আমাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা

একটি দেশের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা নানাভাবেই প্রকাশ পায়। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বিভিন্ন সময়ে এর পরিচয় ও দৃষ্টান্ত দেখা গেছে। দুঃখের বিষয় রাজনীতির অতীত ইতিহাস থেকে আমাদের রাজনীতিবিদরা খুব কম শিৰাই গ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রের অন্যান্য শাখায় যাদের অবস্থান তারাও অতীত অভিজ্ঞতা মনে রেখে নিজেদের সংশোধন করেছেন বলে মনে হয় না। রাজনীতি কেবল রাজনীতিবিদদের নিয়েই বিবর্তিত হয় না। তার সঙ্গে জড়িত আরো অনেকেই, পরোৰ হোক কিংবা প্রত্যৰ। কেউই বলতে পারবে না যে, রাজনীতির সুস্থতা এবং উন্নতির জন্য নিজের পৰ থেকে উলেস্নখযোগ্য কিছু করা হয়েছে।

আমাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার প্রথম প্রকাশ ঘটে স্বাধীনতার পর যখন একটা জাতীয় সরকার গঠন না করে আওয়ামী লীগ নিজ দলের সদস্যদের নিয়ে সরকার গঠন করে। তারা নির্বাচিত হয়েছিল সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের পটভূমিতে, স্বাধীন বাংলাদেশের কথা ভেবে নয়। সুতরাং ১৯৭১-এর ডিসেম্বরের পর একটি জাতীয় সরকার গঠিত হলে নতুন সার্বভৌম দেশে দেশ গড়ার যে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছিল তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন হতে পারতো। সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরকারের বিষয়ে 'ওনারশিপ' বা মালিকানাবোধ থাকতো দল নির্বিশেষে রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে। এটা হয়নি বলেই পরিত্যক্ত সম্পত্তি, গাড়ি এসব নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন অনেকে। কেউ কেউ চোরাকারবার এবং স্মাগলিংয়ে জড়িয়ে পড়েন যার ফলে বঙ্গবন্ধুকে জরম্নরি অবস্থা ঘোষণা করতে হয়। আওয়ামী লীগের সেই প্রথম শাসনকালে কোন ধরনের সরকার দেশের জন্য উপযুক্ত এ নিয়ে পরীৰা-নিরীৰা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু একবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, একবার রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, আবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু এই সময়ের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার সবচেয়ে বড় প্রমাণ পাওয়া গেছে যখন সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় সরকারের প্রবর্তন করা হয়। যে রাজনৈতিক দল অতীতে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে সেই দলের এই হঠকারিতা শুধু দুঃখজনক ছিল না, ছিল ভীষণ উদ্বেগের বিষয়। কেননা এর মধ্যে স্বৈরতন্ত্রের বীজ সুপ্ত ছিল।

১৯৭৫-এর শোচনীয় হত্যাযজ্ঞের পর রাজনীতির পালাবদল হয় এবং বেশ কয়েক বছর সামরিক শাসনের পর রাজনৈতিক তৎপরতা আবার শুরম্ন হয়। এই সময়ে ততকালীন সামরিক শাসক এবং রাষ্ট্রপতি জামায়াতে ইসলামকে রাজনৈতিক স্বীকৃতি দেন এবং সংবিধানের চার সত্দম্ভের একটি ধর্মনিরপেৰতাকে বাদ দিয়ে সংবিধান সংশোধনের যে প্রক্রিয়া শুরু করেন তা ভবিষ্যতে বিভিন্ন সরকার অব্যাহত রেখেছে। এক হিসাবে দেখা যায় যে, আমেরিকা ২০০ বছরে তাদের সংবিধান সংশোধন করেছে ২৭ বার আর আমরা ৩৬ বছরে সংশোধন করেছি ১২ বার। অদূর ভবিষ্যতে আরো সংশোধন করা হবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। দেশের সার্বরিক স্বার্থে নয়, দলীয় কিংবা কোনো বিশেষ ব্যক্তির স্বার্থে আমাদের সংবিধান বারবার (সংখ্যার দিক দিয়েও বলা যায়) সংশোধন করা হয়েছে। রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার এও এক দৃষ্টান্ত।

রাজনৈতিক দলগুলো ৰমতায় গিয়ে বিরোধী দলকে তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দেয়নি যার জন্য তারা সংসদের অধিবেশন বয়কট করেছে মাসের পর মাস। ক্ষতাসীন দলের স্বৈরাচারিতার জন্য বিরোধী দল বার বার হরতাল-অবরোধ ডেকে জনজীবন অসহ্য করে তুলেছে। দেশ পরিচালনায় সরকারের পাশাপাশি যে বিরোধী দলেরও ভূমিকা আছে এটা ভুলেই থেকেছে যখন যে দল ৰমতায় গেছে। অপরদিকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠনকালে ৰমতাসীন দলের মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী সংসদকে যে ৰমতা দেয়া প্রয়োজন এবং সংসদের কাছে যেভাবে দায়বদ্ধ থাকা উচিত তার ব্যত্যয় ঘটেছে। একদিকে বয়কট অন্যদিকে সংসদকে রাবারস্ট্যাম্প বানিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে প্রহসন করা হয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলো ৰমতায় থেকে ৰমতার অপব্যবহার করে দলীয় এবং ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এত উদগ্রীব ও অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছিলেন যে, ছলে-বলে-কৌশলে নির্বাচনে জয়ী হওয়া তাদের কাছে অপরিহার্য মনে হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে তারা নির্বাচন কমিশন, আদালকে প্রভাবান্বিত করেছেন এবং দলীয় সমর্থকদের নিয়োগ দিয়েছেন। প্রশাসনকে একই উদ্দেশ্যে দলীয়করণ করেছেন। এসবই রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার লৰণ এবং রাজনীতিবিদদের অবিমৃষ্যকারিতার প্রমাণ। রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার সবচেয়ে জাজ্বল্যমান দৃষ্টানত্দ হলো নির্বাচনের আগে তিন মাসের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান সংবিধানের অনত্দর্ভুক্ত করা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যত ভাল দৃষ্টানত্দ থাক না কেন এটি একটি অনির্বাচিত সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যই যে এমন সরকারের নিধান রাখতে হলো এটি দেউলিয়াপনাকে নগ্ন করে দেখিয়ে দিয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলো ৰমতায় আসাকে এতটাই গুরম্নত্বপূর্ণ মনে করে যে, এর জন্য নীতি বিসর্জন দিয়ে মতাদর্শগতভাবে ভিন্ন এমন দলের সঙ্গেও জোট বাঁধতে ইতসত্দতঃ করেনি। এ নিয়ে একটি দল অন্য দলকে সমালোচনা করলেও নিজেরাও ভবিষ্যতে একইভাবে জোট বেঁধেছে। এইসব জোট যদি কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে হতো তাহলে খুব একটা সমালোচনা করা যেত না। কিছু কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম বা নূ্যনতম সাধারণ কর্মসূচি নয়, ৰমতায় যাওয়ার লিঞ্ঝা এবং তাড়না থেকেই এসব জোট বাঁধা হয়েছে। প্রকৃতপৰে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি বলে স্পষ্ট কোনো ম্যানিফেস্টো ছিল না। থাকলেও সেসব কাগজেই থেকে গেছে। সব সরকারই ৰমতায় এসে চলমান কর্মসূচিকে সামনে নিয়ে গেছে, নতুন কিছু করেনি। করলেও তা হয়েছে কসমেটিক ধরনের। একমাত্র জেনারেল এরশাদ প্রেসিডেন্ট হয়ে ৰমতার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য এক ঐতিহাসিক পদৰেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও পরবতীতে রাজনীতিবিদদের স্বার্থরৰা করে তাদের সমর্থন লাভের আশায় সেই কর্মসূচি বাতিল করে দেন। যার জন্য বিপুল উতসাহে সূচনা করা হলেও বিকেন্দ্রীকরণ তার লক্ষে পৌঁছাতে পারেনি। সেই ব্যর্থতার দায়ভার রাজনীতিবিদদেরই নিতে হবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের পতনের পর তিনটি সরকার ৰমতায় এসেছে। কিন্তু কোনোটি বিকেন্দ্রীকরণের মতো গুরম্নত্বপূর্ণ বিষযের প্রতি তেমন মনোযোগ দেয়নি।

