সরকার বলছে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। সেনাবাহিনী বলছে তারা নিজেরা নয়, কাজটা করেছে আর্মি অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি । স্বাভাবতই প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কি হাউজিং সোসাইটির পয়সায় চলে? না হলে সোসাইটির স্বার্থ রক্ষার্থে কেন জনগণের পয়সায় কেনা কামান, বন্দুক আর হেলিকপ্টার সহ সেনাবাহিনী ব্যবহার করা হল? ৫০/৬০ লাখ টাকা বিঘার জমি ১৪/১৫ লাখ দরে ক্রয় করার মিশন নিয়ে স্থাপন করা হয়েছিল রূপগঞ্জের সেনা আবাসন প্রকল্প। সমাজের সবচাইতে আনপ্রোডাক্টিভ অংশের আরাম আয়েশ আর খায়েশ মেটাতে ইতিমধ্যে বরাদ্দ করা হয়ছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ডিওএইচএস, মিরপুর, সাভার হতে নবীনগর হয়ে রাজেন্দ্রপুরের বিশাল এলাকা। এবার চোখ পরেছে ঢাকার অনতিদূরে রূপগঞ্জ এলাকা। আর কত চাই এ সোনার চাঁদ পিতলা ঘুঘুদের? ৫৪ হাজার বর্গমাইলের দেশে ১৭ কোটি লোকের বাস। আবাসন সমস্যা এ দেশের পা হতে মাথা পর্যন্ত। মুর্গী খোঁয়াড়ের মত ছোট্ট একটা জায়গা নিয়ে কোন রকমে টিকে থাকছে দেশের কোটি কোটি মানুষ। অথচ সেনা অফিসারের খাতায় নাম লেখালেই উনাদের প্রয়োজন হয় আঙিনা সহ বাড়ি। ভাবখানা এমন যেন এ বাড়ি তেনাদের জন্মসূত্রে পাওনা। সস্তা জায়গা, সহজ লোন, সুলভ মূল্যের মালামাল, ব্লাডি সিভিলিয়ানদের সংস্পর্শ হতে বাচার জন্যে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা, এমনটা না হলে তেনাদের আবাসন সম্পূর্ণ হয়না। সরকারও তার চামড়া বাচাতে সেনা অফিসারদের এ অন্যায় আবদার মেনে নেয় অনেকটা রাষ্ট্রীয় যৌতুকের মত। প্রশ্ন হচ্ছে আর কত কাল?
সেনাবাহিনীর কাজ দেশকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ হতে রক্ষা করা। বাংলাদেশের ৩ দিকে ভারত আর একদিকে বঙ্গোপসাগর। কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে আমাদের ঘরজামাই সেনাবাহিনী, ভারত না পানি? চীর বেকার এসব অফিসারদের আরাম আয়েশের নামে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এর সাথে যোগ হল খুন। ঢাকা শহর এমনিতেই মানুষের ভারে ডুবন্ত জাহাজের মত। এ জাহাজকে কিছুটা হলেও নিরাপদ করা যাবে সেনা এবং বিডিআরদের এখান হতে সরিয়ে সুন্দরবনে নিয়ে গেলে।