চেতনার সৈনিকরা দুর্নীতি করতে পারে না...দুদু মিয়ার গোলাম হোসেন!

Submitted by WatchDog on Wednesday, May 23, 2012

Bangladesh

ওরা কেউ দুর্নীতি করেনা। করতে পারেনা। কারণ ওরা আদর্শের সৈনিক। কেউ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার, কেউ জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমের, কেউ আবার খোদ সৃষ্টিকর্তার। দেশ ও জাতীর সেবায় ওরা নিবেদিত প্রাণ। ওরা দুর্নীতি করবে এমনটা ভাবাই এক ধরণের দুর্নীতি। শেখ মুজিবকে যারা জাতির পিতা মানে, সহস্রাব্দের সেরা সন্তান হিসাবে স্বীকৃতি দেয় তাদেরকে দুর্নীতির সাথ জড়ানো মানে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা, পাকিস্তানে ফিরে যাওয়া। ’ওরা জিয়ার সন্তান, ওরা দুর্নীতি করতে পারেনা’, মনে আছে সহস্রাব্দের সেরা বাক্য দুটির কথা? যে জিয়া অস্ত্র হাতে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করল, জাতিকে একনায়কতন্ত্রের অভিশাপ হতে মুক্ত করে জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র দিল তার সন্তানরা দুর্নীতি করবে এমনটা ভাবা মানে রনাঙ্গণকে অস্বীকার করা, গণতন্ত্রকে কাঠগড়ায় ঠেলে দেয়া। আসলে দুর্নীতি বলতে কিছু নেই আমাদের দেশে। এর সবটাই বাংলা ভাই কায়দায় মিডিয়া আর ভার্চুয়াল দুনিয়ার কিছু সব হারানোদের সৃষ্টি। দুর্নীতি নিয়ে বিদেশীদের কাউমাউ আমাদের জাতীয় সম্পদ লুটপাটের বেদবাক্য মাত্র। মাটির ঠিক ছয় ইঞ্চি নীচে লুকানো সোনা-দানা, হীরা-জহরৎ, তেল-পানি আর অতিমানব-মহামানবদের কংকাল চুরির বহুজাতিক ষড়যন্ত্রের নীল নক্সা এই দুর্নীতির মাহফিল। ইউনুস আর আবেদ নামের রক্তচোষা অপদার্থদের সামনে রেখে ওরা লুটে নিতে চায় আমাদের রত্ন ভান্ডার। আর এই কাজ তরান্বিত করতে ওরা মিথ্যা অভিযোগ আনছে আদর্শ সৈনিকদের বিরুদ্ধে। বিশ্ব ব্যাংক ও এইএমএফের সাথে এ অশুভ কাজে যোগ দিয়েছে জাপানের মত ব্যর্থ রাষ্ট্র। চেতনার হস্ত মৈথুনকারী আবুলের দুর্নীতি খুঁজে পেতে বিশ্বব্যাংকের সময় লেগেছে ছয় মাস, আর আমাদের গোলাম হোসেনের দুধের নহবত দুদকের লেগেছে মাত্র ছয় দিন। এই ছয় দিনেই প্রমান হয়ে গেছে আবুল মিয়া অন্যায় করেননি। না বললেও আমরা বুঝতে পারি দুদু মিয়ারা প্রমান করেছে আবুল মিয়া দুর্নীতি করতে পারেনা। চেতনার সৈনিক আবুল হোসেনের ঘাড়ে অশ্বারোহী বনে জাতির জামাতা বিশ্বব্যাংক নামক সস্তা প্রতিষ্ঠানে কমিশন দাবী করেছেন এমন অভিযোগ কেবল ভূয়া আর বানোয়াটই নয়, বরং আমাদের তীব্র, তীক্ষ্ন আর ধারালো দেশপ্রেম নিয়ে বিশ্বসমাজের তামাশা মাত্র।

চাইলে জাতি হিসাবে আজ আমরা গর্ব করতে পারি। ৫৬ বছর ধরে গড়ে তোলা সুরু বাবুর মহামানব খ্যাতি কোন এক আজম ড্রাইভার, ইলিয়াস আলী আর সৌদি কুটনীতিকের যৌথ মিশনে মাটির সাথে মিশে যাবে এমনটা হতে দেননি আমাদের দুধু মিয়ার দল। ওরা প্রমান করে দেখিয়ে দিয়েছে মাসিক ৫০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেও বাংলাদেশে ৬ মাসে ৫ কোটি টাকা নগদ জমানো যায়। আর এই নগদ দিয়ে আরও ৩০ কোটি বিনিয়োগ করা যায়। সুরু বাবুর সন্তান সৌমেন সেন এখন ফুলের পতন পবিত্র। কোন দুর্নীতি তার গায়ে স্পর্শ করেনি। আর করবেই বা কি করে, সুরু আর সৌমেন বাবুদের গায়ে যে লেপ্টে আছে চেতনার ১২ ইঞ্চি পুরো স্টেইন লেস স্টীল!

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মোজাফফর সাহেব ইহকাল হতে বিদায় নিয়েছেন। আসুন আজ আমরা বজ্র শপথ নেই, বাংলার মাটিতে মোজাফরের মত দ্বিতীয় কোন মীরজাফরকে জন্ম নিতে দেব না। প্রয়োজনে জননীর ওম্ব হতে ভবিষ্যৎ মোজাফরদের টেনে হিঁচড়ে বের করে আনব। তারপর তুলে দিব বিশ্ব বিচার ব্যবস্থার পথিকৃত, ঈশ্বরের মহান সৃষ্টি, পেয়ারের আশরাফুল মুখলেকাত আমাদের বিচারকদের হাতে।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন