ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদার সরকারের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, "স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা দেখালে চলবে না। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের চাকরি দিতে হবে।" তিনি বলেন, "বিএনপি ক্ষমতায় এসেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের চাকরি দিয়েছিল। কিন্তু এই সরকারের আমলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা চাকরি পাচ্ছে না।" বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে রোববার আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় কামাল আরো বলেন, "পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা নিয়েও [ঘুরেও] ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা চাকুরি পাচ্ছে না। নেতারা টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেন না। তারা শুধু টাকা খায়।" এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার মাথা নেড়ে তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। এরপরও কামাল মজুমদার বক্তব্য চালিয়ে গেলে রোটন উঠে এসে তাকে থামিয়ে দেন। অনেক জামায়াত নেতা লেবাস পাল্টে বর্তমানে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এই সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, "প্রশাসনের সব জায়গা থেকে বিএনপি-জামায়াতপন্থীদের সরিয়ে দিতে হবে। তারা বিদ্যুৎ ও পানির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে।"
- উপরের খবরটা আমার নয়, বিডিনিউজ২৪.কম'এর ১৯শে ডিসেম্বরের সংখ্যা হতে নেয়া। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যখন যে দল ক্ষমতায় তাদের ক্যাডারদের জন্যে সরকারী চাকরী সংরক্ষিত থাকবে। এমন একটা সিদ্ধান্ত এখন আর রাজনৈতিক দলের কিচেন ক্যাবিনেটের গোপন বিষয় নয়, দস্তুরমত মন্ত্রিসভায় আলোচিত এজেন্ডা। সিদ্ধান্তটা আইন হিসাবে সংসদে পাশ করিয়ে নিলেই বোধহয় লুকোচুরির প্রয়োজন পরবে না। আর সাংসদরা যদি লজ্জা পান তা হলে উচ্চ আদালতের বিচারকদের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। বাঙ্গালী বিচারকরা রায় দেবে "এ দেশে সরকারী ও আধা-সরকারী প্রতিষ্ঠানের যে কোন চাকরী ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ, আবাহনী ক্রীড়া চক্র, শেখ জামাল ক্লাব, রাসেল স্মৃতি পরিষদ এবং শেখ নামের সাথে সংযুক্ত যে কোন সংগঠনের জন্যে সংরক্ষিত থাকবে"। পাশাপাশি বাংলাদেশি বিচারকদের রায় হবে, "কেবল জাতীয়তাবাদী ভাবধারার ছাত্রদল, যুবদল, বিএনপি ও জিয়া সৈনিকদের জন্যে সংরক্ষিত থাকবে বাংলাদেশের তাবৎ সরকারী চাকরী"।
একদলা থু থু রইল এদের সবার জন্যে।