শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার ক্ষমতা হতে বিদায় নিলেই যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক তথা আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। দেশের চলমান অশান্তি অনেকটা ঘুমন্ত আগ্নেয়গীরির মত। ঘুমিয়ে থাকবে এবং জাতীয় নির্বাচন এলে তা নতুন করে বিস্ফোরিত হবে। সন্দেহ নেই মধ্যবর্তী নির্বাচন দিলে এ মুহূর্তে খালেদা জিয়ার নেত্রীত্বে ২০ দলীয় জোট ক্ষমতায় আসবে। ক্ষমতার প্রথম বছরটা যাবে তাদের প্রতিশোধ পর্ব সমাধা করতে। এবং সে পর্ব হবে ভয়াবহ এবং জাতীয় মিথ্যুক শেখ হাসিনার কার্বন কপি। যে র্যাব এবং পুলিশের অবৈধ ও নির্মম হত্যার শিকার হয়ে ২০ দলীয় জোটের নেতা বহু নেতা ও কর্মী প্রাণ হারিয়েছিল সেই র্যাবকে নতুন ভাবে ব্যবহার করবে ক্ষমতাসীন দল। যদিও আন্দোলন পর্বে জোট নেত্রী জোর গলায় দাবি জানিয়েছিলেন এই খুনি বাহিনী বিলোপের । সময় বদলাবে কিন্তু দাবি বদলাবেনা। বদলাবে শুধু এর দাবিদার। কথিত গণতন্ত্রের মানষকন্যা রাজপথ কাঁপিয়ে অনেকটা মৃত্যুপথযাত্রী বাংলার নবাব সিরাজউদ্দোলা কায়দায় র্যাবের নির্মমতা বর্ননা করে দাবি জানাবেন এই বাহিনী বিলোপের। বলাই বাহুল্য বেমালুম ভুলে যাবেন কবছর আগের নিজের পশুত্ব।
মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হবে, শেখ হাসিনা কি ২০ জোটের অধীনে নির্বাচন করতে রাজী হবেন? তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের মাধ্যমে তিনি নিজের জন্য যে ফাঁদ পেতেছেন সেখানে তাকে ধরা দিতেই হবে। পাশাপাশি বিএনপি ভুলেও মনে করবেনা তাদের রাজপথের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা। এ দাবি রাজপথ হতে মিলিয়ে যাবেনা। কেবল বদল হবে দাবিদার। নির্লজ্জ শেখ হাসিনা চেতনার ঘুড়িতে চড়ে আবারও ফিরে আসবেন তত্ত্বাবধায়ক দাবি নিয়ে। ঐশ্বরিক কায়দায় অস্বীকার করবেন গদিসীন হয়ে যে সব বুলি আউড়েছিলেন। বিএনপি কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলবে এবং শেখ হাসিনার করা আইনে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করার শপথ নেবে। উত্তাল হবে রাজপথ। আগ্নেয়গীরি হতে বিস্ফোরিত হবে লাল লাল লাভা। পেট্রোল বোমায় ঝলসে যাবে কচি কচি মুখ। পাশাপাশি চলতে থাকবে গুম আর অবৈধ হত্যার পৈশাচিকতা। আইজি ডিআইজির চেয়ারে বসবে নতুন নতুন মুখ এবং হুমকি ধামকিতে ফাটিয়ে দেবে গোটা দেশ।
এ মুহুর্তে কারও গায়ে পেট্রোল বোমা প্রাপ্য হয়ে থাকলে তা হবে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জনাব খায়রুল হক। যুদ্ধের মাঠে তিনি বৈধ টার্গেট।