লেখাটা যখন লিখছি পৃথিবীর এক প্রান্তে ইতিহাস রচিত হচ্ছে। সভ্যতার ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। সামনে ঘটবে কিনা সন্দেহ করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব মিডিয়ার ফোকাস এখন দক্ষিন আমেরিকার দেশ চিলিতে। রাজধানী সান্টিয়াগো হতে দুরের এক মরু পল্লীতে জমায়েত হয়েছে বিশ্ব মিডিয়ার শত শত প্রতিনিধি। ওখানে এখন রাত। সারা রাত ওরা প্রত্যক্ষ করবে মাইনিং ইতিহাসের নতুন এক অধ্যায়। ঘটনাটা এ রকম। ৩৩ জন খনি শ্রমিক ২৩০০ ফুট মাটির নীচে গত ৬৮ দিন ধরে আটকে আছে। খনি দুর্ঘটনার শিকার ওরা। কেউ বেচে নেই এমনটাই ছিল দুর্ঘটনার প্রথম ১৭ দিনের ধারণা। কিন্তু প্রযুক্তির ম্যাজিক বদলে দেয় দে ধারণা। চমকে উঠে গোটা পৃথিবী। ওরা বেচে আছে এবং প্রতীক্ষা করছে প্রিয়জনের সাথে মিলিত হওয়ার। কিন্তু দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞদের মতামত ভেংগে দেয় সবার হূদয়। প্রাথমিক হিসাবে বলা হয় ৪ হতে ৬ মাস লাগবে উদ্ধার কাজ সমাধা করতে। তবে ছোট একটা ছিদ্র বাচিয়ে রাখে তাঁদের আশা। এ ছিদ্র দিয়েই নিশ্চিত করা হয় খাদ্য এবং পানির মত প্রয়োজনীয় সরবরাহ। শুরু হয়ে বেঁচে থাকার অবিস্মরণীয় কাহিনী। ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে বেঁচে থাকার এ কাহিনী নজর কাড়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের। প্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে আসে উন্নত বিশ্ব। শুরু হয় ড্রিলিং।
আপনি যখন এ লেখাটা পড়ছেন ছোট একটা ক্যাপসুলের মত রওয়ানা দিচ্ছে গন্তব্যস্থলে। গোটা বিশ্ব রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছে প্রথম আগমনের।
https://youtu.be/q6OwA2uiEYE
পুনশ্চঃ এইমাত্র কথা বললাম সান্তিয়াগোতে। অদ্ভুত একটা খবর দিল পুরানো এক বান্ধবী। ২৩০০ ফুট মাটির নীচে ৬৮ দিন বাস শেষে কে প্রথম উঠে আসবে এ নিয়ে চলছে রিভার্স প্রতিযোগিতা। অর্থাৎ কে সবার শেষে উঠবে তার প্রতিযোগিতা। গিনিস রেকর্ডবুকে ঠাঁই নেয়ার জন্যেই নাকি এ লড়াই। অদ্ভুত!!!