লেখাটা সবার জন্যে নয়। বদহজম সহ গাত্রদাহের কারণ হতে পারে বিশেষ ক্যাটাগরির পাঠকদের। আমরা যারা বিশ্বাস করি তত্ত্বাবধায়ক আমলে দুদক নামের সংস্থাটির রুজু করা মামলার সবটাই আমাদের ফুলের মত পবিত্র রাজনীতিবিদদের সততা ও চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে ছিলনা, তাদের জন্যে এ লেখা।
আওয়ামী লীগের হরতাল ম্যারাথনে বিএনপির পাশাপাশি গোটা বাংলাদেশ তখন স্থবির। দাপট আর প্রতিপত্তি জাহির করতে গিয়ে চট্টগ্রামের ’জনদরদি’ মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ঘোষনা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর অচল করে দিয়েছিলেন। দেশের একমাত্র সমুদ্র বন্দর অচল করে গোটা জাতিকে ভাত আর পানিতে মারার নাম যদি রাজনীতি হয়ে থাকে জনাব চৌধুরী এ রাজনীতির জনক। ভোট চাইতে আবারও মাঠে নেমেছেন তিনি এবং শহরের জনগণকে শোনাচ্ছেন উন্নতির স্বর্গীয় বাণী। বন্দর আবরোধকালীন এ দেশের একটা শিশুরও যদি মৃত্যু হয়ে থাকে জনাব মেয়র পারবেন কি এর দায়িত্ব এড়াতে? সন্দেহ নেই তিনি আবারও নির্বাচিত হবেন। এক কাপ চা আর একটা আকিজ বিড়ির গণতান্ত্রিক রায় নিয়ে দাপিয়ে বেড়াবেন ক্ষমতার লাল ঘোড়া। কিন্তু তাতে কি মুছে ফেলা যাবে অতীত রেকর্ড? তত্ত্বাবধায়ক আমলের পুরানো রেকর্ড ঘাঁটতে গিয়ে চোখ আটকে গেল মেয়রের ব্যাক্তিগত কিছু রেকর্ডে। পত্রিকার খবরে প্রকাশ মেয়র গ্রেফতার হওয়ার পর উনার স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন ব্যাঘ্রের ক্ষিপ্রতায় বেসরকারী ব্যাংক হতে কয়েক কোটি টাকা সরিয়ে ফেলেন নিরাপদ আশ্রয়ে। আরও প্রকাশ, ফুলের মতন পবিত্র এই নেতার ব্যাংককের প্রাণকেন্দ্র সুকুমভিত এলাকায় রয়েগেছে হোটেল ব্যবসা, ছেলেদের নামে আছে সুইস ব্যাংক সহ বেশ কটা দেশে ব্যাংক একাউন্ট যার মূল অপারেটর মেয়র নিজে। ২০০৭ সালের মধ্যভাগে মেয়রের মৃত্যু ছিল দিন গোনার ব্যাপার, অন্তত এমনটাই ধারণা দিয়েছিল উনার পরিবার। এটাও কি মিথ্যা ছিল না? উত্থাপিত অভিযোগ মোকাবেলা না করে অসুখের নামে মিথ্যাচার করার অপর নাম কি ভণ্ডামি নয়? আমাদের স্বনামধন্য রাজনীতিবিদদের অতীত সব সময়ই গৌরবের, এবং তা নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মহিউদ্দিন চৌধুরী নিজের অতীত জাহির করতে গিয়ে নিশ্চয় চেপে যাবেন চাঁদের এ দিকটা!
http://amibangladeshi.org/node/266