টাকা আছে ওদের। অনেক টাকা। চাইলে দুনিয়াটাও কিনতে পারে টাকা দিয়ে। প্রয়োজন হয়না বলেই হয়ত দুনিয়া কেনার প্রসঙ্গ আসে না। কিন্তু তারা অনেক কিছু কেনে। বাড়ি, গাড়ি, নারী, আকাশ, বাতাস, পানি, এমনকি ২ বছরের শিশু পর্যন্ত। শিশু কিনতে হয় কারণ আনন্দের রসদ যোগাতে এদের প্রয়োজন হয়। ক্ষুধা আর দরিদ্রের রাজত্ব যে দেশে সেখানেই চোখ পড়ে তাদের। প্রলোভন দেখিয়ে, মা-বাবার দারিদ্রের সূযোগ নিয়ে ওদের অপহরণ করা হয়। দুই বছর বয়স হলে আরও ভাল, বয়স যত কম আনন্দের খোঁড়াক ততই বেশি, লাভ তত বেশি। এরা আর কেউ নয়, মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলোর শেখ পরিবারবর্গ। গায়ে ধবধবে আলখেল্লা, হাতে তসবি আর মুখে কথায় কথায় ধর্মের দোহাই, এটা বাহ্যিক পরিচয় হলেও আরও একটা পরিচয় আছে এদের। এরা জুয়ার মাঠে সেরা জুয়াড়ি, রেসকোর্সের সেরা ঘোড়াটির মালিক, অভিজাত পতিতালয়ের সেরা খদ্দের।
সংযুক্ত আরব আমিরাত তেমনি একটা দেশ। আমিরাতের আবুধাবি আর দুবাইয়ের খ্যাতি এখন বিশ্বব্যাপী। দেশগুলোর অর্থনীতির ঝনঝনানি কান পাতলে শোনা যাবে সূদুর নিউ ইয়র্ক হতেও। এদের সমুদ্রে গড়ে উঠছে নতুন নতুন দেশ, ইমারতের চূড়া পাড়ি দিচ্ছে নতুন নতুন উচ্চতা, ওদের মরুভূমিতে নামছে কৃত্তিম তুষারপাত। আধুনিক বিশ্ব এভাবেই জানে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশগুলোকে। শুধু জানেনা এদের আমুদ আহলাদের কিছু কালো দিক। উট দৌড় ওদের অন্যতম প্রিয় খেলা।
এই উট দৌড়ের জন্য প্রয়োজন হয় নাবালক শিশুর। হিসাবটা খুব সোজা, জকির ওজন যত কম দৌড়ের মাঠে জয়ের সম্ভাবনা তত বেশি। ঘোড়ার রেসকোর্সে এ জন্যেই হাল্কা পাতলা জকিদের কদর বেশি। মধ্যপ্রাচ্যের শেখদের যেহেতু টাকা বেশি তাদের পছন্দের ক্যানভাসও তত বিশাল। মরুভূমির তপ্ত বালুতে পিঠে নাবালক শিশু চাপিয়ে ছুটতে বাধ্য করে তাদের প্রিয় পশুর দলকে। গ্লাডিয়েটরদের নিয়ে রোমানরা যে কায়দায় আমুদ আহলাদ করত একই ভাবে শেখরাও আনন্দ করে শিশু জকিদের নিয়ে। সমস্যা হচ্ছে, যে সব বাচ্চারা উটের পিঠে বসে থাকে তাদের কেউই তাদের নিজস্ব নয়। ওদের আনা হয় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ হতে। টাকা দিয়ে অপরহণ করা হয় শিশুদের। মানবেতর জীবনের পাশাপাশি ওদের ব্যবহার করা হয় দাস হিসাবে। ব্যবহার করা হয় ভোগের সামগ্রী হিসাবে।
৮৬০ জন বাংলাদেশী শিশু-দাসের মূল্য দিতে ওরা এসেছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের আরাম কেদারায় বসে ডিল করে ফেরৎ গেছে বিজয়ীর বেশে। মূল্য দিয়ে গেছে মাথাপিছু ১ হতে ১০ হাজার ইউ এস ডলার! আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এ জন্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আমিরাতের শিশু ধর্ষণকারী দলের নেতা লে কর্নেল ইব্রাহিম আল মারজুকিকে।
ভিডিওটা দেখুন। ইউটিউবের ভিডিও নয়। কোড না পেয়ে স্ক্রীন শটে ক্যাপচার করে ইউটিউবে আপলোড করেছি। কোয়ালিটি ভাল হয়নি। তাতে কি, একদল নরখাদকের আসল চেহারা নেংটা করে আপনাদের প্লেটে তুলে দিতে অসুবিধা হয়নি মোটেও।
https://youtu.be/KjlrNukhxJk
সুত্রঃ
http://www.ansarburney.org/videolinks/video-hbo1.html
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=129242