মাঠের তামাশা শেষ হলেও ভোটের সামগ্রিক তামাশা এখনো শেষ হয়নি। মিথ্যা দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে এর দ্বিতীয় পর্ব। ’সুষ্ঠু’ ’অবাধ’ ও ’ব্যাপক’ অংশগ্রহনের নির্বাচনের জন্য অভিনন্দনের জোয়ার আসবে উজান হতে। গোয়েবলসীয় সূত্রে সে জোয়ার এক সময় সত্য হয়ে দলীয় ইতিহাসের পাতা আলোকিত করবে। ভার্চুয়াল দুনিয়ার কিছু ছাগলের ৩নং বাচ্চা এ নিয়ে উচ্ছাস করবে। মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানো সুশীলদের কলম হতে বের হবে এমন সব শব্দ আর অর্থ খুজতে আমাদের ধর্না দিতে হবে ডাক্তারের কাছে। এটাই বাংলাদেশ। এখানে সূর্যকে চাঁদ বললে সেটাও সত্য প্রমানে লোকের অভাব হয়না। ভোটের ‘সাফল্য’ও বাদ যাবেনা এ তালিকা হতে। হরেক রকমের তেনা পেচানো হবে। কবিতায়, গানে, সভায়, সেমিনারে গাওয়া হবে নির্বাচনের স্তুতি। ভাটির দেশের মানুষ হিসাবে আমাদের গিলতে হবে উজানের এ জোয়ার। তাহলে সাড়াদিন ধরে ভোট নামের যে তামাশা আমরা উপভোগ করলাম তা কি চাপা পরে যাবে গোয়েবলসদের চাপার তলে? ক্ষতি কি এমনটা হলে! আমাদের তো হারানোর তেমন কিছু বাকি নেই। তা হলে আর ভয় কেন?
আমার এ লেখাটা হার ম্যাজেষ্টি দ্যা কুইন অব বাংলাদেশের জন্য নয়। কারণ তিনি এখন আন্ধা, কালা, বোবা, বয়রা, নির্লজ্জ, বেহায়া। এক কথায় জীবন্ত উপকথা। লেখাটা বরং উনার মায়ের পেটের খালাত বোন বেগম জিয়ার জন্য। ভোট নামের তামাশা এ জাতি বর্জন করেছে আপনার ডাকে অথবা সমর্থনে ভেবে থাকলে ভুল করবেন। বরং তা ছিল রাজনীতিবিদ্দের প্রতি জনগণের বার্তা। ভোট ও ভাত নিয়ে ছিনিমিনি খেললে এ দেশের মানুষ কাউকে কোনদিন ক্ষমা করেনি। অতীতে আইয়ুব, ইয়াহিয়াদের যেমন করেনি এ যাত্রায় শেখ হাসিনাও বাদ যাননি। জনাবা জিয়া, ক্ষমতার রঙ্গিন মসনদ আপনাকে হাতছানি দিচ্ছে। নতুন দিনের এ উষালগ্নে আপনার কাছে একটাই প্রশ্ন, কিছু কি শিক্ষা নিচ্ছেন এ অধ্যায় হতে? আমরা যারা ভার্চুয়াল দুনিয়ার সৈনিক এবং নীরবিচ্ছিন্ন ভাবে শেখ হাসিনার অবৈধ কর্মকান্ডের সমালোচনা করে যাচ্ছি তারা কিন্তু পিছু হটবেনা। যেদিন হতে আপনি শেখ হাসিনার জুতায় পা রাখবেন আমাদের তরবারী ঘুরে যাবে এবং ধাওয়া করবে আপনাকে।
ভার্চুয়াল জগৎ হতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা। এ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল, মার্কা অথবা প্রার্থীর জয় হয়নি, জয় হয়েছে আপনাদের।