নরওয়ের পরিবেশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে শুনতাসি বাংলাদেশ সরকার মামলা করবো। এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতা মুহাম্মদ হানিফের অভিযোগ মন্ত্রী এরিক সোলেইম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ ঠেকানোর জন্যে ৪ দলীয় জোটের সাথে এক হয়ে গ্রামীন ব্যাংক ও মোহম্মদ ইউনুসকে নির্দোষ ঘোষণা করসে। তিনি আরও বলসেন, চার দলীয় জোটের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী বাবর আলী এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা। জেলখানার বিম্পি-জামাত পন্থী গার্ডদের যোগসাজোশে বাবর আলী মধ্য রাইতে ফোনে নরওয়ের পরিবেশ মন্ত্রীর সাথে কথা বলসেন। ক্ষমতায় গিয়া গ্রামীণের ১০০ ভাগ শেয়ার নরওয়ের হাতে তুলে দিব এই প্রতিশ্রুতি পাইয়াই নাকি জনাব সোলেইম অভিযোগ উঠাইয়া নিসে। প্রাণ প্রিয় নেত্রীকে জনসমক্ষে হেয় করে রাজাকারদের বিচার কাজে বাধা সৃষ্টিই নাকি ষড়যন্ত্রের আসল উদ্দেশ্য, দাবি করসেন এই নেতা। হাসিনা সরকারের প্রতিমন্ত্রী জাহাংগীর কুবির নানক নরওয়ের এই মন্ত্রীকে বাংলাদেশ সহ পশ্চিমা দুনিয়ার বড় বড় রাজধানীতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করসেন। দেসে দেসে ছড়িয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু সৈনিকদের সোলেইমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবার আহ্বান জানাইসেন। যেখানে সোলেইম সেখানেই প্রতিরোধ, ও দেসের মাটি হতে সুদখোর উৎখাতের মাধ্যমে নেত্রীর ডিজিটাল স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করসেন তরুণ এই মন্ত্রী।
এদিকে নেত্রকোনা শহর যুবলীগের অতিরক্তি সহ সাধারণ সম্পাদক আহাদ আলী উকিল জনাব সোলেইমের এ হেন কর্মকান্ডে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি চরম আঘাত হইসে বলে দাবি করসেন। সকালে দাবি করলেও এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে মামলা করতে কয়েক ঘন্টা সময় লেগে যায় উনার। মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে তা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্যে প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়েসে। বিকাল ৪টার দিকে ফুল বেঞ্চে্র শুনানী শুরু হয়। শুনানিতে আসামী অনুপস্থিত থাকায় প্রধান বিচারপতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করসেন এবং আদালত অবমাননার দায়ে এরিক সোলেইমির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিসেন। একই অভিযোগে সোলাইমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারও একটা মামলা করার পরিকল্পনা করাতাসে বলে শোনা যাচ্ছে।
আরও জানা গেসে জেলখানায় বসে বাবর আলী যখন অসলোতে কথা বলসিল ঐ সময় এলাকায় নাকি কোন বিদ্যুৎ আছিলনা। সন্ধ্যায় ওলামা লীগের এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলসেন এটা বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় ঘাপটি মেরে থাকা জামাতি-বিম্পিদের কাজ। ঐ আসরে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ শুনে মন্ত্রী সাহারা খাতুন বলসেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা তা সে বড়ই হোক না কেন। মধ্যরাতে বাণিজ্যমন্ত্রী এক বিবৃতির মাধ্যমে ঘোষণা দিসেন বাংলার মাটিতে কোন সুদখোরকে ব্যবসা করতে দেয় হবেনা।
অন্য এক খবরে প্রকাশ জনৈক বিম্পি নেতা পর্তুগাল সফররত গ্রামীন সাম্রাজ্যের সুদরাজা মোহম্মদ ইউনুসের সাথে যোগাযোগ করে তাকে অতিদ্রুত বিম্পিতে যোগ দানের আহ্বান জানাইসেন। এখনই যোগদান না করলে ভবিষ্যতে এই ডক্টরকে হোসেন মোহম্মদ এরশাদ কায়দায় ইন্দুর মারা ফাঁন্দে আটকানো হবে বলে জানাইসেন। তবে বিম্পি আশা করতাসে নিজের চামড়া বানানোর জন্য হলেও মানুষটা তাদের দলে যোগদান করবো। পর্তুগাল হতে এ ধরণের একটা ঘোষণা আসলে ঢাকায় ডক্টর ইউনুসকে ব্যাপক সংর্ম্বধণা দেয়ার পরিকল্পনা নিসে শহীদ জিয়ার এই দল।
ডক্টর ইউনুস বর্তমানে পর্তুগালে আছেন এবং পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখতাসেন।