ভরদুপুরে কলিং বেলের আওয়াজ পেয়ে একটু বিচলিত হলাম। আজ রোববার, কাউকে দাওয়াত দেইনি, কেউ আসার কোন পূর্ব পরিকল্পনাও নেই। তাহলে অসময়ে কে এলো?
যা ভেবেছিলাম তাই, নির্বাচনী প্রচারণা। মধ্যবয়সী খুবই আকর্ষণীয়া এক মহিলা হাতে কিছু কাগজপত্র নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে নক করছেন।
আমার নাম ধরেই স্বাগত জানালেন। অবাক হলাম না অপরিচিত কারও মুখে নিজের নাম শুনে। হয়ত পার্টি অফিস হতে তথ্য নিয়েই হাজির হয়েছে।
প্রথমেই জানতে চাইলন দলীয় কার্যক্রম হতে কেন নিজকে দূরে রাখছি। প্রতিবারের মত আর্থিক কন্ট্রিবিউশনে এবার আমার নাম নেই সে প্রসঙ্গও সামনে আনলেন।
তারপর সব প্রশ্নের আসল প্রশ্ন করে বসলেন, নভেম্বরের নির্বাচনে কাকে ভোট দিতে যাচ্ছি?
আমি একজন রেজিষ্ট্যার্ড ডেমোক্রেট। নির্বাচন নিয়ে সবসময়ই সরব ছিলাম। কিন্তু এবারর বাস্তবতা ভিন্ন।
ভোট আমি ডেমোক্রেটদেরই দেবো, তবে এ নিয়ে আমার বাড়তি কোন উৎসাহ নেই তা খোলাস করতে দ্বিধা করলামনা।
কামালা হারিসকে ভোট দেবো শুধু এক কারণে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঠেকানোর জন্যে।
ভদ্রমহিলা অবাক হয়ে জানতে চাইলেন এর কারণ।
আমার উত্তর ছিল খুব খোলামেলা।
৪১ হাজার গাজা-বাসী হত্যার দোসর আমাদের বাইডেন ও হারিস। যার মধ্যে আছে প্রায় ১২ হাজার শিশু।
নিজেদের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের রক্ষাকর্তা হিসাবে দাবি করার অধিকার তাদের যে নেই তা অত্যন্ত কর্কশ ভাষায় জানিয়ে দিলাম। আমার ভোট এ দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চাইতে ইসরায়েলের হাতকে যে শক্তিশালী করবে তাও লুকাতে গেলাম না।
ভদ্রমহিলা হতাশ হলেন, দুঃখ প্রকাশ করলেন এবং যাবার সময় পার্লামেন্টের দুই কক্ষে ডেমোক্রেটদের সমর্থন দেয়ার অনুরোধ করলেন। সিনেটর মার্টিন হাইনরেখ ও হাউস রিপ্রেজেনটেটিভ ডেইভ ভাসকেসের সাথে আমার সরাসরি যোগাযোগ আছে এবং নির্বাচনে তাদের ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেই হাসিমুখে বিদায় নিলেন।
দরজা বন্ধ করার আগে বুকে ঝুলানো তার নামের ব্যাজটা দেখে যা বুঝার বুঝে নিলাম। একজন পিওর ইহুদি।