মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের ইরাক আক্রমণের আসল কারণ কি এখন পর্যন্ত যৌক্তিক ভাবে কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। হরেক রকম কথা চালু আছে বাজারে । বামদের তত্ত্ব, দেশটার প্রাকৃতিক সম্পদ লুটের জন্যই নাকি ছিল যুদ্ধের প্রয়োজন। ডানদের ভাষ্য ইহজগৎ হতে ইসলামের নাম নিশানা মুছে ফেলার জন্যই এ যুদ্ধ। যদিও যুদ্ধ পরবর্তী দেশটার তেল প্রবাহ কোনভাবেই প্রমাণ করেনা বাম থিওরি। আর ইসলামের নাম নিশানা ফেলা দূরে থাক বরং দিন দিন তা বিধ্বংসী দাবানলের মত ছড়িয়ে পরছে মধ্যপ্রাচ্য সহ পৃথিবীর দেশে দেশে। কারণ যাই থাকুক না কেন, একটা সত্য চাইলেও বুশ প্রশাসন ঢাকতে পারেনি, আর তা হল, মিথ্যা।
বিশ্ব সংস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ে এই যুদ্ধবাজ রাষ্ট্র প্রধান লাগামহীন নির্লজ্জ মিথ্যা বলে গেছেন। Weapon of Mass Destruction (WMD)' এর ভূতুরে স্বপ্ন দেখে গোটা প্রশাসনকে লেলিয়ে দিয়েছিলেন যুদ্ধ ফেরি করতে। তারই ফলশ্রুতিতে রামসফেল্ড, কন্ডি রাইস এমনকি জেনারেল কলিন পাওয়েলের মত সৈনিককেও নামতে হয়েছিল মিথ্যার বেসাতিতে। ফলাফল, লণ্ডভণ্ড ইরাক, খণ্ড বিখন্ড মধ্যপ্রাচ্য, লাখ লাখ মৃত, কোটি কোটি গৃহচ্যুত অথবা গৃহহীন। ইরাকের প্রতি ইঞ্চি মাটি খুঁড়েও কোথাও WMD পাওয়া যায়নি। তাতেও ক্ষান্ত হননি জনাব বুশ। যুদ্ধের পক্ষে এখন পর্যন্ত সাফাই গেয়ে চলছেন ইরাকী জনগণের কথিত স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে। অবশ্য এমন গোয়েবলসীয় প্রচারণায় তিনি যে সমর্থক এবং গৃহপালিত দালাল সঙ্গী হিসাবে পাননি এমন নয়। আর তাই বিশ্বজয়ের মনোভাব নিয়ে গিয়েছিলেন বাগদাদ সফরে। আশা করেছিলেন দেশটার মানুষ সোনার চামচ দিয়ে বরণ করে নেবে তাকে। কিন্তু বাস্তবে ঘটলো তার বিপরীত। নিরাপত্তার কঠিন বলয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জনৈক ইরাকী সাংবাদিক জুতা ছুড়ে মারলো তার মুখে। ছোট্ট একটা প্রতিবাদ, কিন্তু তার মাঝে বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল গোটা ইরাকী জাতির মনোভাব। চোরের মত পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন বাগদাদ হতে।
তিন শহরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা ও তার সভাসদদের মিথ্যাচার এবং আস্ফালন কেন জানি মার্কিনীদের কথিত ইরাক বিজয়ের কথাই মনে করিয়ে দেয়। মিথ্যারও কিছু জাত থাকে। শেখ হাসিনা যে মিথ্যাচার শুরু করেছেন তা কেবল জাতপাতের অভাবই নয়, সাথে স্মরণ করিয়ে দেয় ক্ষমতা-লিপ্সু এক জাত চোরের কথা। দেশের সাধারণ নির্বাচনে চুরির 'সাফল্য'কে গণতান্ত্রিক ভোটের স্ট্যান্ডার্ড বানিয়ে শেখ হাসিনা ধরে নিয়েছেন এভাবেই দেশ চলবে। নির্বাচন আসবে এবং একদল পাগলা কুত্তা লেলিয়ে দিয়ে জয় করে নেবেন ভোটের রায়। এবং সাথে থাকবে নির্বাচন কমিশন নামের একদল বেশ্যার দালাল। এই মহিলার শেষ পরিণতি নেমে আসার আগে কাউকে না কাউকে কপাল বরাবর জুতা মারতে হবে। ক্ষমতার রঙ্গিন ফানুসে চড়ে তিনি অমরত্ব লাভের খোয়াব দেখা শুরু করেছেন। জুতা মেরে ফুটা করতে হবে সে ফানুস। তারপরই হয়ত নেমে আসবেন মাটির পৃথিবীতে।
উল্লেখ্য, বুশের প্রতি নিক্ষিপ্ত জুতার সাইজ ছিল মার্কিন হিসাবে ১০ নাম্বার।