এক মাঘে শীত যায়না জনাবা...শীত যায়না!

Submitted by WatchDog on Sunday, October 17, 2010

Bangladeshi

ধর্ম মতে আমাদের সৃষ্টিকর্তার একাধিক নাম। অনেকের মতে ৯৯টা (ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী)। আমরা যারা সমসাময়িক নই তাদের অনেকের নাম এই ৯৯টা নামের মধ্যে সীমাবদ্ধ। যেমন ধরুন রহিম, করিম, ইত্যাদি। এই নামগুলোকে যদি কাগজে লিখতে বলা হয় আমরা কজন তা শুদ্ধভাবে লিখতে সক্ষম হব? নিশ্চয় কেউ না কেউ ভুল করবো। শিক্ষা দিক্ষাকে দায়ি না করে শুধু হিউম্যান ফ্যাক্টর বিবেচনায় আনলে এ ধরনের ভুল স্বভাবিক মনে হবে। মানুষ মাত্রই ভুল করে। এমনটাই হয়ে আসছে অনাদিকাল ধরে। খোদ সৃষ্টিকর্তার ভান্ডারেও ভুলের জন্যে ক্ষমা বরাদ্দ থাকে। এই যেমন আদম হাওয়া নিষিদ্ধ ফল খাওয়া অধ্যায়। আসমানি দুনিয়ায় যা বরাদ্দ থাকে অনেক সময় মাটির দুনিয়ায় তা অসম্ভব। এই যেমন বাংলাদেশের প্রবাদ পুরুষ শেখ মুজিবের নাম। সব ভুলের ক্ষমা আছে কিন্তু এ নেতার নাম লিখায় ভুল করলে তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এমনই এক অপরাধে চাকরী হতে বহিষ্কৃত হলেন বাংলাদেশের দুই শিক্ষক। নামের আসল অংশ লিখতে ভুল করলে কথা ছিল, ভুলটা ছিল উপাধি নিয়ে। ’বঙ্গবন্ধু’ না লিখে লিখেছিলেন 'বাঙ্গবন্ধু'। গোলমালটা একটা ’আকার’ নিয়ে এবং তাতেই খেলা ফাইনাল। সৃষ্টিকর্তার নাম লেখায় ভুল করে এ দুনিয়া হতে কেউ বহিষ্কৃত হয়েছে কিনা তা হাশরের ময়দানেই জানা যাবে, কিন্তু এ দুনিয়ায় শেখ মুজিব নামের ভুল যে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ তা জানতে আমাদের বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। ধরে নিতে হবে শেখ মুজিবের স্থান খোদারও উপরে। অন্তত বর্তমান সরকারের দৃষ্টিতে। নাকি এ ভুলও ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে বিরোধী দলীয় ষড়যন্ত্র?

নাটোরের মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা এ বিবেচনায় নিজেদের ভাগ্যবান মনে করতে পারেন।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন