দেশে দেশে মোর ঘর আছে...

Submitted by WatchDog on Tuesday, June 15, 2010

গণমুখী এন্ড গণবিরোধী বাজেট নিয়ে উল্লাস আর ধিক্কার সংক্রান্ত এ বছরের নাটক খুব একটা জমেনি বলেই মনে হল। আমার দৃষ্টিতে বাজেটের মূল আকর্ষণ তার অর্থনৈতিক দিকনির্দেশনা নয়, বরং জটিল ভাষায় লিখিত শত শত পৃষ্ঠার এই দলিল অর্থমন্ত্রী সংসদের প্রকাশের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই যেভাবে 'গরিবের জন্যে বাজেট' ও 'গরীব মারার বাজেট' বলে দুই পক্ষ রায় দেয়, সেটা। ব্যানার ফেস্টুন আগ হতেই তৈরী থাকে। কিছু টোকাই কিসিমের 'জনগণ' সাথে নিয়ে রাজপথে উল্লাসে নেমে যায় ক্ষমতসীন দল। একই কম্বিনেশনে বিরোধী দলও রাস্তায় নামে, তবে পার্থক্যটা থাকে ব্যানারের ভাষায়, "গরীব মারার বাজেট, মানি না, মানবো না"। খুব ভাল লাগে মিছিল দুটো দেখলে। বুকটাও ফুলে যায় গর্বে। বাজেটের মত জটিল ও আলিশান ডকুমেন্ট এত দ্রুত ও নিখুঁতভাবে পড়ার ক্ষমতা স্বদেশী জনগণ রপ্ত করে ফেলেছে, দেখলে কার না ভাল লাগে? স্বীকার করছি, ইহজগতে যত বাজেট প্রণীত হয়েছে তার একটা পৃষ্ঠাও কোন কালে পড়ে দেখার ধৈর্য হয়নি।

Bangladesh

মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবিতে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ সোমবার

আমার দেশ পুন:প্রকাশ ও সম্পাদকের মুক্তির দাবিতে অস্ট্রেলিয়া ফেডারেল পার্লামেন্ট ঘেরাও করবে: অস্ট্রেলিয়া বিএনপি

বাজেটের ফাক ফোকর গলে উপরের খবর দুটি আশাকরি আপনাদের চোখ এড়িয়ে যায়নি। স্ট্র্যাটেজিকেলি গুরুত্বপূর্ণ এসব খবর এড়ানো উচিৎ না। আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক জড়িত এসব খবর যেকোন সময় যুদ্ধ পর্যন্ত বাধিয়ে দিতে পারে। বাংলাদেশের মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে সূদুর বৃটিশ দেশের প্রধানমন্ত্রীর ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে ঘেরাও হয়ে আংগুল চুষবেন এমনটা আশা করা বোধহয় ঠিক হবেনা ! এই বিক্ষোভের কারণে ব্রিটিশরা হয়ত বাংলাদেশের জল, স্থল ও আকাশপথে হানা পর্যন্ত দিতে পারে। বৃটিশদের কলোনী অস্ট্রেলিয়া তার ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাও দেখে মাথায় হাত আর পাছায় বদনা লাগিয়ে ক্যানবেরা শহরে 'হায় মাহমুদুর রহমান', 'হায় মাহমুদুর রহমান' বলে মাতম করবে, এ নিছকই মহা-কল্পনা। আফটার অল, তাদেরও তো শৌচ কর্মের জন্যে বাইরে যেতে হবে, বউ-বাচ্চার সাথে দেখা করার জন্যে ঘরে ফিরতে হবে!

সালটা মনে নেই, তবে মাসটা মনে আছে। মধ্য জানুয়ারির ভর শীতে ১০/১৫জন বাংলাদেশী তাদের পালোয়ানি স্বাস্থ্য নিয়ে জাতিসংঘের স্থায়ী দপ্তর ঘেরাও করতে গিয়েছিল। কারণটা অবশ্য হেলাফেলার মত ছিলনা। আধুনিক বিশ্বের নতুন চে গুয়েভারা জনাব তারেক রহমানের মুক্তি! ভাগ্য ভাল দপ্তরের বস বান কি মুন জায়গা মত ছিলেন না। থাকলে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিত তা ভাবতে গেলে মৃগী বেরামী বনে যেতে হয়। শুধু কি তাই, আজকাল এক বাংলাদেশী অন্য বাংলাদেশিকে লন্ডন, নিউইয়র্ক সহ পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করতে শুরু করেছে। যেখানেই দেখা সেখানেই action! সে action যদি আওয়ামী লীগের দিগম্বর করার action হয়, পাঠক, আপনারাই অনুমান করে নিন পশ্চিম গোলার্ধের আর্থ-সামাজিক সমীকরণ কোন দিকে মোড় নিতে পারে। অবশ্য খালেদা-হাসিনা সৈনিকেরা যদি ইউরোপ আমেরিকার সবগুলো দেশ দখল নিয়ে দেশগুলোর ইমিগ্রেশন আইন বদলে ফেলতে পারে, অবাঞ্চিত ঘোষণার এই দিগম্বরী কালচার বিদেশেও রপ্তানী করা সম্ভব হবে। এ হবে খুবই গর্বের!

সবশেষ যে খবরটা না বললেই নয় তা হল, আপনাদের দোয়ায় শ্রমিক লীগ এখন শুধু নিউ ইয়র্ক শহরেই একটিভ না, তাদের পদভারে গোটা স্টেট অব নিউ ইয়র্ক এখন টালমাটাল। এর সূত্র ধরে শ্রমিক লীগ স্টেট অব নিউ ইয়র্ক (নট দ্যা সিটি অব নিউ ইয়র্ক) শাখা ৬ দফা দিবস পালন করেছে ব্যাপক আয়োজনে।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন