কেবল বৃহত্তম একটা রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যতই নয়, বরং কোটি মানুষের ভাগ্য জড়িত পদ্মা সেতু ঘিরে। স্বপ্নের সোনালী পাখিরা কটা দিনের জন্যে হলেও পাখা মেলে ছিল। দক্ষিণ বাংলার উপেক্ষিত জনগণ ভেবে ছিল সে দিন হতে তারা খুব বোধহয় খুব একটা দুরে নয় যেদিন এই সেতু বদলে দেবে তাদের হাজার বছরের বঞ্চিত জীবন। কিন্তু হায়, কোথা হতে কি হয়ে গেল! একজন মন্ত্রীর কারণে আটকে গেল কোটি মানুষের শত বছরের স্বপ্ন। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং জাপানি উন্নয়ন সংস্থাগুলো সাফ জানিয়ে দিয়েছে এই মন্ত্রীর নাড়ি নক্ষত্র মাপ ঝোঁক না করা পর্যন্ত অর্থায়ন বন্ধ। নতুন কোন অভিযোগ নয়, এ অভিযোগ বাংলাদেশর পা হতে মাথা পর্যন্ত। বিদেশি সহায়তার বিশাল সব প্রকল্পে মহা দুর্নীতি গল্প লোকের কল্প কথা নয়, এ নিষ্ঠুর বাস্তবতা। এ বাস্তবতার আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি পর পর চার বার দেয়া হয়েছে আমাদের। আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে এ পাপাচারে। আমাদের আমলা আর রাজনীতিবিদেরা ভেবেছিলেন আলিবাবা ৪০ চোরের সিসিম ফাঁক কাহিনী আজীবন চলতে থাকবে। কিন্তু সময় বদলে গেছে। চোরের কাছে ছাগল বর্গা দেয়ার আর্ন্তজাতিক সংস্কৃতিতে এসেছে আমুল পরিবর্তন। যার হাত দিয়ে বাস্তবায়িত হবে পদ্মা সেতু তার নামেই উত্থাপিত হয়েছে নিকৃষ্টতম অভিযোগ। ছাত্রলীগের টেন্ডারবাজির মতই মন্ত্রী আবুল হোসেন বিশ্বব্যাংকের দরবারে ক্যাডার পাঠিয়েছিলেন। কমিশন চাই উনার! এ ধরণের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়া মাত্র সভ্য দুনিয়ার সব দেশে সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। যার নামে অভিযোগ উত্থাপিত হয়ে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং কেবল তারপরই চলে তদন্ত। কিন্তু আমাদের বেলায় দেখা গেল বিশাল তারতম্য। আবুল মন্ত্রীকে পদত্যাগ করানো দুরে থাক বরং তাকে নির্দোষ প্রমানের জন্যে সরকারের সব মহল হতে চলছে সর্বাত্মক চেষ্টা।
কে এই আবুল হোসেন? কোথায় তার খুঁটির জোর? প্রশ্ন দুটির উত্তরে জন্যে যোগাযোগ করেছিলাম প্রশাসনের উঁচু মহলে। যতটা সহজ ভেবেছিলাম আবুল মন্ত্রীর প্রস্থান আসলে ততটা নয়। আমার পাওয়া তথ্য মতে এই আবুল মন্ত্রী ৬০ কোটি টাকা ব্যায়ে কিনে নিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়। বিক্রেতা আর কেউ নন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা। সরকার চাইলেও বিদায় করতে পারবে না আবুল হোসেনকে। জোর জবরদস্তি করতে গেলে কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা থাকায় সরকার প্রধান হতে শুরু করে মন্ত্রীসভার বাকি সদস্যরা মিশনে নেমেছে মন্ত্রীকে রক্ষার কাজে।
যোগাযোগ মন্ত্রনালয় বিক্রি বলেন আর দেশ বিক্রি বলেন এর জন্যে শেখ পরিবারের কারও কাছে জবাব চাওয়া হবে নৈতিক অপরাধ, কারণ দেশটা যে তাদেরই। আসুন আমরা সবাই মুখে তালা দেই।