১/১১'র আমলে বাংলাদেশের কতিপয় এলাকা কেবল নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের সীমানাই অতিক্রম করেনি বরং তা উচ্চ আয়ের সব সিঁড়ি ডিঙ্গিয়ে চলে গিয়েছিল পৃথিবীর অন্যতম ধনীর উচ্চতায়। ব্যক্তিগত ভাবে তা নিয়ে আমার গর্বের অন্ত ছিলনা। গোটা দেশ না হোক অন্তত বিশেষ কিছু এলাকা নিয়ে হলেও আমরা ঠাঁই নিয়েছিলাম বিত্তশালীদের সাথে। বলাই বাহুল্য এলাকার বাৎসরিক গড় আয় যে কোন হিসাবে ছিল পৃথিবীর সর্বোচ্চ। বলছিলাম ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোড ও কাশিমপুর সহ দেশের বেশ কটি জেলখানার কথা। ওখানে বন্দী ছিলেন এমন কজন বিশেষ ব্যক্তি যাদের বাৎসরিক আয় ও যদু মধু রামের মত অন্য বন্দীদের আয় এক করে গড় করলে তা চলে যেত মহাকাশে।
তো বিশ্বব্যাংকের হিসাবে (যার হিসাবেই হোক) আমরা এখন গরীব দেশ হতে নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশের সিঁড়িতে পা রেখেছি। বলার অপেক্ষা রাখে না গোটা দেশই এখন এক একটা নাজিম উদ্দিন রোড...এখানে একজন শেখ সেলিমের আয়ের সাথে ১০ লাখ যদু মধু রাম শ্যামের আয় গড় করলে নিশ্চয় নিম্ন মধ্যবিত্তের আয়ের সাফল্য পেতে বাধ্য। গড় অংকের বিবেচনায় আমাদের উচিৎ হবে বাকিদের কথা না ভেবে শেখ সেলিমদের আয় রোজগার বাড়ানোর দিকে নজর দেয়া। তাতে খুব শীঘ্র উন্নত বিশ্বের শীর্ষ দেশ গুলোর তালিকায় নাম লেখাতে সফল হব।