রাত নটা। স্থান সাভার বাজার রোড। ধামরাই উপজেলার ফোর্ডনগর গ্রামের ফারুখ হোসেন ফকিরের ছেলে শামীম মোবাইল ফোন রিচার্জ করার জন্য রাস্তায় বের হয়। থামে বাজার রোডের একটা দোকানে। সে প্রতিবন্ধী। প্রায় একই সময় একই দোকানে একই উদ্দেশ্যে হাজির হয় জাহিদুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল এবং কামরুল আহসান ওরফে জনি নামের জনৈক দুই যুবক। দোকানে ব্যায় করার মত যথেষ্ট সময় নেই তাদের হাতে। বেজায় ব্যস্ত তারা। ভাজি করার মত বড় বড় মাছ তাদের মেন্যুতে। তাই ফ্লেক্সি লোডের মত পুটি মাছে সময় নষ্ট করতে চাইলোনা। শামীমকে ধমক দিয়ে সরে যেতে বললো। শামীম 'আগে আসলে আগে পাওয়া যায়' এই তত্ত্বে বিশ্বাসী। তাই প্রতিবাদ করলো। যুবকদ্বয়ও কম যায়না। শামীমের গালে থাপ্পর মেরে জানিয়ে দিল তারা যেনতেন কেউ নয়, বরং যথাক্রমে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্ববায়ক ও যুগ্ম আহ্ববায়ক। থোরাই কেয়ার করল শামীম। আর যায় কোথা! পাশের দোকান হতে রড এনে বেধড়ক পিটুনি দিল বেয়ারা শামীমকে। আঘাতে বা হাত ভেঙ্গে গেল, মাথার একদিক থেতলে গেল। অচেতন শামীম লুটিয়ে পরল মাটিতে। ফোন লোড করে বীরের মত চলে গেল চেতনার জোয়ারে ভাসমান বঙ্গবন্ধুর দুই সৈনিক। এতক্ষণ দর্শক হয়ে থাকা স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এল এবং শামীমকে নিয়ে গেল এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। একদিন পর চিকিৎসাধীন শামীম লুটিয়ে পরল মৃত্যু কোলে।
দ্রষ্টব্যঃ কেবল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষ কিছু পায়।