শেখ হাসিনার শান্তির মডেলে সমর্থন দিলো রাশিয়া; সহস্রাব্দের সেরা জোক!

Submitted by WatchDog on Friday, September 16, 2011

শেখ হাসিনার শান্তির মডেলে সমর্থন দিলো রাশিয়া

শনি, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১, ২ আশ্বিন ১৪১৮

জাতিসংঘে উত্থাপিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তির মডেলে সমর্থন দিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সমর্থনের ঘোষণা দেয়া হয়। ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা গেছে। আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে যুবলীগের এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে রাশিয়া এই ঘোষণা দেয়।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও হুইপ মির্জা আজম এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারাকাত প্রমুখ।

প্রতিনিধি দল রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি মেদভেদের পক্ষে তার উপদেষ্টা ড. আসলাম বেগ আসালনভের কাছে এবং প্রধানমন্ত্রী পুতিনের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক সহকারী ইউবি ভি উসকাভের কাছে শেখ হাসিনার শান্তির মডেলের প্রস্তাবনা হস্তান্তর করে।

জাতিসংঘে ‘জনগণের মতায়ন’ শীর্ষক শেখ হাসিনার শান্তির মডেলের উপর আলোচনার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের একদিন পরই নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য রাশিয়া নিরঙ্কুশ সমর্থন এই প্রস্তাবের গুরুত্ব আরো বাড়িয়ে দিলো।

প্রস্তাবের সমর্থন দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি উপদেষ্টা আসলাম বেগ বলেন ‘শেখ হাসিনার এই মডেলের ভিত্তিতে আমাদের সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একযোগে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, এটা কেবল একটি দর্শন নয়, এটি হলো মানবতার মুক্তির সনদ। শেখ হাসিনাকে এসময়ের বিশ্বের অন্যতম ‘সফল রাষ্ট্রনায়ক’ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা বলেন, ‘তার কর্মউদ্দীপনা সারা বিশ্বের জন্য উদাহরণ।’

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক, জাতিসংঘে উপস্থাপিত প্রস্তাবে রাশিয়ার পূর্ণ সমর্থনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘এজন্য বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত।’

এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তির মডেলের প্রস্তাবনা রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির অফিসে হস্তান্তর করে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন ‘সন্ত্রাস সঙ্কুল বিশ্বে শান্তি আনতে পারে এই মডেল।’

জাতিসংঘ এজেন্ডায় শেখ হাসিনার শান্তির মডেল অন্তর্ভুক্ত

এনা, জাতিসংঘ থেকে ॥ জাতিসংঘের ৬৬তম বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনের উদ্বোধনী দিনেই বাংলাদেশের একটি প্রস্তাবকে সর্বসম্মতভাবে এজেন্ডা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার জাতিসংঘের নতুন প্রেসিডেন্ট নাসের আব্দুল আজিজ আল নাসেরের সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী ভাষণে নাসের আব্দুল আজিজ বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সমস্যার সমাধানে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে বিচক্ষণতা, অসীম সাহস, সীমাহীন ধৈর্য এবং প্রজ্ঞার সঙ্গে একযোগে কাজের আহ্বান জানানোর পরই বিশ্বশানত্মি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সদয় সম্মতির জন্য।

বাংলাদেশের প্রস্তাবটি ছিল 'পিপলস এম্পাওয়ারমেন্ট এ্যান্ড পিচ সেন্ট্রিক ডেভেলপমেন্ট মডেল' (জনগণের ক্ষমতায়ন এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা)। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তির মডেলের আলোকে এ প্রস্তাব পেশ করা হয় সাধারণ অধিবেশনের মূল আলোচনায় তা এজেন্ডা হিসেবে পরিণত করতে। বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে এ মোমেন শেখ হাসিনার শান্তির মডেলের সমর্থনে ৬টি ডকু্যমেন্ট উপস্থাপন করেছিলেন সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিগণের কাছে। সেগুলোর ওপর আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে সকলেই সম্মত হয়েছেন 'পিপলস এম্পাওয়ারমেন্ট এ্যান্ড পীচ সেন্ট্রিক ডেভেলপমেন্ট মডেল'কে চলতি অধিবেশনের এজেন্ডা হিসেবে অনত্মর্ভুক্তির ব্যাপারে। এটি প্রেরণ করা হয়েছে জাতিসংঘের সেকেন্ড কমিটিতে। উলেস্নখ্য, সেকেন্ড কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ড. এ কে এ মোমেন। তাই সেকেন্ড কমিটির চূড়ানত্ম অনুমোদন পেতে খুব একটা কঠিন কাজ হবে বলে কূটনীতিকরা মনে করেন না। অর্থাৎ সেকেন্ড কমিটির বৈঠকে তা অনুমোদিত হলেই সাধারণ অধিবেশনে উপস্থাপিত হবে।

এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত ড. মোমেন বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এনাকে বলেন, সেকেন্ড কমিটির মাধ্যমে যে এজেন্ডা সাধারণ অধিবেশনে সাবমিট হয় তা পাস হবেই। এটি এখন সময়ের ব্যাপার। ড. মোমেন বলেন, শেখ হাসিনার শানত্মির মডেলের ব্যাপারে ইতোমধ্যেই অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারম্নক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক সরকার দলীয় হুইপ মির্জা আজম এমপির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব ড. আশা রোজি মিগিরোর সঙ্গে একানত্ম বৈঠকে মিলিত হয়ে শেখ হাসিনার শানত্মির মডেল সম্পর্কে অবহিত করেন। সে সময় মিস আশা তাদের অত্যনত্ম উৎফুলস্নচিত্তে জানান যে, এ ধরনের একটি প্রক্রিয়াতেই আমরা বিশ্বশানত্মির পথ ত্বরান্বিত করতে পারব।
যুবলীগের ঐ প্রতিনিধি দলটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসসহ আনত্মর্জাতিকভাবে প্রভাবশালী সকল মহলের সঙ্গে সাক্ষাত করে শেখ হাসিনার শানত্মির মডেলের কপি হসত্মানত্মর করেছেন। ঐ প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাত এবং সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান কবীর। তারা হার্ভার্ড, অঙ্ফোর্ডসহ বিশ্ববিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও এ নিয়ে সেমিনার করেছেন।
জাতিসংঘের শানত্মিরক্ষা মিশনে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সৈন্য সরবরাহকারী রাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বশানত্মি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের এ ভূমিকার পাশাপাশি অভ্যনত্মরীণ নিরাপত্তা ও শানত্মি, আঞ্চলিক সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশে শানত্মির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে শেখ হাসিনার বেশ কিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই আনত্মর্জাতিক মহলের দৃষ্টি কেড়েছে বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন। বিশেষ করে পার্বত্য শানত্মি চুক্তি, গঙ্গার পানি বন্টন, আনত্মর্জাতিক সন্ত্রাস নির্মূলে শেখ হাসিনার ভূমিকা গুরম্নত্বের সঙ্গে বিবেচিত হচ্ছে। সামনের সপ্তাহে জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের এসব বিষয় প্রাধান্য পাবে বলে সংশিস্নষ্টরা আশা করছেন।


শান্তির মডেলঃ

নমুনা ১:
বাংলাদেশের রাজনীতি আগামীতে কোন দিকে মোড় নেবে তা নিশ্চিত হওয়ার আগেই বিরোধী দলকে আরো কাবু করে ফেলতে চাইছে সরকার। বর্তমানে অর্থনৈতিক টানাপড়েন, বেকারত্ব, বিদ্যুৎ, পানি সমস্যা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতিসহ বিভিন্ন কারণে জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। সংসদ, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ কোথাও ক্ষমতার ভারসাম্য নেই। সরকারের ভেতরে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষমতার একাধিক বলয়। এক পক্ষের ভাবনার সাথে অপর পক্ষের কোনো মিল নেই। প্রশাসনে সাবেক বামপন্থীদের দাপটে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও এখন কোণঠাসা। কাজের মধ্যেও নেই ন্যূনতম সমন্বয়। এ অবস্খায় জনগণ ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, বিরোধী দল এ অবস্খায় কার্যকর কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইলে জনগণ তাতে সাড়া দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কাজেই বিরোধী দলকে কিছুতেই সে সুযোগ দেয়া যাবে না। আন্দোলন ঠেকানোর মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিই সর্বাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে।

নমুনা২:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১শ’ জনের এক বিশাল বহর নিয়ে জাতিসংঘের ৬৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আগামীকাল শনিবার নিউইয়র্ক যাচ্ছেন। সফরসঙ্গী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত ১২ জনের মধ্যে ৭ জন আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা। ৪ জন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মী এবং অন্যজন গোপালগঞ্জের এক স্কুলশিক্ষক।

নমুনা৩:

দুর্নীতি ও নানা ধরনের কেলেঙ্কারির মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৩৩ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটে জড়িতদের ছেড়ে দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরিকল্পিতভাবে কৃত্রিম ধস সৃষ্টি করে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল অর্থ আত্মসাত্কারী দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও অনুসন্ধান কার্যক্রম শেষ করে রিপোর্ট তৈরি করেছে দুদকের অনুসন্ধানী টিম। টিমের প্রতিবেদনে রাঘব-বোয়ালদের বাদ দিয়ে শুধু সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের দুই কর্মকর্তাসহ তাদের ৫ আত্মীয়ের সম্পদের হিসাব নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ সুপারিশ পেশের মধ্য দিয়েই শেয়ার কেলেঙ্কারির মূল হোতাদের ধরতে দুদক পরিচালিত সাঁড়াশি অভিযান শেষ হয়েছে। দুদক সূত্র এ তথ্য জানায়। এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনা অনুসন্ধানে দুদক টিম যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে। আইন ও বিধি-বিধানের ভেতরে থেকে দুদকের পক্ষে যতটা সম্ভব, তা পরিপূর্ণভাবে করা হয়েছে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে দুদক কিছু করতে চায় না।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন