যুগান্তর রিপোর্ট
দুর্নীতিরদায়ে বিএনপি নেতা ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদকে ১৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে তার ২ কোটি টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক একেএম আরিফুর রহমান এ রায় দেন। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। কারাবন্দি সালাহউদ্দিন আহমেদ রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত দুটি ধারায় সালাহউদ্দিনকে সম্পত্তির তথ্য গোপন করায় তিন বছর এবং অবৈধভাবে সম্পত্তি অর্জন করায় ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়া তার ৪ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৩৮ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেয়া হয়। রায়ে বলা হয়, এ সাজা একটা শেষ হলে আরেকটা কার্যকর হবে। অর্থাত তাকে ১৩ বছরই কারাভোগ করতে হবে। আসামির আটকের দিন থেকে এ সাজা কার্যকর হবে বলে আদালত আদেশ দেন।
১ কোটি টাকা ঘুষ নেয়ার অপরাধে সালাহউদ্দিন আহমেদকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। গত বছরের ১৪ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা কমিশনে দাখিল করা হিসাব বিবরণীতে ২৯ লাখ ২ হাজার ১৬০ টাকার সম্পত্তি গোপন করেছেন। একই সঙ্গে জ্ঞাতআয়ের বাইরে আরও ৪ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৩৮ টাকার সম্পত্তি অর্জন করেছেন। ১০ জানুয়ারি মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৭৮ জন এবং আসামিপক্ষে ১৫ জন সাক্ষ্য দেন। গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন দেশের ৫০ জন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আমলা ও অন্যদের যে তালিকা প্রকাশ করে তাতে সালাহউদ্দিনের নামও ছিল। তাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিজের ও পরিবারের নামে থাকা সম্পত্তির হিসাব জমা দিতে বলা হয়।