২০৩০ সালের পর বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের সন্ধানদাতাকে এক মিলিয়ন ডলার পুরস্কার - বোস্টনে ড.ইউনূসের ঘোষণা
রবিউল ইসলাম:
২০৩০ সালের পর বাংলাদেশে যদি একজন দরিদ্র মানুষ কেউ খুঁজে দিতে পারে তাহলে তাকে ৭ কোটি টাকা পুরস্কার দেবেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ৭ জুন বোস্টনে জন এফ কেনেডি প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরি অ্যান্ড মিউজিয়ামে এক সুধী সমাবেশে এ চ্যালেঞ্জ করেন ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য মুক্তি আন্দোলনের জনক এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূস। খবর: এনা ড. ইউনূস বলেন, গরিবী হঠাও অভিযান চলছে পুরোদমে। আমি আশা করছি, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে পুরোপুরিভাবে দারিদ্র্য মুক্ত করতে সক্ষম হবো। ২০৩০ সালের পর বাংলাদেশে একজন দরিদ্র মানুষও খুঁজে পাওয়া যাবে না। ড. ইউনূস বিপুল করতালির মধ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন, যদি একজন দরিদ্র মানুষ কেউ বাংলাদেশে খুঁজে দিতে পারেন তাহলে তাকে আমি এক মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেব। মার্কিন রাজনীতিক, পেশাজীবী, শিক্ষক, কবি, লেখক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন ড. লিংকন চেন। তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক বর্তমানে বাংলাদেশে ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ বিতরণ করছে। প্রায় ১৩ কোটি মানুষ ক্ষুদ্রঋণ নিচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামীণের ধ্যান-ধারণা। ড. ইউনূস বলেন, গ্রামের হতদরিদ্র নারীদের জন্য আমরা হেল্্থ ইন্সু্যরেন্স প্রথা প্রবর্তন করেছি। গ্রামীণ ব্যাংক দেশে মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগও নিয়েছে। ড. ইউনূস বলেন, আমাদের মেডিকেল কলেজে পাস করা চিকিৎসকরা প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সেরা চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারবেন। এ বিষয়ে এরইমধ্যে গ্রামীণের পক্ষ থেকে জন হফকিন্স মেডিকেল কলেজের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ড. মুহম্মদ ইউনূস এর আগে গত ৬ জুন ম্যাসেচুসেট্্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-র সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন।