গোপালগঞ্জের দাদাদের শুধু খুটি নয়, পুরুষাঙ্গের জোরও নিশ্চিত করা আছে ডিজিটাল শাসনে। শুনতে কি খুব খারাপ শোনায়? সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ পাওয়া যায়? হতে পারে,আর হলেও এ নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নই। ৩০ বছর হয়ে গেল খোদাকে ডাকিনি। লুঙ্গি আর প্যান্টের তলায় কার চামড়া হাফ আর কার চামড়া ফুল তা নিয়েও মাথা ঘামায়নি কয়েক দশক। ধর্মকে আফিম হিসাবেই বিবেচনা করে আসছি জ্ঞান হওয়া অবধি। এবং এ ধারণা নিয়েই কবরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। রাজনীতির রূপালী পর্দার দেশ বাংলাদেশে ক্ষমতার পালা বদলের সাথে মসনদে আরোহন করলেন হাসিনা, জয় আর সায়মা ওয়াজেদ গং। জাতীয় চরিত্রে দাসত্বের জীবাণু থাকার সুবাধে এই গং আমাদের এবং বাকি দুনিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন তাদের পূর্বসূরিরা দেশকে তালেবানী পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছিল। পতিতা উদ্ধারের মত জাতিকে উদ্ধারের মিশনে অবতার হয়ে এগিয়ে এলেন এবং বললেন, ধর্ম নয়, এখন হতে রাজত্ব করবে রাজনৈতিক পরিচয়। এই সিদ্ধান্ত এতটাই শক্তিশালী এখন শোনা যাচ্ছে অলিখিত আইন পাশ হতে যাচ্ছে যা তিন ওয়াজেদের দাসত্ব করবে না এমন কারও লাশ পর্যন্ত দাফন করতে বাধা দেবে বাংলাদেশের মাটিতে। উদ্ধারের নামে ওয়াজেদ ত্রয় বাংলাদেশকে এমন এক গলিতে নিয়ে গেছে যেখানে যৌন উদ্দীপক ট্যাবলেট ছাড়াই ওটাকে উপর্যুপুরি ধর্ষন করা যাচ্ছে। এবং তাই হচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে এই সরকারই ভায়াগ্রা ধরিয়ে দিচ্ছে গোপালগঞ্জের দাদাদের হাতে। এ সত্য এখন আর লুকানোর সত্য নয়, এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচাইতে বিশ্বস্ত ও যোগ্য পুরুষ গোপালগঞ্জের দাদারা, অন্তত সরকারের চোখে। থানার ওসি হতে শুরু করে আইন ও শাসন ব্যবস্থার সর্বত্র যেখানে বিরোধী পেটানোর প্রয়োজন ও মওকা আছে সেখানে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে গোপালগঞ্জের ফুলচামড়া ওয়ালাদের। আর এরাও দাপ্তরিক ক্ষমতার পাশাপাশি মনের আনন্দে ভোগ করছে নিজেদের শারিরিক শক্তি। সরকারের বরাদ্দ করা ভায়াগ্রা দিয়েই ছাত্রীদের ভোগ করার সুযোগ পেয়েছিল পরিমল বাবু। পরিমল বাবু একা নন, পরিকল্পনা মাফিক এদের ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের অলিগলিতে। এসব পরিমল বাবুদের গায়ে হাত দেয় এমন মার সন্তানের অস্তিত্ব বাংলাদেশে এখন বিরল। কারণ ওরা একটা বিশেষ পরিবারের প্রাইভেট বাহিনী।
http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=13747:2011-07-08-16-25-33&catid=48:2010-08-31-09-43-22&Itemid=82
ধর্মনিরপেক্ষতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার নামে দেশকে বিপদজনক গলিতে ঠেলে দিয়ে একটা বিশেষ জেলার বিশেষ ধর্মের লোকদের আশ্রয়, প্রশ্রয় আর ধর্ষণের লাইসেন্স দিয়ে জাতিকে ধর্ষন করানোর কালচার ওয়াজেদ পরিবারকে কতদূর নিয়ে যায় দেখার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম।