৯০ দশকের প্রথম দিকের কথা। চাকরি উপলক্ষে প্রায় প্রতিদিন সাভার যেতে হয়। ঢাকায় অফিস থাকলেও ওখানে তেমন কিছু করার ছিলনা এক মার্কেটিং ছাড়া। ব্যবসার ভালোমন্দের সবটা জড়িয়ে ছিল কারখানাকে ঘিরে। ঢাকা-আরিচা রোডের বাসষ্ট্যান্ড হতে সাভার বাজারের দিকে যে রাস্তাটা চলে গেছে ওটাই ছিল শহরের প্রাণ। আমাদের কারখানাটি ছিল একই রাস্তার উপর। তখনও তা পাঁকা হয়নি। টানা একদিন বৃষ্টি হলে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পরত। পিচ্ছিল রাস্তায় রিক্সা চড়লে পেটের ভাত শরীরের সবকটা ছিদ্র হয়ে বেরিয়ে আসতে চাইত। অফিসের গাড়ি আনলে তার ধকল কাটাতেও লাগত ৭ দিন। জীবনযুদ্ধের এই বিরক্তিকর অধ্যায়ে হঠাৎ করে প্রাণ ফিরে এল বিশেষ একটা খবরে। দূরের দেশ আমেরিকা হতে অতিথি আসবেন কারখানা পরিদর্শনে। স্থানীয় এক টেন্ডারে বিদেশী বিনিয়োগের চেষ্টা অনেকদিন ধরেই চলছিল। শেষ পর্যন্ত রাজী করানো গেছে তাদের। অতিথিদের ইমপ্রেস ও মনোরঞ্জন করার সবকটা গলি মাড়াতে গিয়ে অদ্ভুত একটা সত্যের মুখোমুখি হতে হল আমাদের। অতিথিরা যেদিন আসবেন একই দিন সাভার বাজারেও জমবে সাপ্তাহিক হাট। সমস্যাটা দেখা দিল এখানেই। সপ্তাহে দুদিন হাট বসে এ বাজারে এবং আমাদের কারখানার ঠিক উলটো দিকে মাইক লাগিয়ে বাসষ্ট্যান্ড মসজিদের জন্যে চাঁদা উঠান একই মসজিদের মুয়াজ্জিন। জীর্ণ, শীর্ণ লোকালয়, দরিদ্রের চরম কষাঘাত আর ক্ষয়িষ্ণু রাস্তার পাশে আলিশান মসজিদের প্রয়োজনটা কোথায় এ ছিল জটিল এক ধাঁধাঁ। চাঁদা উঠানোর প্রযুক্তি ও মুয়াজ্জিনের ভাষা নিয়ে বেশ কবার প্রতিবাদ জানিয়েও কাজ হয়নি। সকাল ৯টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাইকের উঁচু আওয়াজে মুয়াজ্জিন সাহেব ঘুরে ফিরে একই বাক্য বাতাসে ছড়িয়ে দেন, ‘কত টেকা কত পয়সা অকারণে চইল্যা যায়, আল্লার ঘরে এক টেকা দিলে সত্তুর টেকা পাওয়া যায়’। সপ্তাহে দুদিন, মাসে আট দিন, বছরে ছিয়ানব্বই দিন, একই সুর, একই বাক্য, একই আবেদন, একই কান্না। দ্বিতীয় বছরের মাথায় দৈনন্দিন জীবনের সাথে কেমন যেন মিশে গেল এ কান্না। বরং মুয়াজ্জিনের আওয়াজ পেতে দেরি হলে চিন্তিত হতাম। দুই ঈদে শ্রমিক বোনাসের সময় ভাল অংকের একটা চাঁদা দিতেও ভুলতাম না জীবনযুদ্ধের এই সহযাত্রীকে। কিন্তু এ যাত্রায় আমাদের প্রয়োজন ছিল পারিপার্শ্বিক শান্তি। বিদেশি অতিথিদের অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন এড়ানো আমাদের জন্যে ছিল বাধ্যতামূলক। মুয়াজ্জিনকে কারখানায় তলব করলাম অসুবিধা গুলো বুঝিয়ে বলার জন্যে। এবং এখানেই উন্মোচিত হল বিনিয়োগ বাণিজ্যের নয়া দিগন্ত। মুয়াজ্জিন সাহেব যা বললেন তার সরল সারমর্ম হলঃ
মসজিদের চাঁদা উঠানোর জন্যে অলিখিত টেন্ডার হয় প্রতি বছর। এ নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছে বেশ কবার, এবং তা খোদ মসজিদে। পেশিতে বেশি শক্তি থাকায় এ যাত্রায় কাজটা চলে গেছে মসজিদ কমিটির প্রেসিডেন্টের পকেটে। বিস্ময়কর সত্য হল চাঁদা যাই উঠুক তার মাত্র শতকরা ১০-২০ ভাগ ফিরে যায় মসজিদ ফান্ডে। বাকি ৮০ ভাগ ভাগাভাগি হয় শহরের বিভিন্ন গলিতে। মুয়াজ্জিন সাহেব সাব-কন্ট্রাক্টরের প্রতিনিধি। যাদের আসল পরিচয় স্থানীয় রাজনীতিবিদ, ছাত্রনেতা এবং ওসি সহ গোটা পুলিশ বাহিনী। চাঁদার আনুমানিক অংকের ধারণা পেয়ে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম। কারখানা, লোকবল, বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাঁদা, ট্যাক্স আর ব্যাংক নিয়ে ২৪/৭ আহাজারী হঠাৎ করে কেমন যেন অর্থহীন মনে হল মসজিদ বাণিজ্যের কাছে। মুয়াজ্জিনকে অনুরোধ করলাম আমাদের প্রয়োজনে সপ্তাহের ঐ দিনটায় অন্তত মসজিদ বিনিয়োগের অফিসটা যেন সরিয়ে নেয়। ক্রুর ও বাঁকা একটা হাসি দিয়ে মুয়াজ্জিন সাহেব চলে গেলেন।
