শেখ হাসিনা,
আজ আর নামের আগে পিছে জনাবা, মহামান্যা অথবা জননেত্রী বলতে যাচ্ছিনা। কেবল শেখ হাসিনা। শেখ বাদ দিলে বোধহয় আরও ভাল শোনাত। আপনার নিশ্চয় মনে আছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সর্বশেষ ইরাক ভ্রমনের ইতিবৃত্ত? পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের প্রেসিডেন্টকে একজন সাধারণ ইরাকী সাংবাদিক মুখে জুতা ছুড়ে ইরাক হতে বিদায় করেছিল। সম্ভব হলে এ মুহূর্তে আমিও আপনার মুখে জুতা ছুড়ে মারতাম। ঝেটিয়ে বিদায় করতাম বাংলাদেশ হতে। আপনি আয় করেছেন এ প্রাপ্য। দিনের পর দিন দেশ শাসনের নামে আপনি মানুষ হত্যা করেছেন, গুম করেছেন, ক্রসফায়ারে দিয়েছেন, যেমনটা দিয়েছিলেন আমার স্বনামধন্য পিতা। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের নামে জাতিকে বিভক্ত করেছেন। ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন রক্তের নোনা স্বাদ। হাজার বছরের সংস্কৃতি সমৃদ্ধ একটা জাতি আজ নাম লিখিয়েছে পশুর তালিকায়। রক্তের ফোয়ারায় জাতিকে দিয়েছেন উল্লাসের পশুত্ব। মুক্তিযুদ্ধ নামের স্লো পয়জনিং জাতির শিরা উপশিরায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন খুনের নেশার মত। অমিত সম্ভাবনাময় একটা জাতির অতীত, বর্তমান ও ভবিষৎকে সমাহিত করেছেন লুটের ভাগাড়ে। রাজনৈতিক পছন্দ নাগরিকদের জন্মগত অধিকার। এ অধিকারের জন্য আপনি অথবা আপনার পরিবারের লাইসেন্স নিতে হবে এমন খত দিয়ে এ জাতি যুদ্ধ করেনি।
মানুষের মৌলিক অধিকার দলিত মথিত করে নির্বাচন নামের যে পরিহাস জাতিকে উপহার দিয়েছেন তার বাজার মূল্য এখনো নির্ধারিত হয়নি। একদিন হবে এবং সঠিক মূল্য দিয়েই কেনা হবে আপনার পরিহাস। জেল, হাজত, দলন, মথন আর বালুর বস্তা দিয়ে হয়ত আটকানো গেছে বিশেষ দল ও জোটের কাফেলা। কিন্তু দলের বাইরেও এ দেশে কোটি কোটি মানুস বাস করে। আপনি আটকাতে পারেননি তাদের হূদয়। সে হূদয়ের প্রতি কনায় আপনার জন্য জমা হচ্ছে রাশি রাশি ঘৃনা। এক দলা থুথু রইল আপনার জন্য। এই থুথুই আমার ভোট। আপনার জন্য আমার নির্বাচনী রায়