রাজনীতিতে দলের ভূমিকা খুব গুরম্নত্বপূর্ণ। পুরাতন দলগুলো তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারে না বলেই নতুন দলের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিকট অতীতে গণফোরাম, বিকল্পধারা এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির আবির্ভাব হয়েছে যেমন হয়েছে জাতীয় পার্টির খন্ড-বিখন্ড হওয়া। কিন্তু দুঃখের বিষয় কোনো দলই নতুন মুখ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে পারেনি এবং তাদের সদস্যসংখ্যাও নগণ্য হয়ে থেকেছে। অনেকে ভেবেছিল ড. কামাল হোসেনের মতো অথবা ডা. বদরম্নদ্দোজা চৌধুরীর মতো খ্যাতনামা ব্যক্তি তাদের দলে নতুন-পুরাতন বেশ অনেককে আনতে পারবেন, যা দেখে দলের ভবিষ্যত সম্বন্ধে আশাবাদী হওয়া যেতে পারে। কিন্তু বাসত্দবে তা হয়নি। তারা যেসব সদস্য নিয়ে দল শুরম্ন করেছিলেন তার বেশি সদস্যসংখ্যা বাড়েনি। বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৰমতায় আসার পর নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তিনি দেশের স্বার্থে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবেন সেই সময় দেশের অনেকেই উৎফুলস্ন হয়েছিল। কেননা ড. ইউনূস শুধু পণ্ডিত ব্যক্তি নন তিনি একজন জনদরদীও বটে। বিশেষ করে দরিদ্র-বান্ধব হিসেবে তার সুখ্যাতি বহু বিসত্দৃত এবং সুবিদিত। তার ভাবমূর্তি এমন ছিল যে, সহজেই তিনি অনেক নতুন রাজনীতিবিদ উপহার দিতে পারতেন। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি যখন ঘোষণা দিলেন যে, যারা তার পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তারা না আসায় তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। তার এই সিদ্ধানত্দে দেশের অনেকেই হতাশ হয়েছিল। কেউ কেউ ৰুব্ধ হয়ে এও বলেছে, তিনি এত তাড়াতাড়ি ধৈর্য হারালেন কেন? কেউ প্রতিশ্রম্নতি অনুযায়ী পাশে এসে না দাঁড়ালে না দাঁড়ালো, তিনি কি কখনই নতুন মুখ আকর্ষণের ৰমতা রাখেন না? মনে হয় ড. ইউনূস অন্যের উপর বেশি নির্ভর করেছিলেন। ভেবেছিলেন তাকে সাংগঠনিকভাবে খুব একটা সময় বা শ্রম দিতে হবে না। যখন এটা হলো না তিনি ধৈর্য হারিয়ে ফেললেন। যে ব্যক্তি একাই গ্রামীণ ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানকে সারাদেশে শুধু নয় পৃথিবীর বহু স্থানে ছড়িয়ে দিয়েছেন, তিনি ইচ্ছা করলে মনের মতো একটা রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারবেন না এবং সমমনাদের নিজ দলে আনতে পারবেন না এটা বিশ্বাস করা যায় না। তার রাজনীতিতে আসাকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলো সুনজরে দেখেনি। কেননা তারা বুঝতে পেরেছিল যে, তিনি দল গঠন করলে সেই দল তাদের জন্য এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে এবং অনেকেই তৃতীয় পথের সন্ধানে তার কাছেই চলে যাবে। তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়ে তাদেরকে স্বসত্দির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ দিয়েছেন। ড. ইউনূসের দল হতে পারতো বাংলাদেশে রাজনীতির নতুন সুস্থ ধারা। এটাই ছিল নতুন দল নিয়ে আত্মপ্রকাশের সুবর্ণ সুযোগ। এই সুযোগ না নিয়ে দেশকে বঞ্চিত করলেন এ কথা বলতেই হয়। নির্বাচনের এখনো বেশ কয়েক মাস বাকি। তিনি কি আবার ফিরে আসতে পারেন না, গঠন করতে পারে না একটি নতুন দল? এর জন্য দরকার হলে একটি স্বাৰর অভিযান শুরম্ন করা যেতে পারে। সুধী মহলকে এই বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দিতে অনুরোধ জানাই। দেশ এখন এমন ক্রানত্দিকালের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে যে, চুপ করে বসে থাকার উপায় নেই। দেউলিয়াপূর্ণ রাজনীতি থেকে বাঁচার জন্য চাই নতুন দল। ড. ইউনূস পারেন সেই দল উপহার দিতে।

পুরাতন রাজনৈতিক দলও দেশবাসীর সেবায় এগিয়ে আসতে পারে। তাদের ভূমিকাকেও খাটো করে দেখার উপায় নেই। অনেক ত্যাগ-তিতিৰার মধ্য দিয়ে তারা এই পর্যনত্দ এসেছে। কিন্তু গত ৩৭ বছর (আওয়ামী লীগের জন্য) এবং ২৫ বছর (বিএনপির জন্য) দলের ভেতর যেসব জঞ্জাল জমেছে তা পরিষ্কার করতে হবে। দুর্নীতিবাজ ও গডফাদারদের বহিষ্কার করতে হবে। এসবের জন্য প্রয়োজন আমূল সংস্কার। এই সংস্কার নিজেদের স্বার্থে দলগুলোকে স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে করতে হবে, সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন কি বলছে তার জন্য অপেৰা করলে চলবে না। দুঃখের বিষয় দলগুলো এইদিকে কোনো মনোযোগই দেয়নি। কিছুদিন সংস্কারপন্থিদের কথা শোনা গিয়েছিল। এখন তাও শোনা যাচ্ছে না। বরং পুরাতন নেতৃত্ব ছাড়া তারা নির্বাচন করবে না এমন ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। পুরাতন কোনো দলেই নতুন মুখের আবির্ভাব হয়নি। পুরাতন শীর্ষ নেতাদের অনেকেই জেলে বিচারের অপেৰায় আছেন। তাদের স্থান পূরণ করার জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় পুরাতন শীর্ষ দুই নেতার উপর চরম নির্ভরশীলতা। তারা দুইজনই অভিজ্ঞ ও দলের সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন। ক্ষমতায় এসে ভাল-মন্দ মিলিয়ে সরকারও পরিচালনা করেছেন। কিন্তু তারা ছাড়া দল চলতে পারে না কোনো অবস্থাতেই এই মানসিকতার মধ্যে যে পরিবর্তনবিমুখতা এবং চরম নির্ভরশীলতা তা রাজনৈতিক দেউলিয়াপনারই আরেকটি দৃষ্টান্ত। দুইটি প্রধান দলেই যে দ্বিতীয় কেউ শীর্ষ নেতা হবার মতো গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। এটি দলের অভ্যনত্দরীণ গণতন্ত্রের চর্চায় অনত্দঃসারশূন্যতা প্রমাণ করে। এ ধরনের মানসিকতা রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে না। এর অর্থ হলো আগের মতো হানাহানি, সহিংসতা এবং অস্থিরতার রাজনীতি। এ দেশের নাগরিকরা কী এরচেয়ে ভাল কিছু আশা করতে পারে না?

হাসনাত আবদুল হাই[লেখক : কথাশিল্পী ও সাবেক সচিব]
মে ৩১, ২০০৮, শনিবার

http://www.ittefaq.com/content/2008/05/31/news0445.htm