খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র, বিএনপির কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেখ তৈয়েবুর রহমান এবং কেসিসির এক কর্মকর্তার সাত বছর করে সশ্রম কারাদ-, এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদ- হয়েছে। মেয়রসহ আটজনের বিরম্নদ্ধে করা একটি চাঁদাবাজি মামলায় জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইবু্যনালের বিচারক শিরিন কবিতা আখতার গতকাল এ রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার অন্য ছয় আসামি বেকসুর খালাস পান। আদালত সূত্র জানায়, খুলনার রূপসা উপজেলার আলী আবদুলস্নাহ এলিনের ভাগ্নে আলমগীর এবং ভাইপো জাহাঙ্গীরের কেসিসিতে চাকরির জন্য মেয়রসহ অন্যরা ছয় লাখ টাকা দাবি করেন। এলিন পরে সাড়ে চার লাখ টাকা পরিশোধ করলেও তার ভাগ্নে এবং ভাইপোর চাকরি হয়নি। ২০০৭-এর ৩ নভেম্বর সে খুলনা থানায় মেয়র শেখ তৈয়েবুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী-৩ মোঃ মশিউজ্জামান খান, জনসংযোগ কর্মকর্তা সরদার আবু তাহের, বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম জহির, কাজী সাইফুল ইসলাম বাবু, কামরম্নল ইসলাম, আনাম ও বুলুকে আসামি করে মামলা করে। মামলার তদনত্দকারী কর্মকর্তা এসআই টিপু সুলতান গত ২৪ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৫ সাৰীর মধ্যে ১১ জন সাৰ্য দেয়। গতকাল রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় মেয়র শেখ তৈয়েবুর রহমান, প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, তরিকুল ইসলাম জহির ও সাইফুল ইসলাম বাবু উপস্থিত ছিলেন। মামলায় দ-প্রাপ্ত আসামি কেসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা সরদার আবু তাহের পলাতক রয়েছেন। গত বছরের ২ নভেম্বর রাতে ঢাকার গুলশান থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মেয়র শেখ তৈয়েবুর রহমানের বিরম্নদ্ধে এ পর্যনত্দ ১৪টি মামলা হয়েছে। গত ২২ এপ্রিল একটি অস্ত্র মামলার রায়ে তিনি খালাস পান। এ প্রথম কোনো চাঁদাবাজি মামলায় তিনি শাসত্দির সম্মুখীন হলেন।