মুক্তিযুদ্ধের নটা মাস বলতে গেলে দাদাবাড়িতেই কাটাতে হয় আমাদের। বড় পরিবার নিয়ে ঠাঁই নেয়ার মত দ্বিতীয় কোন জায়গা ছিল না বাবার হাতে, তাই নির্দেশ পাওয়া মাত্র এক কাপড়ে রওয়ানা দেই গ্রামের দিকে। চলাচলের জন্য তেমন কোন যানবাহন ছিলনা ওদিকটায়। যা ছিল তা-ও ব্যস্ত ছিল শহরে সদ্য আসা ইপিআরের কাজে। এপ্রিল মাস। আবহাওয়া তেঁতে ফেটে একেবারে চৌচর। তপ্ত লু হাওয়ার সাথে দাউ দাউ করে জ্বলছে রাজনীতির আগুন। বাতাসে বারুদ আর গুজবের গন্ধ। এমন একটা জটিল ও অনিশ্চিত অবস্থায় বন্দুকের নলের মুখে শহরের সবকটা ব্যাংক লুটে নেয় ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতারা। ৩ তারিখ সন্ধ্যায় নাপিত, মুচি ও কসাই, যারা উর্দুতে কথা বলতো, তাদের কজনকে মেঘনার হাঁটু পানিতে নামিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুজবটা দাবানলের মত গ্রাস করে নেয় শহরকে, ওদের নাকি দেখা গেছে ২০ মাইলের ভেতর। ওরা মানে পাকিস্তানিরা। তখনই আসে বাবার হুকুম, শহর ছেড়ে গ্রামের দিকে চলে যেতে হবে এবং যথা সম্ভব দ্রুত। হেটে ২০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে সে রাতেই হাজির হই দাদাবাড়িতে। পরদিন সকাল না হতেই ওদের সাড়া পাওয়া যায়। তবে এ যাত্রায় স্থল পথ নয়, আকাশ পথে। দুটি জঙ্গি বিমানের যুগপৎ আক্রমনে কেঁপে উঠে শহর। জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায় শহরের জমজমাট বাজার। আহত নিহতের আর্তনাদে তৈরী হয় বীভিষিকাময় পরিবেশ। আগুনের লেলিহান শিখা তাৎক্ষণিক ফিরিয়ে নেয় শহরে। আমার জন্যে এটাই ছিল কাছ হতে যুদ্ধ দেখার প্রথম ও শেষ সুযোগ। একদিকে আগুনের শো শো আওয়াজ, পাশাপাশি শহরজুড়ে লুণ্ঠনের তান্ডব কিছুটা হলেও ধারণা দিয়েছিল সামনের দিন গুলোর। ব্যবসা বাণিজ্য বলতে আমাদের যা ছিল তার সবটাই সমাহিত হয়ে যায় আগুন ও লুণ্ঠনের কবরে। ক্লান্ত, শ্রান্ত ও বিধ্বস্ত হয়ে ফিরে আসি গ্রামে।
দাদাবাড়ির গ্রামটা ছিল খুব অদ্ভুত। ত্রিসীমানায় বিদ্যুতের কোন চিহ্ন ছিলনা। সূর্য্য ডুবার সাথে সাথে গভীর ঘুমে ডুবে যেত গোটা গ্রাম। ঝি ঝি পোকার আওয়াজ ও খেঁকশিয়ালের ডাক পিলে চমকে দিত আমার মত আগন্তুকদের। গ্রামের অনেকের কাছে ইঞ্জিনের গাড়ি ছিল কল্পলোকের কেচ্ছার মত। মাঝে মধ্যে মদনগঞ্জ লাইনে রেলগাড়ির আওয়াজ ভেঙ্গে খান খান করে দিত শত বর্ষের নীরবতা। সে গ্রামই হঠাৎ করে সরব হয়ে উঠল। শহরে যারা চাকরি করতো তাদের সবাই ফিরে এলো। ঘরে ঘরে নতুন অথিতি আসায় জমে উঠলো সামাজিক জীবন। যুদ্ধটা এভাবেই শুরু হয় আমাদের জন্য। সন্ধ্যায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও সেরাজুর রহমানের বিবিসি, দিনে টাঙ্গাইলের কাদের সিদ্দিকী সহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব নিয়ে জল্পনা কল্পনা। এভাবেই চলে গেল মে, জুন, জুলাই। শুঁকনো মৌসুমের শুরুতে ফসল ফলানোর আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পরলো সবাই। পৈত্রিক সূত্র ছাড়াও বাবার কেনা অনেক জমি ছিল আমাদের। বছর জুড়ে চাষাবাদের চলতো এবং শহরের বাড়িতে সাপ্লাই যেত ফসলের ডালা। স্কুল নেই, লেখাপড়া নেই, এবং কবে নাগাদ শুরু হবে তাও ছিল অনিশ্চিত। পৌষের সুন্দর এক সকালে বাবা সমন জারি করলেন, মাঠে যেতে হবে আমাদের এবং কৃষিকাজে সাহায্য করতে হবে কামলাদের।
গায়ে গতরে মাংস কম থাকায় আমাকে অব্যাহতি দেয়া হয় চাষাবাদ হতে। গঞ্জের বাজারে নতুন একটা ব্যবসা চালু হয়েছে আমাদের। আমাকে নিয়মিত যেতে হবে এবং খাতাপত্র লেখায় কেরাণীকে সাহায্য করতে হবে। বাবা ছিলেন খুব গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ যে কারণে ভাইবোন কারও সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেনি। ব্যবসা ও রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক দায় দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। পৌষের সুন্দর সকালে সে বাবাই প্রস্তাব করলেন, কাজ না হোক, মাঠে যেতে হবে জমিজমার সাথে পরিচিত হতে। দাদাবাড়িতে খুব কম আসা হয়। মাঝে মধ্যে কুরবানী ঈদ করতে বাধ্য করেন বাবা। এর বাইরে এখানে আসার তেমন কোন উপলক্ষ ও আকর্ষন ছিলনা। সঙ্গত কারণেই এলাকার কেউ আমাকে চিনত না। ছাতা ও সাথে করিম কাকাকে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম রাস্তায়। উত্তর চকে পা রাখতেই চোখে পরলো বাড়িটা। পুরানো আলিশান বাড়ি। চুন সুরকি খসে খসে পরছে। দেখে মনে হল পরিত্যাক্ত। বাবাকে জিজ্ঞেস করতে থেমে গেলেন। চুপ করে রইলেন কিছুক্ষণ।
জমিদার বাড়ি। অনেকটাই পরিত্যাক্ত। মল্লিক বংশের যারা বেঁচে আছে তাদের সবাই এখন ভারতে। ভবানী শংকর মল্লিক ছিলেন শেষ জমিদার যাকে খাজনা দিয়েছিল এলাকাবাসী। ভুতুরে বাড়িটার মালিকানা নিয়ে এখন নাকি গোলমাল চলছে, তাই মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে উচ্চ আদালত। বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম। শক্ত ও কঠিন চরিত্রের মানুষটার মুখ হঠাৎ করে সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর মত দেখালো। আমি জানতাম বাবার ছোটকাল কেটেছে এখানে। হয়ত মনে করার মত নস্টালজিয়া ভর করেছে। কিছুটা পথ নীরবে হাঁটার পর মুখ খুললেন এবং যা বললেন তা শুনে আমি স্তব্দ। পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়নি তখনও। মল্লিকদের রাজত্বে বাস করছে এলাকার চাষাভুষার দল। ইংরেজদের সাথে আতাত করে জমদারিত্বের নামে স্টীম রোলার চালাচ্ছে সহজ সরল খেটে খাওয়া মানুষের উপর। গায়ের জোরে, অস্ত্রের মুখে খাজনা আদায় করেছে এবং তা দিয়ে আমুদ আয়েশ করছে দেশে বিদেশে। তেমনই এক সম্ভ্রান্ত চাষি পরিবারে বাবার জন্ম । কৈশোরের দুরন্তপনা ঠেকাতে পরিবারের বাকি সবাই মিলে স্কুলে যেতে বাধ্য করেন। কিন্তু এখানেও বাদ সাধে জমিদার পরিবার। কেবল বাবার বেলায় নয়, মুসলিম পরিবারের যে কোন সন্তানকে স্কুলে দেখা গেলে অভিভাবকদের ডেকে পাঠাতেন এবং তিরস্কার করতেন। এভাবে সফল না হলে ভয় দেখাতেন, খাজনা আদায়ে জোর জবরদস্তি বাড়িয়ে দিতেন। উদ্দেশ্য একটাই, মুসলমান প্রজাদের শিক্ষা হতে দুরে রাখা। এসব ভয়ভীতি বাবার স্কুলে যাওয়া আটকাতে পারেনি। তবে স্কুলে গিয়ে যা দেখলেন তা না যাওয়ার চেয়ে কোন অংশে কম ছিলনা। মাটিতে বসতে হতো বাবার মত মুসলমান পরিবারের বাকি সবাইকে। হিন্দু পরিবারের জন্য সংরক্ষিত থাকতো বসার বেঞ্চ। জমিদার পরিবারের সন্তানরা যখন ক্লাশে ঢুকত চাটাই ও মাদুরে বসা বাকি সবাইকে দাঁড়াতে বাধ্য করা হোত। জমিদার বাড়ির চারপাশটায় কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর বাবা আঙ্গুল উচিয়ে দেখালেন মেঠোপথ গুলো। পায়ে জুতা ও হাতে ছাতা নিয়ে এ পথে হাটাঁর অনুমতি ছিলনা। নিয়ম ছিল মল্লিক বাড়ির নির্দষ্ট ক্রোশের ভেতর হাঁটতে গেলে জুতা হাতে নিতে হবে, ছাতা বন্ধ করতে হবে। তবেই অনুমতি মিলত হাটাঁর।
বাবা মারা গেছেন আজ প্রায় ২৪ বছর। আমাদের শহর শত্রু মুক্ত হয় ১২ই ডিসেম্বর এবং একই মাসের শেষ সপ্তাহ দাদাবাড়ি পর্বে ইতি টেনে ফিরে যাই নিজ শহরে। হারানো ব্যবসা বানিজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজে বাবাও ঝাঁপিয়ে পরেন সর্ব শক্তি নিয়ে। ধীরে ধীরে মলিন হয়ে আসে নিরুদ্দিষ্ট ন’মাসের স্মৃতি। জমিদার বাড়ির ছোট্ট ঘটনাটা কোনদিন আর সামনে আসেনি। সত্যিকারের ধার্মিক হয়েই বাকি জীবন কাটিয়ে ছিলেন বাবা। কিন্তু কোনোদিনই সন্তানদের মগজে ঢুকিয়ে দেননি হিন্দু জমিদারদের অন্যায়, অবিচার ও নির্মমতার অধ্যায়। চাইলে আমরা নিতে পারতাম চাষাভুষা বলে অবজ্ঞা করার প্রতিশোধ, ফিরিয়ে দিতে পারতাম জুতা হাতে হাটতে বাধ্য করার প্রতিদান। কিন্তু সেভাবে বড় হইনি আমরা। বাবাও সেভাবে মানুষ করেননি আমাদের। বড় হয়ে দেখেছি বাবার কর্মচারীদের সবাই ছিলেন হিন্দু। ওমেশ কাকু, চিত্ত কাকু, ভুষন কাকু, পরিমল কাকু, এরা কেউ হিন্দু ছিল এ চিন্তা কোনদিন মাথায় আসেনি। এদের সবাইকে পরিবারের অংশ হিসাবেই জানতাম আমরা। সেভাবেই দেখতে বাধ্য করেছিলেন বাবা। অথচ সে কাকুদের একজন অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে বাবাকে জেল-হাজত পাঠাতে পর্যন্ত কার্পণ্য করেনি।
সংখ্যালঘু অত্যাচার বাংলাদেশে আসলেই কি বড় ধরণের সমস্যা? মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানো বুদ্ধিজীবীরা হয়ত এক বাক্যে বলবেন, কেবল সমস্যা নয়, একমাত্র সমস্যা। ভার্চুয়াল দুনিয়ার লাইক পাওয়া সংস্কৃতিতে সংখ্যালঘু নিয়ে আহাজারি অনেকটা সাহিত্য সৃষ্টির পর্যায়ে চলে গেছে। অনেকে হয়ত অবাক হয়ে প্রশ্ন করবেন, তাহলে সংখ্যালঘু সমস্যা বলতে বাংলাদেশে আদৌ কি কোন সমস্যা নেই? নিশ্চয় আছে। পৃথিবীর দেশে দেশে এ সমস্যা বিদ্যমান। পারিপার্শ্বিক বাস্তবতার আলোকে সমস্যার একটা রূপরেখা টানতে গেলে বৈধ প্রশ্ন উঠবে, বাংলাদেশে এর কতটা সাম্প্রদায়িক ও কতটা রাজনৈতিক? একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা হয়ত কিছুটা পরিষ্কার হবে। ভারতে যে বছর বাবরী মসজিদ ভাঙ্গা হয় সে বছরের কথা। ঘোষণা দিয়ে মসজিদ ভাঙ্গা হবে এমন কোন খবর আমাদের জানা ছিলনা। যে দিন ভাঙ্গা হল তার পরের দিন ঘটে গেল অভাবনীয় ঘটনা। আমাদের শহর হতে প্রায় দশ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সাহা, দাস ও পাল পরিবারের বেশ কজন প্রতিষ্ঠিত হিন্দু ব্যবসায়ী। বাকিতে ব্যবসা করে পাওনা টাকা না মিটিয়ে বরং নগদ যতটা পাওয়া যায় তা নিয়ে পাড়ি জমান প্রতিবেশী দেশে। সর্বশান্ত হয়ে যায় আমাদের মত অনেক ব্যবসায়ী। যারা কাজটা করেছিল তারা এক সময় ফিরে এসেছিল, তবে তা আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ছত্রছায়ায়। দেশে ফেরার সাথে কয়েক ডজন পাওনাদারের মুখোমুখি হতে বাধ্য হয় চোরের দল। জনআক্রোশে আক্রান্ত হয়ে অনেকে আহত হন। এবং এখানেই গর্জে উঠে বুদ্ধিজীবীদের কলম। সাম্প্রদায়িক ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের মহাকাব্য রচনা করতে গিয়ে চরিত্র হনন করেন সর্বশান্ত হওয়া ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে আঙ্গুল দেখিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ বিএনপি-জামাতি জোটের দিকে। রাজনৈতিক লাভ-লোকসানের সমীকরণের জাহাজে চড়ে পার পেয়ে পায় একদল লুটেরার দল। ব্যাপারটা এমন পর্যায়ে চলে যায় যেখানে মুসলমান চোরকে গণপিটুনি দিলে হয় যোগ্য শাস্তি, একই শাস্তি হিন্দু চোরদের দিলে তা হয় সংখ্যালঘু নির্যাতন। চুরির চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস লাগিয়ে দেশের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রে কালিমা লাগানোর পেছনেও কাজ করে রাজনীতি। একদল লাভবান হয়ে আর্থিক ভাবে, অন্যদল রাজনৈতিক ভাবে এবং পাশাপাশি জাতির কপালে জুটে সাম্প্রদায়িকতার টীকা।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ না হলেও সাম্প্রদায়িক অসম্প্রীতির দেশে নয়। দেশ হতে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উৎপাটন করে কেবল সংখ্যাগুরু মুসলমানদের বাস নিশ্চিত করতে হবে, এহেন অসুস্থ চিন্তা কিছু ধর্মীয় উন্মাদদের ভেতর কাজ করলেও সংখ্যায় তারা যেমন হাতে গোনা, তেমনি এ চিন্তা বাস্তবায়ন করার প্রেক্ষাপটও নেই এ দেশে। পেটি লুটেরার দল মাঝে মধ্যে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালায় তার মূল কারণ ধর্মীয় নয়, বরং ভোটের সমীকরণ, আর্থিক লাভক্ষতি ও ব্যক্তিগত হিংসা প্রতিহিংসার ফয়সালা। ভারতের নরেন্দ্র মোদির মত সরকারের স্পনসরে এখানে নিধন হয়না। প্রতিবেশী মায়ানমারের মত কচুকাটা করা হয়না সংখ্যালঘুদের। শ্রীলংকার তামিলদের মত এখানে লড়াই নেই পৃথক আবাস ভূমির জন্যে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার রাজনৈতিক রোডম্যাপ বাস্তবায়নের কাজে ব্যবহার করছে দেশের সংখ্যালঘুদের। রাজধানী সহ অনেক অতি জরুরি পদে গুনে গুনে চাকরি দিচ্ছে একটি বিশেষ গুষ্টির লোকদের। এবং এ গুষ্টি দুহাত ভরে প্রতিদান ফিরিয়ে দিচ্ছে সরকারের পাতে। স্বভাবতই বাড়ছে ক্ষোভ ও জনরোষ। সন্দেহ নেই ক্ষমতার পট পরিবর্তন আবারও ডেকে আনবে প্রতিশোধ পর্ব। মূল সমস্যায় না গিয়ে আমরা হয়ত নতুন করে গর্জে উঠবো সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে।
বাংলাদেশ রাজনৈতিক ভাবে অসুস্থ একটি দেশ। এখানে রাজনীতির জটিল, কুটিল ও করাল থাবা হতে কেউ মুক্ত নয়। জাতীয় চরিত্রের অবক্ষয়ের বহিঃপ্রকাশ এখন ঘরে ঘরে। খুন, গুম, হত্যা, ধর্ষন, ছিনতাইয়ের শিকার এখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই। এ শিকার কেবল সংখ্যাগুরুদের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকতে হবে এমনটা যারা ভাবেন তাদের অনুরোধ করবো আমাদের আগের ইতিহাস ঘেটে দেখতে। এক মাসে সরকারের হাতে এ দেশের ২০০ মানুষ খুন হয়েছে? কোথায় গেল প্রতিবাদ? কোথায় গেল প্রতিরোধের ডাক? কোথায় গেল মানবতার মাতম? নাকি মুখে দাড়ি ছিল বলে এরা সবাই অমানুষ? তাহলে আমরা কি ধরে নেব সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ডাক সবই রাজনৈতিক, অথবা লাইক পাওয়ার অসুস্থ সংস্কৃতি?