বিদেশ সফরে বিশ্বরেকর্ড করার জন্য এই মন্ত্রীকে অভিনন্দন না জানালেই নয়। বিগত সাড়ে চার বছরে ৬০০ দিন অর্থাৎ প্রায় দুই বছর বাইরে কাটিয়ে নয়া বিশ্ব রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়েছেন হাসিনা মন্ত্রীসভার এই সদস্যা। পৃথিবীর কোন জীবিত অথবা মৃত মন্ত্রীর নামের বিপরীতে এক টার্মে এতবার ও এতদিন বিদেশ সফর করার রেকর্ড আছে বলে কারও জানা নেই। চাইলে জাতি হিসাবে আমরা গর্ব করতে পারি। কূটনৈতিক পাড়ায় চালু আছে মন্ত্রী নাস্তা করেন দিল্লিতে, লাঞ্চ সারেন জেনেভায় এবং ডিনার করেন বন্দর শেরি বেগওয়ানে। সংসদ ভাঙ্গার আগে মন্ত্রী ভ্রমণে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকাতে সক্ষম হবেন। ২০ বার লন্ডন, ১১ বার সুইজারল্যান্ড, ৪ বার জার্মানি সহ বিশ্বের খুব কম দেশই বাদ গেছে দীপু মনির সফর তালিকা থেকে। ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক মিয়ানমার, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, মিশর, চীন, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, পর্তুগাল, ভুটান, ইতালি, জাপান, ইরান, কাজাখস্তান, নেদারল্যান্ডস, ভিয়েতনাম, নরওয়ে, কিউবা, সাউথ আফ্রিকা, সিরিয়া, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ডেনমার্ক, মরিশাস, ফিলিপাইন, নেপাল, তাজিকিস্তান, জিবুতি, ব্রাজিল, উগান্ডা, বেলজিয়াম, স্পেন, কানাডা, লিথুয়ানিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ওমান, তুর্কমেনিস্তান, ব্রুনাই দারুস সালাম, লাটভিয়া- কোথায় যাননি তিনি। এ পর্যন্ত সর্বসাকুল্যে ৪০ কোটি টাকা খরচ করতে সক্ষম হয়েছেন। ভ্রমণ তালিকায় মাত্র ১৭টি দ্বিপক্ষীয় সফর, বাকি সব ফটোশেসনের হাজিরা।
জনাবা মনি, বেচে থাকুন আপনি। আরেক জনমে জন্ম নিলে ঈশ্বরকে বলবেন চোখ ও মুখের চামড়া যেন কিছুটা পুরো করে বানায়। ১৬ কোটি মানুষের সম্পদ এভাবে লুটতে চাইলে চামড়ার ঘনত্ব বেশি হওয়াটা জরুরি। কেবল গোলাম আযমরাই এ জাতিকে খুন আর ধর্ষণ করেনি, আপনারাও করছেন। ফাঁসির দড়িটা আপনার গলায় শোভা পেলে প্রাণভরে উপভোগ করতাম আপনার শেষ যাত্রা।