এই ১৩ হাজার টাকা ভাগ হয়, যার একাংশ জমা হয় মন্ত্রীর বস্তায়। একই বস্তায় জমা হয় মফিজের মত আরও হাজার হাজার ঘাতকের টাকা। এবং ধীরে ধীরে ফুলে ফেপে উঠে সে বস্তা। সময় গড়ানোর সাথে তাগাদা আসে জায়গা মত পৌঁছে দেয়ার। শেষ পর্যন্ত ভরা বস্তা রওয়ানা দেয় মন্ত্রী পাড়ায়। মন্ত্রী দুয়ার খুলে অপেক্ষায় থাকেন। অলিগলি রাজপথ ঘুরে বস্তা যখন বাসায় আসে রাত গড়িয়ে যায়। প্রাপ্তির তৃপ্তিতে মন্ত্রিজী বিছানায় যান। সূর্যোদয়ের সাথে উদয় হয় নতুন একটা দিনের। এবং তা মন্ত্রীর জন্যে নিয়ে আসে ভাগ্য বদলের প্রতিশ্রুতি। বস্তার এপিক জার্নি এখানেই থেমে যায়না। একই বস্তার জরায়ুতে জন্ম নেয় নতুন এক বস্তা, যা চেহারা আদেল বদলে পাড়ি জমায় আরও দুরে। সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে তা আশ্রয় নেয় আমেরিকা, কানাডা আর বিলাতের মত নির্ভেজাল দেশে। স্বপ্নের রাজপুত্র আর রাজকন্যারা বস্তার টাকায় ঝকঝকে গাড়ি কেনে, পরীক্ষা দিয়ে বৈধ লাইসেন্স হাতে নেয়। এবং তারপর বাস করে happily ever-after জীবন। একজন বিভাষ চন্দ্রের মৃত্যুতে সরকারের হাত থাকে এমনটা যারা বলেন তারা মূর্খ। বিভাস বাবুর ঘাতক সরকার নয়, বরং পেট মোট ঐ বস্তা। এই সেই বস্তা যার অধিকার আদায়ের জন্যে গুম হয়, খুন হয়, হরতাল হয়, পিতা আর ঘোষক নিয়ে ফুটবল খেলা হয়। পাঠক, মফিজের ১৩ হাজার টাকার শিকার হয়ে আপনি যদি চাকার তলায় পিষ্ট হন নিঃশ্বাসটা বেরুনোর আগে বস্তা আর তার মালিকদের জন্যে একটু দোয়া করে যাবেন। ওরা আছে বলেই তো বাংলাদেশ আছে।