ঘটনা ২০১৮ সালের। কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাব্লিকানদের ভরাডুবির আশংকা গ্রাস করে নিয়েছে ট্রাম সমর্থকদের। খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প এন্টি ইমিগ্রান্ট বিষেদগার ছড়িয়ে তার সমর্থকদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন। প্রতিদান হিসাবে তার সমর্থকরাও রাস্তায় নেমে আসছে। এবং সচরাচর যা করে তাই করছে। হাতে অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় ভিন্ন রঙ ও চেহারার যাকেই পাচ্ছে তাকেই হেনস্তা করছে। পরিচয় জানতে চাইছে এবং এ দেশে প্রবেশে তার লিগ্যাল ষ্টেটাস চ্যালেঞ্জ করছে। আমার প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্য আরিজোনায় এর প্রকোপ ছিল মহামারীর মত। এই অংগরাজ্য অনেক বছর ধরেই লাল। অর্থাৎ রিপাব্লিকানদের দখলে। কেবল প্রেসিডেন্টই নন, কংগ্রেসের দুই চেম্বারের নির্বাচনেও রিপাব্লিকানদের জয়জয়কার।
Navajo (নাভাখো) Nation আরিজোনা, ইউটা ও নিউ মেক্সিকোর সীমান্তে বিস্তৃত আদিবাসী আমেরিকানদের সার্বভৌম জাতিসত্ত্বা। কংগ্রেসের সাথে বিশেষ চুক্তির মাধ্যমে আদিবাসীরা তাদের সার্বভৌমত্ব উপভোগ করেছে। ফেডারেল সরকারকে ট্যাক্স দেয়া ছাড়া আর কোন মার্কিন আইন মানতে তার বাধ্য নয়। আরিজোনার ও নিউ মেক্সিকোর রয়েছে মেক্সিকোর সাথে বিশাল সীমান্ত। এই দুই অঙ্গরাজ্যে ইমিগ্রেশন সমস্যাও অনেক। মেক্সিকানরা রাতের অন্ধকারে এই দুই প্রদেশের সীমান্ত দিয়েই এ দেশে প্রবেশ করে। আরিজোনা অঙ্গরাজ্যে অবৈধ ইমিগ্রেন্ট সমস্যা ভোটের ফলাফলে সব সময় প্রধান্য বিস্তার করে থাকে। নিউ মেক্সিকোর আইন অবশ্য ভিন্ন। এ অংগরাজ্যের সরকার অবৈধ মেক্সিকান অভিবাসীদের ওয়ালকাম করে বৈধ হওয়ার সহায়তা দিয়ে থাকে।
২০১৮ সালের এক সকালে স্বসস্ত্র ট্রাম্প সমর্থকরা আরিজোনার রাজপথে দেখতে অন্যরকম যাকে পাচ্ছে তাকেই আটকাচ্ছে। অপদস্থ করছে। গায়ে হাত দিচ্ছে। এ অঙ্গরাজ্যের নাভাখো নেশনের কংগ্রেস সদস্য Eric Descheenie'কে সামনে পেয়ে তাকেও থামায়। অস্ত্র উচিয়ে তার ইমিগ্রেশন ষ্ট্যাটাস প্রমান করার জন্যে চেপে ধরে। একজন আদিবাসী আমেরিকানের ইমিগ্রশন ষ্ট্যাটাস! ব্যপারটা ব্যপক কৌতুহলের সৃষ্টি করে মিডিয়ায়। একদল অমানুষ কতটা অশিক্ষিত ও উন্মাদ হলে আমেরিকার আসল মালিকদের রাস্তায় আটকে তাদের এ দেশে বসবাসের বৈধতা প্রমাণ করতে চায় তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। এ ঘটনা আবারও প্রমাণ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকাকে বিভক্ত করে ঘরে ঘরে কতটা ঘৃণার জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন। অনেকেই আশংকা প্রকাশ করছেন, ব্যাক্তি ট্রাম্পের পরাজয় হলেও ট্রাম্পইজমের পরাজয় হয়নি।