মোহন ও আরিফের জন্যে জিল্লুর প্রেসিডেন্ট আছেন। ভয় নেই 'আমাদের'।

Submitted by WatchDog on Wednesday, April 11, 2012

Bangladeshi President

মহাকালের অজানা গলিতে সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ যদি বাস করে থাকেন অনুরোধ করব আমার আমলনামা খুলে বসতে। আমি পাপ করতে চলছি, এবং সে পাপ হবে ঠান্ডা মাথার পাপ। পরবর্তী কয়েক মিনিট আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে যাকে বিচার করব তিনি খোদ সৃষ্টিকর্তা। কর্তার সমালোচনা এমনিতেই পাপ, তার উপর বিচার প্রত্যাশা, নিশ্চয় মহাপাপ!! সূর্য নাকি দশ হাত উপর চলে আসবে, আলো ছড়াবে এবং সে আলোর তাপে দাহে গলে পরবে আমার শরীর। তাতেও নাকি প্রাণ পাখি পিঞ্জিরা ফেলে উড়ে যাবেনা। এমনটাই ঈশ্বরের বিধান, আর আদমের প্রাপ্য শাস্তি। আমি বলব শাস্তি নিয়ে আমাদের সাথে প্রতারণা করছেন তিনি। আমি জোর গলায় বলতে পারি দশ হাত দূরের সূর্যের আলোই আমাদের জন্যে তৈরী নিকৃষ্টতম শাস্তি নয়, বরং মহিউদ্দিন মোহন ও আরিফ বিল্লাল নামক আদম সৃষ্টিই ঈশ্বরের নিকৃষ্ট শাস্তি।

শারীরিক চাহিদার রহস্য আবিস্কারের বয়স জান্নাতুল ফেরদৌসের হয়নি। কিন্তু হয়েছিল মোহন আর আরিফ নামক 'আশরাফুল মাখলুকাতের'। ঈশ্বরের দেয়া সে চাহিদা মেটাতে কটা টাকা আর চকলেটের ফাঁদে ফেলে আটকে ফেলে শিশুটিকে। উপর্যুপরি ধর্ষনের মাধ্যমে মিটিয়ে নেয় নিজেদের জৈব লালসা। এখানেই থেমে যায়নি জান্নাতুল ফেরদৌস 'বিজয় অভিযান'। চাপ দিয়ে শিশুটির ঘাড় ভেঙে নিয়ে আসে বুকের কাছে, মুখ আটকে ও পা বেধে জড়িয়ে নেয় পলিথিনে এবং ঢুকিয়ে দেয় কাগজের কার্টনে। সুযোগ বুঝে জামালপুরগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসে উঠিয়ে দেয় লাশ ভর্তি কার্টন। জান্নাতুলের লাশ যখন ট্রেনের বগিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে মা তখন দরজা খুলে অপেক্ষা করছে আদরের সন্তানের। সে সন্তান ঠিকই ফিরে আসে পরদিন, তবে লাশ হয়ে।

এই দুই আদমের একজন বাড়িওয়ালার সন্তান। সে বাড়ি যেখানে জান্নাতুল পরিবারের বাস। নিশ্চয় টাকা আছে তাদের। পুলিশকে দেয়ার মত যথেষ্ট টাকা। সাংসদকে দেয়ার মত অনেক টাকা। মন্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার মত বড় অংক এবং প্রধানমন্ত্রীর পিতার নামে গড়ে উঠা টাকার মেশিনে তেল খরচের জন্যে প্রয়োজনীয় টাকা। টাকা না থাকলেও বিশেষ কোন ক্ষতি হবে বলে মনে হয়না। কারণ বঙ্গভবনে আছেন জিল্লুর প্রেসি্ডেন্ট। বলা হচ্ছে মোহন আর আরিফের পশ্চাৎদেশে লাগানো হয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়, যুবলীগের পরিচয়।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-04-10/news/239281

ভালো লাগলে শেয়ার করুন