খাম্বা মামুনের কথা মনে আছে পাঠকদের? হ্যাঁ সেই খাম্বা মামুন স্থানীয় মিডিয়ার কল্যাণে যাকে আমরা খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ জন হিসাবে চিনেছিলাম। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছিল জনাব খাম্বার মাধ্যমেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র আর্থিক লুটপাটের পর্বটা সমাধা করতে অভ্যস্ত ছিলেন। বলা হত ইতিপূর্বে না শোনা কোটি কোটি টাকা লোপাটের লোমহর্ষক কাহিনী...স্বভাবতই আমার মত অনেক এম্যাচার ব্লগারের কাছে বাংলাদেশের তৎকালীন দুর্নীতির আইফেল টাওয়ার হিসাবে পরিচিত ছিলেন এই মামুন সাহেব। খালেদা জিয়া গংদের কুশাসন পর্ব টানলে স্বাভাবিক নিয়মেই চলে আসতো খাম্বা পর্ব। কম করে হলেও ২০টা লেখায় ধোলাই করেছিলাম খাম্বা গংদের অপকর্ম।
১৬ কোটি মানুষের যখন কাঁদার কথা তেমনি এক কারবালার মাসে পড়লাম বিস্ময়কর আরও এক কাহিনী। এ যাত্রায় BASIC ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর কাহিনী। তিনি মুজিব কোট পরেন। নিয়মিত টুঙ্গিপাড়ায় যান। মা জননীর অতি আপনজনদের একজন। এমন একজন কর-সেবক ব্যাংকের চেয়ারম্যান হবেন না তো আর কে হবেন! চেতনার বহুমূত্রে আক্রান্ত এই অতিমানবের পাঁচ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার কাহিনী বৈরী মিডিয়া এখন হাইলাইট করে প্রচার করছে। আমরা এম্যাচাররা আবারও পড়ছি। পড়ছি আর অংক কষছি... পাঁচ হাজার কোটি দিয়ে কটা খাম্বা কেনা সম্ভব। এবং তা দিয়ে কি গোটা দেশ ঢেকে দেয়া যায়না!সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানকে তিন বছরের জেল দেয়া হয়েছে কারণ তিনি দুদু মিয়াদের দুধ খাওয়ার দাওয়াতে সাড়া দেননি। একই দুদু মিয়া আব্দুল হাই বাচ্চুর পাঁচ হাজার কোটির পাঁচ টাকাও খুঁজে পায়নি। কারণ কি জানেন? কারণ দুদু মিয়া আর হাই মিয়ারা যে একই গাভীর দুধ একই পাত্র হতে পান করে ত্থাকেন। বলাই বাহুল্য চেতনার দুধ!