“আমার কাজ সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। আমার রাজনীতি সাধারণ মানুষের জন্য, নিজের জন্য নয়... জনগণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আছে।” “জনগণ চায়, তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হোক। আমি তাদের সেই চাহিদা পূরণেই কাজ করছি। খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও চাকরির ব্যবস্থা করছি।” - তা মানব উন্নয়নের এসব দায়িত্ব আপনাকে কে দিয়েছে মহাশয়া? জনগণ নাকি প্রতিবেশী দেশের বেনিয়ারা? কবি গুরুর দুই পাখি কবিতার খাঁচা বন্দী পাখি হয়ে আমরা উন্নতি দেখতে চাইনা। আমরা ফিরে পেতে চাই আমাদের স্বাধীনতা। হোক সে স্বাধীনতা কষ্টের... হোক তা আঁকাবাঁকা... হোক তা ঘাত প্রতিঘাতে ভরা। কিন্তু তাতে আছে মুক্তির স্বাদ। আছে প্রসারিত সবুজের মাঠ যেখানে বুক ভরে নিশ্বাস নিতে পারে এ দেশের মানুষ। মানুষের আসল মৌলিক অধিকার তার স্বাভাবিক জন্ম-মৃত্যু, তার বেঁচে থাকার স্বাধীনতা। আপনার গায়ে মানেনা আপনি মোড়ল ধাঁচের মানব উন্নয়নের বিষাক্ত থাবা আজ ঘরে ঘরে আঘাত হানছে। মানুষ মানুষকে খুন করছে পাগলা কুকুরের মত। জনগণের অর্থে লালিত পুলিশ, বিজিবি, র্যাব পাকিস্তানি মছুয়াদের মত নাঙ্গা হয়ে জনগণের পিছু নিচ্ছে। হত্যা, গুম, ব্লাকমেইলিংয়ের মত অপরাধ গুলো ক্যান্সারের হয়ে বাসা বাধছে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। আর আপনার চাটার দল চেটেপুটে খাচ্ছে ব্যবসা, বাণিজ্য, ব্যাংক, বীমা, শিক্ষা, বন-বাদর, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মন্দির সহ এ দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি।
বন্দুকের নলের মুখে জবাবদিহিতা-হীন ক্ষমতার পরিণতি কি তা জানতে আপনার বাবার ভাগ্য হতে শিক্ষা নিতে পারেন। আজ চাটার দল যতই বঙ্গবন্ধুর নামে মূর্ছা যাক না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবের মৃত্যুতে কেউ শোক করেনি। মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল। আপনার বিদায়ও হবে স্বস্তি-দায়ক। তবে আমরা চাইনা লাশ হয়ে আপনি বিদায় নেন। এ ধরণের বিদায় আপনাকে অমর করে রাখবে। যেমনটা করেছে আপনার পিতাকে। পাশাপাশি জনগণের ঘাড়ে জন্মদিন, মৃত্যুদিন সহ হরেক রকম দিন পালনের বোঝা চাপবে। সময় ফুরিয়ে যায়নি। জনগণের ম্যান্ডেট নিন। তারপর সেবিকার আসনে বসুন। যতদিন আপনি তা না করবেন অবৈধ ক্ষমতা-লিপ্সু স্বৈরশাসক হিসাবেই পরিচিত হবেন ইতিহাসের পাতায়।