অপরাধ / দূর্নীতি / শাস্তি
এ মুহূর্তে কোন বিষয়টা আপনাকে বেশি ভাবাচ্ছে? আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা, বেনজীরের নজিরবিহীন লুটাপাট, ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশের ভরাডুবি, না-কি এসব কিছুই না?
কোন কিছু আপনাকে চিন্তিত না করলে আপনি একদিকে পৃথিবীর সবচাইতে ভাগ্যবান ব্যক্তি, অন্যদিকে গোবর মস্তিস্কের একজন হদ্দ ছাগল।
চলুন হাতে কিছুটা সময় নিয়ে উত্তর আমেরিকার দেশ কলোম্বিয়া হতে ঘুরে আসি।
কোন দেশই এখন দূরের দেশ না। একদিকে সোশ্যাল মিডিয়া, পাশাপাশি ভ্রমণ পিপাসুদের বাধনহীন ভ্রমণ ছোট করে ফেলেছে আমাদের পৃথিবী। তাই কলোম্বিয়া ভ্রমণকে লম্বা করবোনা।
আমার মত যারা মার্কিন গায়ক ব্রুস স্প্রীঙ্কস্টিনের ভক্ত তাদের জানা থাকার কথা গায়কের একটা নিক নেইম আছে। হ্যাঁ, বস নামেও তিনি পরিচিত। বস শব্দটা সামনে আসলে কেন জানি এই গায়কের নামটা প্রথম সামনে আসে। হতে পারে এক ধরণের এডিকশন।
দারুণ কিছু সময় পার করছি, যার বিস্তারিত চাইলেও এখানে প্রকাশ করতে পারছিনা। আদালতের কড়া নির্দেশ ট্রায়াল শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেইসের "ক"ও প্রকাশ করা যাবেনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
মৃত্যু একটি অবধারিত বাস্তবতা। এ হতে পালানোর উপায় নেই। আমি, আপনি, খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনাও এর বাইরে নন। সংকটময় অবস্থায় বিদেশে উড়িয়ে নিয়ে চিকিৎসা করানো বাংলাদেশে নতুন না। বিশেষকরে রাজনৈতিক অঙ্গনে এ বাস্তবতা একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচন-কালীন সময় আমি অনেক লেখায় উল্লেখ করেছিলাম সময় আসবে যখন তখনকার রানিং প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড জন ট্রাম্পকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে জেলের ভাত খেতে হবে। এ নিয়ে অনেকে ঠাট্টা মশকরা করেছিলেন। আমেরিকান বিচার ব্যবস্থাকে বাংলাদেশী লেভেলে নামিয়ে এনে টিটকারি করেছিলেন। ম্যাসেজ ফর দেম!
বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে প্রাক্তন একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জেলে যাওয়া কোন ঘটনা না। এসব দেশকে খবরের তুঙ্গে রাখতে স্থানীয় সংবাদই যথেষ্ট। এই যেমন আরাভ খান ও তার দুবাইস্থ জুয়েলারি দোকানে ৪৫ কোটি টাকার স্বর্ণের বাজপাখি। একজন খুনি দেশটার আইন ও ব্যবস্থাকে ম্যানেজ করে নিজের জেলটার্ম তৃতীয় একজনকে দিয়ে খাটায় এবং নিরাপদে প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে গিয়ে নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হয়। পরিবর্তীতে দুবাইকে গিয়ে ফেঁদে বসে এমন এক ব্যবসা যা কোন সাধারণ বাংলাদেশির জন্যে আকাশ কুসুম কল্পনা কেবল। স্বৈরতান্ত্রিক লুটেরা দেশের এসব ঘটনায় আমরা কেন নতুন করে অবাক হই তা বুঝার মগজ আমার নেই।
ক্রিকেট তারকা সাকিব হাল হাসানকে কি আমরা কি অমরত্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছি, যেমনটা নিয়ে গেছি রাজনীতিবিদ শেখ মুজিবকে?
হুম! কাকে কে কোথায় নিয়ে যাবে পছন্দ নিজেদের। সবই ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ফ্রীডম অব স্পীচের অংশ।
একই জেলখানায় যখন একটা দেশের ৩ প্রেসিডেন্ট 'মেহমান' হয়ে আসেন তখন ঐ জেলখানার ফেইসভ্যালু কতটা বেড়ে যায় তা অনুধাবন করতে আমাদের ইমাজিনেশনকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে। চলুন আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশে ঘুরে আসি যেখানে এমনটা ঘটেছে। দক্ষিন আমেরিকার দেশ পেরুতে এমনটাই ঘটেছে গেল শুক্রবার।
খণ্ড খণ্ড কিছু ঘটনা, কিছু খবর, কিছু তথ্য ও বাস্তবতা এক সূতায় গাথার চেষ্টা করলে ঘোলাটে হলেও একটা ছবি দাঁড় করানো যাবে। আসুন সে চেষ্টাটাই করি।
খুনের ৪৮ ঘণ্টার ভেতর কালপ্রিটদের জনসম্মুখে হাজির করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।
৪৮ ঘণ্টা কেন, একে একে ৪৮ দিন, ৪৮ মাস পেরিয়ে গেল। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ৪৮ বছরেও উৎঘাটিত হবেনা এ হত্যা রহস্য।
কিন্তু কেন? কি এমন ঘটনা ঘটেছিল সেদিন, অথবা কে এমন শক্তিশালী খুনি যাকে ১০ বছরেও ট্রেস করা যায়নি?