ড্যাব মহাসচিব জাহিদের ১৩ বছরের কারাদণ্ড
Sun, May 25th, 2008 3:30 pm BdST ঢাকা,
মে ২১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)--দুর্নীতির দায়ে বিএনপি সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। স্বামীকে দুর্নীতিতে সহযোগিতার দায়ে তার স্ত্রী রিফাত হোসেনকেও ৩ বছরের কারাদণ্ড ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং তা না দিলে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক তানজীনা ইসমাইল এ রায় দেন। জাহিদ ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছে। তাদের আটক বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে এ সাজা কার্যকর হবে। দুইটি ধারায় দেওয়া এই রায়ে সম্পত্তির তথ্য গোপন করায় তিন বছর এবং অবৈধভাবে সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে তাকে আরও ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজা একটির পর অপরটি কার্যকর হওয়ায় জাহিদকে ১৩ বছরই কারাভোগ করতে হবে। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জন ও সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক নাসিরউদ্দিন আহমেদ গত বছরের ৩ অক্টোবর জাহিদ হোসেন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে বলা হয়, ডা. জাহিদ হোসেন কমিশনে দাখিল করা হিসাব বিবরণীতে এক কোটি ১৪ লাখ টাকার সম্পত্তির হিসাব গোপন করেছেন। এছাড়া তিনি এক কোটি ৬০ লাখ ৯১ হাজার ২৩৭ টাকার সম্পত্তি অবৈধভাবে উপার্জন করেছেন। এতে সহায়তা করেছেন তার স্ত্রী রিফাত হোসেন। জাহিদের সব অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত ৭ ফেব্র"য়ারি এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে জাহিদ দম্পতির পাশাপাশি সম্পত্তির মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় সহযোগিতা করার অভিযোগে তাদের আইনজীবী মোজাহেদুল ইসলামকেও আসামি করা হয়। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মোজাহেদুলের বিরুদ্ধে বিচার কাজ স্থগিত রয়েছে। গত ১৮ মার্চ এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। ২৪ মার্চ থেকে সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়। ড্যাব মহাসচিব জাহিদ হাসান জরুরি অবস্থা জারির পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। সন্দেহভাজন 'দুর্নীতিবাজদের' যে দ্বিতীয় তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশন প্রকাশ করেছিল তাতে জাহিদ হোসেনের নাম ছিলো। তার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে চিকিৎসা খাতে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিসি/আরএ/এমএ/১৫২৫ ঘ.