১) সন্তান হারানোর শোক কি এতটাই সংক্ষিপ্ত যে চোখের পানি না শুকাতেই বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বন্ধ করে ভাতে ও পানিতে মারার ব্যবস্থা নিতে হবে? দুদিন আগে তিনি দৌড়ে গেলেন কাঙ্গালিনী মা বনে, আজ তিনি বনে গেলেন কাঙ্গালিনী সুফিয়া। হাতে দোতারা আর চোখে প্রতিশোধের আগুন নিয়ে হাসলেন পিচাশের হাসি। পাঠালেন বিদ্যুৎ টেকনিশিয়ান...হুকুম দিলেন, যাও শোকাগ্রস্থ মাকে বিদ্যুতহীন কর যাতে তিনি বেশি বেশি চোখের পানি ফেলতে পারেন। কারণ অন্ধকারের পানিতে নাকি চেতনার গন্ধ থাকে। আর সে চেতনা শুকতে শুকতে হুলো বেড়ালের মত আকাশ হতে মর্ত্যে নেমে আসেন কোটি বছরের সেরা বাঙ্গালী। অখণ্ড ভারত হতে ব্রিটিশ, খণ্ডিত ভারত হয়ে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান হতে বাংলাদেশ, রাজনীতির এ জার্নি কখনোই সহজ ছিলনা। ছিল পিচ্ছিল, ছিল কর্দমাক্ত। কিন্তু এমন নির্লজ্জ বেহায়াপনা, উদাম বেশ্যাবৃত্তি আইয়ুব-ইয়াহিয়া-মোনায়েম গংদেরও করতে দেখা যায়নি। তিনি তাই করছেন। সব বিবেচনায় নতুন প্রজন্মের যারা দলকানা পতিতাবৃত্তিতে এখনো নাম লেখাননি তারা চাইলে বুঝে নিতে পারেন কেন ১৯৭৫ সালের শেখ মুজিবের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে এ দেশের মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল। চেতনার ফতোয়া দিয়ে দোররা মারার সংস্কৃতি এক সময় ফিরে আসবে। রুদ্র মূর্তিতে ফিরে আসবে। ছোবল হানবে, বিষাক্ত ছোবল। হাতের দোতারা গলির ধারের ড্রেনটায় গড়াগড়ি খাবে...পথকলিদের কেউ সে ড্রেনে পেচ্ছাব করবে। এবং সে পেচ্ছাব অজগর সাপের মত হিস হিস করবে, একেঁ বেঁকে গ্রাস করে নেবে কাঙ্গালিনীর দোতারা। তখন আমরা হাসবো...হাসবো পিচাশের হাসি। তখন যেন না বলেন, ওরা মানুষ ছিলনা, ছিল ফেসবুকমারানী!
২) সমস্যা পেট্রোল বোমায় জন্মায়নি...সমস্যা হরতালে বেড়ে উঠেনি..সমস্যার ডালপালা অবরোধে প্রসারিত হয়নি... সমস্যার জন্ম বিচারপতি খায়রুল ও শেখ হাসিনার অসুস্থ জরায়ুতে। সে মগজ-দ্বয় হতেই জন্ম নিয়েছে আজকের পৈশাচিকতা। যে সমস্যার লাশ রক্ত নদীতে অবগাহন করিয়ে সমাধিস্থ করা হয়েছিল সে লাশ খায়রুল-হাসিনা গং কবর হতে উঠিয়ে জাতির কপালে আছড়ে ফেলেছে চাওয়া পাওয়ার হিসাব মেলাতে। দেশ নাকি পিতার পেটে নয় মাস দশ দিনের গর্ভাবস্থার পর পাকিস্তানের জেলে জন্ম নিয়েছে। তাই এর মালিকানা এখন উনার, পরিবারের বাকি সবার। ২০৪২ সাল পর্যন্ত চলবে এ রাজশাসন। আর তার জন্য প্রয়োজন বলি। যুবরাজ যুবরানীরা সুয়োরানী দুয়োরানীদের দুঃখ নিয়ে বাস করেন আম্রিকা ও বিলাত নামের জঙ্গলে। বিবাহ করেন অচিন রাজ্যের রাজকুমার ও রাজকুমারীদের...। তেনাদের ধমনী পবিত্র রাখতে প্রয়োজন অঢেল রক্ত। হে মাতাপিতা, হে এসএসসি পরীক্ষার্থী, হীরক রাজ্যে লেখাপড়ার প্রয়োজন কেন? যা লেখার, যা পড়ার তারা তো সবই লিখে নিয়েছে, পড়ে ফেলেছে, তা হলে আর পরীক্ষা কেন? তোমারা বৈজ্ঞানিকের দিতে তাকাও, খুঁজে পাবে সব উওর। কথায় বলে...লেখাপড়া করে যে, গাড়ি চাপা পরে সে...জানার শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই! তোমরা জানতে চেয়ে বৈজ্ঞানিকের অপমান করোনা। তোমরদের কাজ ট্যাক্স দেয়া...ট্যাক্স দাও...বেশি বেশি দাও...নগদে না পারলে রক্ত দিয়ে শোধ করে জন্মের প্রতিদান। পাকিস্তানের জেলে তোমাদের জন্মদিতে অনেক কষ্ট হয়েছে, কাড়ি কাড়ি খরচ হয়েছে। সে দেনা শোধ না করে তোমাদের পরীক্ষা দিতে দেয়া যাবেনা...প্রয়োজনে বালুর ট্রাক আনা হবে...দরকারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হবে...গ্যাস যাবে, ইন্টারনেট যাবে...এমনকি মুখের আহার পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হবে!