আরব বসন্তের দমকা হাওয়ায় লন্ডভন্ড হচ্ছে একটার পর একটা দেশ। শুরুটা সাহারা মরুর দেশ তিউনিশিয়া হতে। ২৪ বছরের একচ্ছত্র রাজত্ব জাইন-এল আবেদিন বেন আলীর মনে এমন একটা ধারণার জন্ম দিয়েছিল দেশটা আসলে তার এবং এর জনগণ তার জন্মগত কৃতদাস। স্ত্রী লায়লা ও তিন সন্তান নিয়ে এভাবেই জীবন কাটাতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছিলেন দেশটার স্বঘোষিত মালিক। রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হাবিব বরগুইয়েবাকে ক্ষমতাচ্যুত করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বেন আলী অধ্যায়। শাসক হিসাবে তার সাফল্য অবশ্য হেলাফেলা করার মত কিছু ছিলনা। ক্ষমতা গ্রহনের ২১ বছরের মাথায় দেশটার পার ক্যাপিটা জিডিপি তিনগুন বৃদ্ধি পেয়ে দাড়ায় ৩৭৮৬ ডলারে। ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায় বৈদেশিক বিনিয়োগ। প্রাইভেটাইজেশন, বিদেশি পুঁজি আকর্ষন ও সরকারের কার্যকারিতার প্রভূত উন্নতির কারণে এর বাণিজ্যে ঘাটতি সর্বকালের নিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয় বেন আলী প্রেসিডেন্সি। ডাভস্ ওয়ার্লড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস রাংকিংয়ে ২০১০-১১ সালে তিউনেশিয়ার অবস্থান ছিল আফ্রিকার মধ্যে প্রথম এবং পৃথিবীর ১৩৯ দেশের মধ্যে ৩২তম। ১৯৯০ সালে দেশটার দারিদ্রের হার যেখানে ছিল ৭.৪% ২০০৫ তা কমে দাড়ায় ৩.৮%এ। ঘরে বাইরে অনেক জায়গায় প্রশংসিত হয় বেন আলীর অর্থনৈতিক কার্যক্রম। কিন্তু বাইরে চকচক করলেই যে সোনা হয়না তিউনেশিয়ার কথিত উন্নতি নতুন করে তা প্রমান করে গেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে বঞ্চিত করে সার্বজনীন উন্নতির দাবি যে কোন শাসকের জন্যে বুমেরাং ফিরে আসে, ইতিহাসের এ অমোঘ শিক্ষাকে উপেক্ষা করার জরায়ুতেই বোধহয় জন্ম নেয় স্বৈরতন্ত্র। তিউনেশিয়াও এর ব্যতিক্রম ছিলনা। দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের ঘরে ঘরে রাজত্ব করছিল অভাব, দারিদ্র, ক্ষুধা আর হতাশা। শিক্ষিত, বেকার ও প্রগতিশীল যুবসমাজকে একঘরে বানিয়ে তাদের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার মাঝেই বেন আলী স্বপ্ন দেখেছিল আমৃত্যু ক্ষমতার বিলাসি স্বপ্ন। পরের ইতিহাস কমবেশি আমাদের সবার জানা। ৩৫ বছরের জেল ও ১০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার জরিমানা মাথায় নিয়ে বেন আলী পালিয়ে আছেন সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে। কথিত আছে পালানোর সময় সেন্ট্রাল ব্যাংক হতে ১.৫টান সোনা নিয়ে গেছে তার পরিবার। পরিবারের বাকি সদস্যদের সবাই এখন পলাতক এবং দেশটার মিডিয়ায় প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে তাদের দুর্নীতির লোমহর্ষক কাহিনী।
বেন আলীর তুলনায় নিকট প্রতিবেশি দেশ লিবিয়ায় একনায়কতন্ত্র প্রলম্বিত হয়েছিল ৪২ বছর। মুয়াম্মার মোহাম্মদ আবু মিনায়ের আল-গাদ্দাফি ক্ষমতারোহণ ছিল তৃতীয় বিশ্বের আর দশটা দেশের মতই নীতিহীন ও অবৈধ। ২৭ বছর বয়সী সেনা অফিসার লেফট্যানেন্ট গাদ্দাফি বাদশাহ ইদ্রিসকে সরিয়ে যেদিন ক্ষমতা দখল করেন বিশ্বের কোথাও এ নিয়ে হৈচৈ হয়নি, উচ্চবাচ্য করেনি গণতন্ত্রের দাবিদার পশ্চিমা বিশ্ব, বরং সম্ভাব্য বাণিজ্যের আশায় বাড়িয়ে দিয়েছিল সহযোগিতার হাত। প্যান-আরব ঐক্য ও ইসলামী সমাজতন্ত্রের আড়ালে নিজেকে আরব বিশ্বের অধীশ্বর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার খায়েশেও উৎসাহ যুগিয়েছিল নানাভাবে। অফুরন্ত তেল ভান্ডার ও সীমিত জনসংখ্যা নিয়ে গাদ্দাফির অর্থনৈতিক যাত্রার শুরুটা ছিল অবিস্মরনীয়। কিন্তু ক্ষমতা দখলের এক বছরের ভেতর তেলের আয় নিয়ে টানাপোড়ন শুরু হয় পশ্চিমা কোম্পানী গুলোর সাথে। রেভিনিউ শেয়ারের আনুপাতিক হার পরিবর্তন না করলে তাদের বহিষ্কারের হুমকি দেন গাদ্দাফি। শেষ পর্যন্ত লিবিয়ার শেয়ার ৫০ ভাগ হতে ৭৮ ভাগ বাড়াতে বাধ্য হয় তারা। এরই মধ্য মিশরের সহযোগীতায় সেনাবাহিনীর কিছু অফিসার ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করে তাকে। বলা হয় নতুন গাদ্দাফির জন্ম হয় এই বিদ্রোহের সূতিকাগারে। কচুকাটা শুরু করেন প্রতিদ্বন্দ্বিদের। পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিদের ক্রিমিনাল আখ্যায়িত করে পরিবার ও নিকট আত্মীয়দের ভেতর ক্ষমতা সীমিত রাখার ব্যবস্থা পাকা করা শুরু করেন। জনসংখ্যার শতকরা ১০-২০ ভাগ মানুষকে নিয়োগ করেন ইনফর্মার হিসাবে। ’আইন ৭৫’ প্রবর্তনের মাধ্যমে ১৯৭৩ সালে কেড়ে নেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা। ১৯৭০ সালে দেশ হতে কলোনিয়াল ইতালিয়ানদের বিদায় করে দেন গাদ্দাফি। ’খ্রীষ্টান’ ক্যালেন্ডার পালটে প্রবর্তন করেন কথিত মুসলিম ক্যালেন্ডারের। আগষ্ট মাসের নাম পালটে সন্তান হানিবালের নামে নামকরণ করেন ’হানিবাল’, জুলাই মাসের নামকরণ করেন মিশরীয় নেতা গামাল আবদেল নাসেরের নামে ’নাসের’। ৭১ হতে ৭৭ সালের মধ্যে নিজের সৃষ্টি ’আরব সোসালিস্ট ইউনিয়ন’ নামের একমাত্র রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি দেন, যা আজ্ঞাবহ দাস হয়ে বাকি জীবনের জন্যে সেবা করে যাবে গাদ্দাফি পরিবারের। এই লেখাটা যখন লিখছি লিবিয়ার স্বঘোষিত মালিক কর্নেল গাদ্দাফি শুয়ে আছেন মিস্রাতা শহরের মাংস রাখার একটা হিমাগারে। তার লাশ মাটিতে কবর দেয়া হবে না ভাসিয়ে দেয়া হবে সাগরের নোনা পানিতে তা নিয়ে দ্বিধায় আছে এক কালের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। তার ২য় স্ত্রী পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী দেশ আলজেরিয়ায়। বলা হয় পালানোর আগে ২০টন স্বর্ণ পাচার করেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, যার আনুমানিক মূল্য ১০ বিলিয়ন পাউন্ড।
ইয়েমেনের প্রসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ ক্ষমতায় আছেন ২১ বছর। সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের যাত্রা ১৯৭১ সাল হতে। হাফেজ আল আসাদের উনত্রিশ বছরের ক্ষমতার যবনিকা হয় তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে, যা রাস্তা খুলে দেয় সন্তান বাশার আসাদের জন্যে। বাশার ডাইনাস্টির ৪০ বছরের শাসন মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটায় বয়ে আনে ব্যাপক আর্থ-সামাজিক সংস্কার। বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি স্থানীয় ভারী শিল্পে আসে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। শাসনতন্ত্র সংশোধনের মাধ্যমে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করা হয় ১৯৭৩ সালে। কিন্তু এত কিছুর পরও প্রেসিডেন্ট হাফেজ আল আসাদ নিশ্চিত ছিলেন না শাসন ব্যবস্থায় পারিবারিক ধারাবাহিকতা নিয়ে। বিদ্রোহ দমনের নামের নামে ১৯৮২ সালে হত্যা করেন ২০ হতে ৪০ হাজার সিরিয়ান সুন্নিকে। ইতিহাসে বর্বরতম এই হত্যাকান্ড পরিচালনা করেন আসাদের ভাই রাফাত। হামা ম্যাসাকার নামে পরিচিত এই ম্যাসাকারকে বলা হয় আরব ব্রুটালিটির নিকৃষ্টতম উদাহরণ। পিতা হাফেজের পৈশাচিকতার পথ হতে সড়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিংহাসনে আসীন হয়েছিলেন সন্তান বাশার আল আসাদ। কিন্তু রক্তে যার নির্মমতার লোহিত কনিকা তার কাছে পরিবর্তন আশাকরা ছিল নেহাতই বোকামি। সিরিয়ানরা হাড়ে হাড়ে তা টের পাচ্ছে। ক্ষমতা ধরে রাখার রক্তাক্ত ধারায় নতুন অধ্যায় সংযোজন করছেন সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অবুঝ সন্তানদের ধরে নিয়ে যাচ্ছেন রাতের আধারে এবং লাশ বানিয়ে খোলা রাজপথে প্রদর্শন করছেন সতর্কতা সংকেত হিসাবে। আরব বসন্তের লু হাওয়ার মৃদু মন্দ ধাক্কা লাগছে বাদশাহ আবদুল্লার রাজতন্ত্র জর্ডানে, এই হাওয়া হানা দিচ্ছে এককালের পর্তুগীজ কলোনি ওমান সুলতানাতে, ধাবিত হচ্ছে আল্লাহর ঘর রক্ষকের দাবিদার সৌদি রাজপরিবারের অন্দরমহলে।
কেন এই বসন্ত, কোথায় এর এপিসেন্টার, এ নিয়ে হয়ত হাজার রজনীর আরব্য উপন্যাস লেখা যাবে। বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশে দু’ধরণের মানুষ চোখের পানি ফেলছে মুয়াম্মার গাদ্দাফির শেষ পরিনতিতে; এক, যারা এই লৌহমানবকে ইসলামী ঝান্ডার কান্ডারি হিসাবে দেখতে অভ্যস্ত (এপিসেন্টার মগবাজার); দুই, যাদের শিরা উপশিরায় প্রবাহিত আজন্ম লালিত পশ্চিমা বিদ্বেষ (এপিসেন্টার পল্টন রোড)। মার্কিন মোড়লিপনায় পৃথিবীর দেশে দেশে সংঘঠিত অপরাধের নোনা পানিতে গাদ্দাফির শেষ গোসল করাতে গিয়ে অনেকেই লিবিয়ার ঘটনাকে দেখছেন দেশটার প্রাকৃতিক সম্পদ দখল করার পশ্চিমা ষড়যন্ত্র হিসাবে। অনেকে এই ভেবে কষ্ট পাচ্ছেন ভবিষ্যৎ লিবিয়ার ভাগ্য হয়ত লেখা হবে সিআইএ আর পশ্চিমা বেনিয়া গুষ্টির কলমে। কিন্তু মিস্রাতার মাংসের হিমাগারে গাদ্দাফির শেষ শয্যা খুবই কি অপ্রত্যাশিত ছিল বিশ্ববাসীর জন্যে? তিনি কি সেই গাদ্দাফি নন সামান্য রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে যিনি নিজ তদারকিতে প্রকাশ্য ফাঁসি দিতেন? এই কি সেই গাদ্দাফি নন যার হুকুমে কেবল ভিনদেশিদের সাথে কথা বলার কারণে হাত-পায়ের নখ উপড়ে ৩ বছরের জেলে পাঠানো হত? গাদ্দাফি ছিলেন তেমনি এক শাসক যার ছত্রছায়ায় লিবিয়া পরিনত হয়েছিল আর্ন্তজাতিক অপরাধীদের অভয়ারণ্যে। বিমান হাইজ্যাক, বোমা পেতে গাড়ি, বাড়ি আর বিমান উড়িয়ে নিরাপদ বসবাসের একটাই আশ্রয়স্থল খুজে পেত অপরাধী চক্র, লিবিয়া। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অপরাধীরাও এ হতে বাদ যায়নি। ৮ সন্তানদের একজনকে নিজ হাতে তৈরী করেছিলেন মসনদের উত্তরাধিকার হিসাবে। তাবুতে বাস করতেন একদল তরুণী দেহরক্ষীর মাঝে, যাদের অনেকেই অভিযোগ করছে নিয়মিত ধর্ষিত হওয়ার। সন্তানদের বাদ দিয়ে কেবল স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমানের কথা বলা হচ্ছে কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গোত্র ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় কেবল একটা গোত্র বাকিদের উপর আজীবন ছড়ি ঘুরাবে এটাই বা কেমন বিচার? রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কখনই তিনি মানুষ হিসাবে গন্য করেন নি। বলতেন ওরা ইঁদুর। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, এই ইঁদুরের হাত হতে রক্ষা পাওয়ার জন্যে শেষ পর্যন্ত ইঁদুরের মতই লুকাতে বাধ্য হয়েছিলেন পয়ঃপ্রণালীর পাইপে।
আরব বসন্তের লু হাওয়ায় জ্বলন্ত দেশগুলো হতে শিক্ষা নেওয়ার মত এমন কিছু আছে কি আমাদের রাজনীতির জন্যে? অনেকে বলবেন ওরা আর আমরা এক নই, ওরা রাজতন্ত্রের রাজা বাদশাহ, আর আমাদের বাস ফুলে ফলে পুষ্পে ভরা গণতন্ত্রে। ওদের রক্তে খুনের নেশা, আর আমাদের রক্তে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নির্মল বাতাস। কিন্তু একটা সত্য আমরা বোধহয় ইচ্ছা করে ভুলে যাই, দুবেলা দুমুঠো আহারের নিশ্চয়তা দিয়ে পশুদের আটকে রাখা গেলেও মানুষকে সম্ভব হয়না। মানুষের প্রয়োজনীয়তা বহুমুখী, যার অন্যতম তার চিন্তার স্বীকৃতি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর ক্ষমতার অংশীদারিত্ব। হোক তা গণতন্ত্র অথবা রাজতন্ত্র, রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যক্তি অথবা পরিবারিক ভিত্তির উপর কখনোই শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারেনা। ইসলামী ঝান্ডা অথবা পশ্চিমা বিদ্বেষ খণ্ডকালীন স্বার্থ হাসিলে কাজ করলেও জনগণের সামনে তা সময়মত খসে পরে। ২০, ৩০ অথবা ৪২ বছর ধরে এক ব্যক্তি, এক পরিবারের শাসন মেনে নেয়ার মত প্রজন্মও এখন আর জন্ম নেয় না। বন্দুকের নল আর পেশির হুমকিতে প্রজন্মের মুখ আটকানো গেলেও কলম আটকানো যায়না। এখন কলমের যুগ। এক কলমই যথেষ্ট হোসনি মোবারকের মত দানব বধে। আমাদের রাজনীতিবিদেরা যদি ভেবে থাকেন স্বদেশের বসন্ত কেবল কোকিলের কুহু তান আর হলুদ শাড়ি পরিহিত ললনাদের পুজা অর্চনার জন্যে তাহলে বোধহয় ভুল করবেন। গাদ্দাফির পূজারির সংখ্যা হাতে গুনে শেষ করার মত ছিলনা, বাশার আল আসাদের ভক্তের সংখ্যাও অগুনিত। তারাও পুজা দেয় দেব-দেবীর চরণে। কিন্তু একটা সময় আসে যখন পুজার ঢালি হতে বেরিয়ে আসে বিষাক্ত সাপ, ছোবল হানে দেবতার সর্বাঙ্গে।
বিদ্রঃ খুব কি কষ্ট পাওয়ার আছে গাদ্দাফির নির্মম হত্যাকান্ডে? খুনাখুনি আরবদের রক্তের ঐতিয্য। অনার কিলিংয়ের নামে ওরা নিজের মা-বোনকে খুন করে বিনা দ্বিধায়। কদিন আগে ৮ বাংলাদেশিকে প্রকাশ্য শিরশ্ছেদের মাধ্যমে আনন্দ করেছে সৌদি জনগণ। এরা রাজাকে যেমন মাথায় নিয়ে নাচে, তার গায়ে মলমূত্র ত্যাগ করতেও সময় নেয় না। নো ওয়ান্ডার যুগে যুগে নবীদের আগমন ঘটেছিল কেবল আরব দেশে।