ময়রার মিষ্টি কারখানার আশপাশে পিঁপড়া দলের বাস। পাত্রের ধারণ ক্ষমতা উপচে কিছু রস মাটিতে গড়াবে এই আশায় ওরা অপেক্ষায় থাকে চাতকের মত। মিষ্টি ব্যবসায় মন্দা নামলে ওরা বেরিয়ে পরে অভিবাসনের সন্ধানে। খুঁজে বেড়ায় নতুন ময়রা। রসের বাইদ্যানীদের রসও যতদিন উপচে পরে ভ্রমর আসে মধুর লোভে। ভ্রমরের দল গান গায় আর মনের আনন্দে মধু খায়। ১/১১’র পট পরিবর্তনের পর আলিবাবা ৪০ চোরাই দলের মর্জিনা বিবির ঘাটেও দেখা দিয়েছিল মধু ঘাটতি। মহামারির মত মরক লাগে বাইদ্যাদের রস খাওয়ার মহোত্সবে। রক্তে যাদের রসের টান তাদের কি জোর করে বঞ্চিত করা যায় রসের স্বাদ হতে? বোধহয় না। তারা ঠিকই খুঁজে নেয় ভান্ডার খোলার নয়া চিচিং ফাক মন্ত্র। মান্নান ভূইয়া, সয়ফুর রহমান সহ ৪০ চোরের অনেক বাবারা ই ধরে নেয় বাইদ্যানী ভান্ডারের খেইল খতম! তাই গায়ে সংস্কারবাদী সুগন্ধী মেখে নেমে পরেন নতুন মর্জিনার সন্ধানে! চলতি আর ঐকিক নিয়মের অংক কষে উনারা ধরে নিয়েছিলেন জিয়া আর এরশাদের মত ১/১১’র নেপথ্য শক্তিরাও ৪০ চোরের দল বানাবে। মধু ছড়াবে, এবং উনারা থাকবেন পিঁপড়া কাতারের প্রথম দিকের পিঁপড়া। সেগুড়ে বালি! ৪০ চোরের হিসাবে দেখা দেয় মহা ঘাপলা। তাদের বুঝতে একটু দেরী হয়ে যায় ভণ্ড জেনারেলদের ভণ্ডামির দিন শেষ হয়েছে ঠান্ডা যুগের সাথে। মর্জিনাকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় কোন কোন বাইদ্যা সফল হলেও বাইদ্যানী অনেকের জন্যে বন্ধ করে দেন গুপ্তধনের দুয়ার।
একুনে প্রশ্ন, আর কতটা রস মজুদ আছে বাইদ্যানীর ঘটিতে? এই পরিমাণ কি যথেষ্ট মওদুদের মত পেশাজীবি বাইদ্যার মুত্রনালী উপচাতে? রসের নদীতে সাতার কেটে লাল-ভুলু-টুলুর দল পারবে কি তাদের হারানো তালুক ফিরে পেতে? মাওলানাদেরই বা কি হবে? গাড়িতে ফ্লাগ ঝুলানোর কথা না হয় বাদ দিলাম, বাইদ্যানীর রস কি যথেষ্ট হবে ঘাতকদের ফাঁসির মঞ্চ হতে নামিয়ে আনতে?
এতসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আগামী ১৭ই জুন মহাসমারোহে মুক্তি পাচ্ছে নাচ গান আর হাসি-কান্নায় ভরপুর নতুন নাটকের প্রথম পর্ব ’রসের বাইদ্যানী-২’। পাঠক, মাথায় আলীশান খোপা আর চোখে চেরাগ আলী মার্কা সানগ্লাশ, এমন একজন মর্জিণা বিবির নয়া সিসিম ফাঁক মন্ত্রে বলীয়ান হতে সামনের ১৭ই জুন ঢাকার রাজপথে যোগ দেয়ার অনুরোধ করছি। মনে রাখবেন উপচানো কিছু রস আপনার মুখ পর্যন্তও গড়াতে পারে।