দৈনিক 'আমাদের সময়'এ প্রকাশিত খবরের সারাংশটা ছিল এ রকমঃ
জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে যুক্তরাষ্ট্রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। ২৫ এপ্রিল নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তাদের কঠোর সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সভাপতি আলহাজ আব্দুল লতিফ সম্রাট এ ঘোষণা দেন। এর আগেও একই কায়দায় তত্ববাধায়ক সরকার আমলে কথিত সংস্কারবাদী বিএনপি নেতাদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছিল দলটির যুক্তরাজ্য শাখা। ...
বাংলায় একটা জনপ্রিয় কথা আছে, 'বন্যরা বনে সুন্দর...। দেশীয় রাজনীতির মাংকিরা জন্মভূমিতে খেমটা নাচ নেচে নেতা নেত্রীর পদতলে পুষ্পাঞ্জলি দেয় অথবা বাঞ্চিত/অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তা আমাদের মাংকি রাজনীতির এফেক্টিভ টুল, এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা নেহাতই সময়ের অপচয়। কিন্তু এই সাংস্কৃতি যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত আইনের দেশে চর্চা শুরু হয় মনে করতে হবে, হয় খালেদা-হাসিনার বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র নামক মহাশক্তিধর একটা দেশে দখল করে নিয়েছে, অথবা দেশটার সরকার বাংলাদেশী রাজনীতিতে মুগ্ধ হয়ে আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে শাসনতন্ত্রে অর্ন্তভুক্ত করেছে কাউকে অবাঞ্চিত ঘোষণার অধিকার। আবদুল লতিফ সম্রাট হতে পারেন মাংকি সাম্রাজ্যের উন্মাদ মাংকিদের অঘোষিত বাদশাহ, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনি নেহাতই একজন ইমিগ্রেন্ট, বাংলাদেশী ইমিগ্রেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর শপথ নিয়েই সম্রাটের মত মাংকিরা দিনকে রাত, রাতকে মধ্য দুপুর, বোনকে স্ত্রী আর স্ত্রীকে মা বানিয়ে দেশটায় বসবাস করার সূযোগ তৈরী করে নেয়। কাউকে অবাঞ্চিত ঘোষনার অধিকার মাংকি সম্রাটদের দূরে থাক খোদ মার্কিন সরকারের জন্যেও থাকে সীমাবদ্ধ। এ আইনী ফয়সালার ব্যাপার, মাংকিদের মাংকিগীরির ব্যাপার নয়। সাজেদা চৌধুরী ও কামরুল ইসলাম নামের দুই বাংলাদেশী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাশিত না অবাঞ্চিত তা ঠিক করবে সে দেশের আইন, বাংলাদেশ হতে আসা একদল মাংকি নয়।
সূত্রঃ http://www.amadershomoy.com/content/2010/04/27/news0927.htm