দুদিন পর কারখানায় চুরি হল। চুরি বললে হয়ত কম বলা হবে, এক কথায় লুট। দরজা জানালায় কোন ভাঙ্গন নেই, নেই কোন ক্ষতের চিহ্ন। শ্রমিকদের একজনের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে দরজা খুলতে বাধ্য করে। বাকি কজনকে বাধ্য করে মালামাল ট্রাকে উঠাতে। ভোর হওয়ার সাথে সাথে শ্রমিক সহ কারখানার বাকি সব বিনিয়োগ ভোজবাজির মত হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ উলটো আমাকে আটক করার হুমকি দিল। দুদিন না যেতে পরিষ্কার হয়ে গেল এ লুটের পেছনে কাদের হাত ছিল। সময় মত বিদেশিরা এল এবং কারখানা রুগ্ণ চেহারা দেখে হতাশ হয়ে ফিরে গেল। মাস না ঘুরতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করার অভিযোগ তাদের লোকাল এজেন্ট আমার নামে মামলা ঠুকে দিল। এর পরের কাহিনী অপ্রাসঙ্গিক হলেও তা ছিল আরও ভয়াবহ। তিক্ততায় ভরপুর এ কাহিনী নিয়ে আরব্য উপন্যাস লিখলেও শেষ হবেনা। উঠিয়ে রাখলাম পরবর্তী কোন পর্বের জন্যে।
পুরানো এ অভিজ্ঞতাটা মনে করতে বাধ্য হলাম বিশেষ একটা কারণে। বিদেশি বিনিয়োগের উপর বাংলাদেশের সমসাময়িক অবস্থা পর্যালোচনা করতে গিয়ে আমাদের অর্থমন্ত্রী মাল মুহিত সাহেব এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যা মূল্যায়নের দাবি রাখে। অর্থমন্ত্রীর মতে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাপক হারে হ্রাস পাচ্ছে এবং এর জন্যে এককভাবে দায়ি করছেন দেশের একমাত্র নোবেল লওরিয়াট ডক্টর মোহম্মদ ইউনূসকে। তার মতে ইউনূস বাংলাদেশের ’বিস্ময়কর’ উন্নতিকে গুরুত্ব না দিয়ে বিদেশে গিয়ে দেশ সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ করছেন এবং তাতে বিদেশিরা কান দিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা হতে দুরে থাকছে। এ প্রসঙ্গে প্রতিবেশী দেশের অর্থনীতিবিদ ও নোবেল লওরিয়াট আমর্ত্য সেনকে কোট করে বলছেন তিনিও নাকি একই চোখে দেখেছেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ইউনূসের ভূমিকা। সাংবাদিকদের সামনে রেখে বাংলিশ ভাষায় মাল মুহিত যখন এসব কাণ্ডজ্ঞানহীন, ঘৃণা ও বিদ্বেষপ্রসূত অভিযোগ করছিলেন ডক্টর মোহম্মদ ইউনূস ছিলেন সুদূর ভিয়েনায়। গোটা বিশ্বে সমাদৃত সোস্যাল বিজনেসের উপর আয়োজিত এক সেমিনারের দরিদ্রকে জাদুঘরে পাঠিয়ে বিশ্বকে শান্তিময় করার উপর গুরুত্ব আরোপ করছিলেন। বালার অপেক্ষা রাখেনা সেমিনারে স্পেনের রানী সোফিয়া সহ উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক বিশ্বখ্যাত মুখ। একজন ব্যক্তি কি করে একটা রাষ্ট্রের চাইতে বেশি ক্ষমতা রাখতে পারে তার কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই না আমাদের রাজনীতিবিদদের মুখে, সেদিকে না গিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে শুরু করে পাতি নেতা হয়ে ভার্চুয়াল দুনিয়ার দলীয় পদলেহনকারী পর্যন্ত ঢালাওভাবে দায়ী করছেন ডক্টর মোহম্মদ ইউনূসকে। হোক তা পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের ভূমিকা অথবা বিদেশী বিনিয়োগে সরকারী ব্যর্থতা। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ভিত্তি সম্পর্কে যাদের সম্যক জ্ঞান নেই তাদের হয়ত বিভ্রান্ত করা যাবে প্রধানমন্ত্রী সহ মন্ত্রীসভার বাকি সদস্যদের ইউনূস চুলকানি দিয়ে। দেশীয় রাজনীতির হাগু মুতু দিয়ে বিদেশীদের কতটা প্রভাবিত করা যায় তার প্রমাণ অর্থমন্ত্রীর সাম্প্রতিক আক্ষেপ, ক্ষোভ আর ব্যক্তিগত বিষোদগার।
অর্থমন্ত্রী কোন শতাব্দিতে বাস করেন জানিনা, তবে ৩২ বছর পৃথিবীর বিভিন্ন কোনায় বাস করতে গিয়ে এতটুকু শিখেছি স্বার্থের বাইরে গিয়ে ব্যক্তি অথবা রাষ্ট্র কোথায় কোন বিনিয়োগ করতে যায়না। এটা মুক্তবাজার অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ। হতে পারেন ডক্টর মোহম্মদ ইউনূস একজন নামী দামি মানুষ, পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের দুয়ার হতে পারে তার জন্য সদা উন্মুক্ত, কিন্তু কেবল মাত্র এক ব্যক্তির সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে উন্নত বিশ্বের কোন দেশ তার বিনিয়োগ পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনবে এর নাম মুক্তবাজার অর্থনীতি নয়। অন্য কারও কাছে না হোক বিশ্বব্যাংকের প্রাক্তন কর্মচারী হিসাবে অর্থমন্ত্রীর তা জানার কথা। প্রধানমন্ত্রী সহ মন্ত্রীসভার বাকি সবাই প্রায় অশিক্ষিত। মুখবাজি আর পদলেহন ছাড়া বিশ্ব অর্থনীতি ও এর মেরুকরণ নিয়ে এসব আদমদের আদৌ কোন জ্ঞান অথবা মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয়না। আমাদের দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মূল অভিষ্ট হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট। এহেন কাজে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে শুরু করে রাজনীতির ছটাক নেতা পর্যন্ত একের পর এক রেকর্ড ভঙ্গ করে চলছেন। দেশের ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীকে যে দেশের অর্থমন্ত্রী জুয়াড়ি হিসাবে উড়িয়ে দিতে পারেন তিনি আর যাই হোক অর্থমন্ত্রী পদের যোগ্যতা দাবি করতে পারেন না। জানিনা এসব লগ্নিকারীদের সর্বনাশের পেছনেও মাল মুহিত সাহেবরা ডক্টর মোহম্মদ ইউনূসের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পান কিনা। প্রশ্ন উঠতে পারে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্যে সরকার কি পদক্ষেপ নিচ্ছে। সরকারের প্রায় সব মন্ত্রী পা হতে মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এ তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছেন সাবেক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজু। ল্যাপটপের দেশীয় সংস্করণ দোয়েল নিয়ে তুঘলকি লুটপাটের লোমহর্ষক কাহিনী প্রকাশ করেছে আজকের দৈনিক সমকাল। পত্রিকা দাবি করছে তাদের হাতে প্রমাণ আছে দোয়েলের যন্ত্রাংশ ক্রয়ের নামে মালয়েশিয়া ও নিউ ইয়র্কে লাখ লাখ ডলার অবৈধ লেনাদেনা হয়েছে, যার সিংহভাগ গেছে মন্ত্রী রাজিউদ্দিনের পকেটে। জানিনা এসব লেনা দেনার উৎসও মাল মুহিতের চোখে প্রফেসর ইউনূস কিনা। বাতাসে খবর ভাসছে পদ্মাসেতু নির্মাণে মালয়েশিয়ান আগ্রহের পেছনে আসলে লুকিয়ে ছিলেন আওয়ামী পন্থী সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল হারুন। ডেসটিনি নামের ভেলকিবাজি কোম্পানী বানিয়ে সরকারের নাকের ডগায় হাজার হাজার কোটি লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছেন এই জেনারেল। ধরা পরে মুক্তিযুদ্ধা খেতাবের ছত্রছায়ায় সসম্মানে মুক্তি পেয়ে ফিরে গেছেন স্বাভাবিক জীবনে। কিন্তু এ ফাঁকে ধোঁকাবাজির বেড়াজালে পথে বসিয়ে গেছেন দেশের হাজার হাজার সহজ সরল খেটে খাওয়া মানুষকে। এ দেশে ডক্টর মোহম্মদ ইউনূসের সরকার কায়েম নেই যে জেনারেল হারুনের চুরির জন্যে তাকে দায়ী করা যাবে। দেশের প্রায় প্রত্যেক সরকারী ব্যাংক অভুক্ত শকুনের মত লুটে নিচ্ছে মাল মুহিতের চেলা চামুন্ডারা। তথ্য প্রযুক্তির যুগে এসব খবর কি বিনিয়োগকারীদের কানে যায়না? সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরা কি সরকারী দলের ঘরজামাই যে খোঁজ খবর না নিয়ে বাংলাদেশে টাকা ঢালতে আসবে? দুদিন আগে আইন করে নতুন গ্যাস সংযোগ নিষিদ্ধ করছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। খবর গুলো কি বিদেশে যায়না? নাকি বিদেশিদের সবাই হলমার্ক অথবা সুরঞ্জিত বাবুদের মত লুটের টাকায় কালো পুঁজি যোগার করে যত্রতত্র বিনিয়োগের জন্যে উন্মুখ হয়ে থাকে? আমাদের গ্যাস নেই, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই, আইনশৃংখলা বলতে কিছু নেই, সুশাসন ঠাঁই নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়, সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টাদের মাথায় ঝুলছে বিশ্বব্যাংকের মত আর্ন্তজাতিক সংস্থার দুর্নীতির অভিযোগ। এমন একটা দেশে মাল মুহিতদের ললিপপ চেহারা আর প্রধানমন্ত্রীর নষ্ট মুখের নষ্টামিতে বিনিয়োগের জন্যে বিদেশিরা আকৃষ্ট হবে এমনটা ভাবা নিছক ভন্ডামি। বাস্তবতা হচ্ছে দেশে দুর্নীতি আর লুটপাটের মহাসমুদ্র বইছে, আর তাতে প্রাণ খুলে সাতার কাটছে মাল মুহিত সাহেবের সাঙ্গপাঙ্গরা। মিথ্যা দিয়ে মহাসমুদ্র ঢাকা সহজ কাজ নয়, ডক্টর মোহম্মদ ইউনূসকে ভেলা বানিয়ে লুটপাটের দরিয়া পাড়ি দেয়ার হাসিনা প্রকল্প তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। মাল সাহেবরা ইউনূসের নামে আকাশে যে থুথু ছুড়ছেন তা নিজেদের কাছে ফিরে আসতে বাধ্য এবং দিনশেষে ব্যক্তি ইউনূসের তাতে কতটা ক্ষতি হবে সময়ই তা প্রমাণ করবে।
ইউনূস গীবত ছেড়ে মাল মুহিত সাহেবদের সময় হয়েছে চামড়া বাঁচানোর চিন্তা করার। আশাকরি যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক মন্ত্রী নামের এসব দস্যুদের দাঁড় করাবে আদালতের কাঠগড়ায়। ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীকে সর্বশান্ত করার অপরাধ, ডেসটিনির নামে হাজার হাজার কোটি লুটে নেয়ার অপরাধ, পদ্মা সেতুর আর্ন্তজাতিক দুর্নীতি, হলমার্কের ছত্রছায়ায় সরকারী ব্যাংক উজার করার অপরাধ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে জাতীয়করণ করার অপরাধ গুলো কি যথেষ্ট হবেনা এসব মন্ত্রীদের বাকি জীবনের জন্যে জেলে ঠেলে দেয়ার? এক টাকা বিনিয়োগ করে সত্তুর টাকা আয়ের বাংলাদেশি বাস্তবতা বাকি বিশ্বের জন্যে নতুন কোন সংবাদ নয়, এসব সংবাদ প্রতিদিন শোভা পাচ্ছে উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। এ জন্যে প্রফেসর ইউনূসকে দায়ী করে সাময়িক রক্ষা পাওয়া যাবে ঠিকই, কিন্তু যখন সময় আসবে মাল মুহিতদের শেষ ঠিকানা কি হবে তা জানার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকবো।