো। নিজেদের পোষ্য পুতুলকে ক্ষমতায় বসিয়ে কেড়ে নেয়ে আমাদের ভোট দেয়ার অধিকার। নিজেদের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ৪র্থ গাই গরু হিসাবে ব্যবহার করে আমাদের। এবং বিনিময়ে আশা করে ওদের আনন্দে আমরা আনন্দিত হবো, ওরা কাঁদলে আমরা কাঁদবো। কারণ ৭১'এ ওরা যে আমাদের স্বাধীন করে দিয়েছিল।
ইসরায়েল নামের পৈশাচিক দানব তাদের অধীনস্থ অসহায় প্যালেস্টাইনে পশু-পাখি শিকারের মত ধ্বংস করছে বাড়িঘর, মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে স্কুল,ল, কলেজ হাসপাতাল। দেড় মাসে হত্যা করেছে ১৫ হাজার সাধারণ মানুষ যার ৫ হাজারই হচ্ছে শিশু। এমনকি সদ্য জন্ম নেয়া শিশুকে ইঙ্কুবেটরে খুন করছে। এবং তাদেরও জাস্টিফিকেশনে আছে গেল সহস্রাব্দির মধ্যভাগে ইউরোপে ঘটে যাওয়া হলোকষ্ট। ৬০ লাখ ইহুদিকে খুন করেছিল ইউরোপিয়ান সাদারা। ইসরায়েল তার দস্যুবৃত্তির সব অন্যায় ধুয়ে মুছে ফেলতে চায় প্রায় ৮০ বছর আগে ঘটে যাওয়া গণহত্যার দোহাই দিয়ে।
একই ন্যারেটিভ কি আমাদের প্রতিবেশীদের বেলায়ও প্রযোজ্য নয়? ওরা আমাদের ভাতে মারবে পানিতে পারবে, গলায় ঝুলিয়ে দেবে শেখ হাসিনা নামের এক দৈত্য এবং তারপরও ওদের কান্নায় আমাদের কাঁদতে হবে কারণ ৭১'এ ওরা আমাদের স্বাধীন করেছিল!
চঞ্চল চৌদ্রিদের জন্ম এ দেশে হলেও ওদের সবকিছু ঐ দেশে। এবং একক ইসরায়েলের মতই এদের অরিজিনও অবিভক্ত ভারতে। আজ যদি চৌদ্রিদের প্রভু আমাদের ভূমির দখল নেয়, এরাই ভারত মাতা কি জয় শ্লোগান দিয়ে আগিয়ে আসবে।
চঞ্চল চৌদ্রি আমাদের সমস্যা না, এ হচ্ছে আবর্জনার ভাগারে সামান্য একখন্ড আবর্জনা মাত্র। আমাদের আসল সমস্যা অন্য জায়গায়, যার গোড়া বছরের পর বছর ধরে মাটির অনেক গভীরে ঢুকে গেছে।