বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত,
ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন লীলাখেলা বাস্তবায়ন করার খায়েস নিয়ে ঈশ্বর আপনাকে এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন আমরা বোধহয় কোনোদিনই জানতে পারব না। জানা থাকলে ভাল হত। অন্তত এ নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা, গবেষণা অথবা বাদ প্রতিবাদ করা যেত। হয়ত মানব পয়দার মালমশলায় ঘাটতি ছিল বলে ঈশ্বরকে জিঞ্জিরার মত স্বঘোষিত কারখানার আশ্রয় নিতে হয়েছিল এবং সে কারখানায়ই অংকুরিত হয়েছিল আপনার ভ্রুণ। চাইলে এ অপরাধে ঈশ্বরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়। চোখ ও ঠোঁটের চামড়ার ফিনিশিং দিতে গিয়ে ঈশ্বর নিশ্চয় অন্যমনস্ক ছিলেন অথবা সহকারী কাউকে দিয়ে এ পর্ব সমাধা করেছিলেন। যে কোন বিচারে এ ছিল জাতি হিসাবে আমাদের প্রতি উপরওয়ালার বিশেষ অবিচার, হোক তা ইচ্ছাকৃত অথবা অনিচ্ছাকৃত। মুখ পাতলা নির্লজ্জ দ্বিতীয় একজন সুরঞ্জিতের জন্মের স্বাক্ষী হতে চাইলে আমাদের হয়ত আরও হাজার বছর অপেক্ষা করতে হবে। এ আমাদের দুর্ভাগ্য যে জীবন নামক জটিল যুদ্ধে আপনার মত নীচু স্তরের একজন সৈনিকের সঙ্গী হতে হয়েছিল। ধিক্ আপনার ঈশ্বরকে!
বাবু,
এ মুহূর্তে আপনার একমাত্র পরিচয় আপনি চোর। অনেকের চোখে অন্ধকারের কালো বিড়াল। বেশ্যার দালালের মত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাজে লাগিয়ে দারোয়ান, পিয়ন আর সুইপার নিয়োগ ব্যবসায় দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের পকেট কেটেছেন। এ দেশের রাজনীতিবিদদের প্রায় সবাই চোর। তবে আপনার মত মধ্যরাতে বমাল ধরা পরা চোর নয়। প্রতিবেশী দেশের ভাশুরের অনুরোধে আপনাকে উজিরে খামাকা পদে বিয়ে দেয়া হয়েছিল বেশ কটা শর্তে; কথা ছিল আপনি ঘোমটা দেবেন, মুখ হতে লিপিস্টিক মুছে আলকাতরা লাগাবেন। কিন্তু কদিন না যেতেই ঘোমটা ফেলে ফিরে গেলেন পুরানো খেমটা নাচে, আলকাতরার বদলে ঠোঁটে লাগালেন লাল নীল আলতা। মধ্যরাতের দুর্গন্ধের উপর দুই পয়সার আলতা বিছিয়ে আবারও ছড়াতে শুরু করলেন পুরানো বিষ্ঠা। কিন্তু আপনি বোধহয় বুঝতে পারেননি বদলে গেছে আপনার দুনিয়া। বেড়াল যেমন মলমূত্র ত্যাগকালে চোখ বন্ধ করে দেয়, আপনিও চোখ বন্ধ করে ভাবছেন পৃথিবীতে আপনি ও আপনার মত উচ্ছিষ্টভোগী আদম ব্যতিত দ্বিতীয় কোন আদম নেই। দুঃসংবাদ আপনার জন্যে, আমার মত আরও কোটি কোটি স্বদেশি ধরনীতে এখনও পা ফেলছে। এবং যতদিন পা ফেলা অব্যাহত রাখবে একজন সুরঞ্জিতকে চোর সুরঞ্জিত হিসাবেই চিহ্নিত করবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত নিয়ে জ্বালাময়ী ভাষণ শরীর কোন অঙ্গে জ্বালা ধরায় তা আপনার বোধহয় জানা নেই। এ ভাষণ চেতনায় নয়, জ্বালা ধরায় অক্ষমতায়। একজন চোরের কাছে উদ্দীপনা নেয়ার কিছু নেই, আছে মাথা হেট করার মত লজ্জা, ব্যর্থতা, অনুশোচনা আর ধিক্কার। আপনি যখন কথা বলেন ধিক্কার লাগে পরিচয়ে, চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করে, ফাঁক করে মিশে যেতে ইচ্ছে করে মাটির গভীরে।
বাবু,
১২ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়ে সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে প্রবাসীরা। ক্ষুদ্র হলেও আমিও এদের একজন। মা আর মাটির মায়া পিছনে ফেলে আমার মত লাখ লাখ আদম বিদেশ বিভূঁইয়ে পশুর মত পরিশ্রম করে সচল রাখছে অর্থনীতির চাকা। পাশাপাশি আপনার মত প্রফেশনাল চোরের দল আমাদের পরিশ্রমের পয়সায় হাওয়ার উপর জীবন গড়ছেন, সন্তানাদিকে বানাচ্ছেন কোটির উপর কোটিপতি। এই আপনি যখন মঞ্চে দাড়িয়ে আদেশ, উপদেশ আর নির্দেশ দেন জীবনের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলি, ইহকাল, পরকাল আর সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাসে ভাটা লাগে।
বাবু,
নেত্রীর সাথে আপনার সমীকরণের ইতিহাস আমাদের জানা নেই। জানার ইচ্ছেও নেই। তবে হাতজোড় করে একটা অনুরোধ করি, দয়া করে মাঠে ময়দানে অথবা মঞ্চে ভাষণ দিতে আসবেন না। উজিরে খামাখা বনে যত খুশি রাষ্ট্রীয় সুবিধাদি ভোগ করুন, কিন্তু দোহাই লাগে দেশ নিয়ে, জাতি নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, রাজাকারের বিচার নিয়ে মুখ খুলবেন না। আপনি চোর। চোরের মুখে এসব শোভা পায়না।
ধন্যবাদান্তে,
ওয়াচডগ।
১২.৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রেরণকারীদের একজন
অনুলিপিঃ
১) প্রধানমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
২) স্পিকার, জাতীয় সংসদ
৩) ৩২ কোটি হাত সহ ১৬ কোটি স্বদেশি