অসুবিধাটা কোথায়!
আমাদের সংস্কৃতিও এক জায়গায় আটকে নেই। নীরবে নিঃশব্দে এর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সামনে আরও হবে। আমি যখন স্কুলে পড়তাম চৈত্রের শেষে চৈত্র সংক্রান্তি, বৈশাখের শুরুতে হালখাতা, নবান্নের উৎসব, এসবই ছিল বাংলা বর্ষবরণের সংস্কৃতি...
আমাদের সংস্কৃতিও এক জায়গায় আটকে নেই। নীরবে নিঃশব্দে এর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সামনে আরও হবে। আমি যখন স্কুলে পড়তাম চৈত্রের শেষে চৈত্র সংক্রান্তি, বৈশাখের শুরুতে হালখাতা, নবান্নের উৎসব, এসবই ছিল বাংলা বর্ষবরণের সংস্কৃতি...
পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যাক্তি ইলান মাস্ক এবার নজর দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটারের দিকে। ইতিমধ্যে এই কোম্পানির ৯% স্টক ক্রয় করার মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদে যোগ দিয়েছেন। আরও ঘোষণা দিয়েছেন, ৪৩ বিলিয়ন ডলার দিয়ে গোটা কোম্পানিকে ক্রয় করার জন্যে তৈরি হচ্ছেন। তা সম্ভব হলে টুটারকে তিনি পাব্লিক হতে প্রাইভেট কোম্পানিতে পরিণত করবেন। এবং তার নিয়ন্ত্রণে টুইটারে কাউকে ব্যান করা হবেনা।
রাশিয়া আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। চাওয়া পাওয়ার সমীকরণ মেলাতে গেলে এই দেশের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার পাল্লাটাই ভারি হবে। ফুল স্কলারশীপ, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী, বাধভাঙ্গা উপভোগের যৌবন, প্রথম প্রেম, প্রথম সেক্স সহ আরও অনেক কিছু যা বাংলাদেশের মত রক্ষণশীল দেশে স্বপ্ন মনে হবে। ঢাকা বিমানবন্দর হতে যেদিন এরোফ্লটের ফ্লাইটে পা রাখি আমার পকেটে কানাকড়িও ছিলনা। সেই আমি ইউরোপের বিভিন্ন গলিতে ঘুরে বেড়িয়াছে পকেটের স্বাস্থ্য চলনসই পর্যায়ে রেখে।
'ক্যান্সেল কালচার' অর্থাৎ বাতিল সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। অভিযোগ করেছেন পশ্চিমা দেশগুলো রুশদের হিসাবের খাতা হতে মুছে ফেলেছে। বিশ্বখ্যাত রুশ মিউজিসিয়ান চাইকোভস্কি, রখমানিনভ, সেস্তাকোভিচদের সৃষ্টিকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। প্রাসঙ্গিক-ভাবে তুলে এনেছেন হ্যারি পোর্টার লেখক জে কে রোলিং'এর নাম। জেন্ডার ডিমান্ড মিট করতে না পারায় ঐ লেখককে যেমন বাতিলের খাতায় নাম লিখিয়েছিল, তেমনি নাকি রুশদের সাহিত্য কর্মও নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।
অনেকটা এনক্লেভের মত যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্য। এক্সট্রিম উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত এই অংশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের কোন সীমান্ত নেই। পূব দিকে কানাডার ব্রিটিশ কলোম্বিয়া ও ইউকন টেরিটরি। পশ্চিমে বেরিং ও চুকচি সাগর পার হয়ে রাশিয়া। হ্যাঁ, রাশিয়ার সাথেও আমেরিকার সীমান্ত আছে, তবে তা মেরিটাইম সীমান্ত।
আলাস্কা যুক্তরাষ্ট্রের সবচাইতে বড় অঙ্গরাজ্য। আয়তনে ২য়, ৩য় ও ৪র্থ স্থানে অবস্থিত যথাক্রমে টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া ও মন্টানার সম্মিলিত আয়তনের চাইতেও বড়। রাজধানী জুনিয়াও আয়তনের বিবেচনায় আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। প্রথম বৃহত্তম শহর হচ্ছে আলাস্কারই প্রাক্তন রাজধানী সিটকা।
মারিওপোল নামের শহরে আমার যাওয়া হয়নি। ২২৭ কিলোমিটার দূরের জাপোরঝিয়ে শহর দিয়ে শুরু হয়েছিল আমার সোভিয়েত যাত্রা। একই স্কুলের পাবলোকিসকাস নামের শহরতলির ছোট ও আইসোলেটেড ভাষা স্কুলে রুশ ভাষার প্রথম হাতেখড়ি। ডাউন-টাউন এলাকার ট্রাফিক জ্যাম, ব্যস্ত দোকানপাট ও রেস্টুরেন্ট নিয়ে আর দশটা ইউরোপিয়ান শহরের মতই ছিল এ শহরের জীবন। দিনেপ্রর নদীর উপর মনোরম হাইড্রোলিক বাঁধ দেখতে ইউরোপের অনেক দেশের মানুষ পৃথিবীর এ প্রান্তে ভিড় জমায়। ইউরোপের অন্যতম বড় নিউক্লিয়ার পাওয়ার স্টেশন ধারে কাছে যাওয়ার সুযোগ হয়নি কারণ সোভিয়েত শাসন ব্যবস্থায় ওসব জায়গায় বিদেশীদের যাওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
রুশদের ইউক্রেইন অভিযানের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে দেশটার আমৃত্যু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এমন একটা অভিযোগ আনছেন যা এক অর্থে অশ্রুত ও অবিশ্বাস্য। তিনি বলছেন, প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেইন আক্রমণের অন্যতম কারণ হচ্ছে ডি-নাজিফিকেশন করা। অর্থাৎ, ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জালিনস্কি হচ্ছেন হিটলারের উত্তরসূরি নব্য নাৎসি এবং তাদের মিশন হচ্ছে তা নির্মূল করা।
স্তেলার সাথে পরিচয়টা ছিল অনেকটা প্রি-এরেঞ্জেড। আমার রুমমেট আন্দ্রেই শনিবার ক্লাসে যাওয়ার আগেই বলে রেখেছিল সন্ধ্যায় যেন কোথাও না যাই। তার সাথে একটা অপরিচিত জায়গায় যেতে হবে। নিজের সেরাটা প্রকাশ করার প্রস্তুতি নিয়েই যেন তৈরি থাকি এমন একটা তাগাদাও ছিল।
আন্দ্রেই সেন্ট পিটার্সবার্গে নতুন। এসেছে প্রশান্ত মহাসাগরের রাশান দ্বীপ সাখালিন হতে। বড় শহরে আসার আগে সে কোনদিন বিদেশীর সাথে কথা বলা দূরে থাক, সামনে হতেও দেখেনি। আমি নাকি প্রথম এবং তা-ও আবার রুম-মেট হিসাবে।
কথাটা বোধহয় রুশ লেখক আন্তন চেখভ'এর..In a human being everything should be beautiful: the face, the clothes, the soul, the thoughts. . . .
রাশিয়া সুপার পাওয়ার। অন্তত এমনটাই আমরা জেনে এসেছি। চেখভের সংজ্ঞা আমলে নিলে মনুষ্য সংজ্ঞার মত সুপার পাওয়ারের সংজ্ঞায়ও সবকিছু সুপার হওয়া বাঞ্ছনীয়। জলে, স্থলী অন্তরীক্ষে থাকা চাই একচেটিয়া প্রাধান্য। ঘরে বাইরে থাকবে অবিভক্ত ও অবিচ্ছিন্ন সমর্থন।
১৯৪১ সালের ২২শে জুন হিটলার বাহিনী সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করে। এরও আগে হিটলার যখন পূর্ব পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আগ্রাসন চালিয়ে নিজেদের দখলে আনছিলেন কুখ্যাত সোভিয়েত কসাই জোসেফ ভিসানিওরোভিচ স্তালিন হিটলারের সাথে আলাদা চুক্তি করে নিশ্চিত করেছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের নিরাপত্তা। কিন্তু হায়, সময় ক্ষেপণে