বিশ্বজিত হত্যাকাণ্ডের উপর নিম্ন আদালত যেদিন রায় দিল সেদিন যেন বিপ্লব ঘটে গেল গোটা বাংলাদেশে। দালাল মিডিয়া, পোষ্য বুদ্ধিজীবী আর উচ্ছিষ্ট-খোর দলীয় নমশূদ্রের দল চেতনার পটকা ফুটিয়ে দেশবাসী বুঝাতে চাইলো জালিয়াতি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করলেও দেশের আদালতসমূহ এখন স্বাধীন। রায়কে কারবালা ট্রাজেডি বানিয়ে হাসান-হোসেনের দল প্রচারণা এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেল যেখান হতে আমাদের গেলানো হল অপরাধী যেই হোক তার কোন নিস্তার নেই। অবশ্য সেদিন আমার মত দুয়েক জন যে অন্যসূরে কথা বলেনি তা নয়। ছাত্রলীগ নামক তীর-বরকন্দাজদের গিলোটিনে দিয়ে জীবন কেড়ে নেবে এমনটা যারা বিশ্বাস করেছিল তারা হয়ত দলীয় বিশ্বাসের অন্ধভক্তি হতেই করেছিল। ৮ জনের ফাঁসি আর ১৩ জনের যাবজ্জীবন, চেতনার বেলুনে ঘুরে বেড়ানোর মোক্ষম উপকরণ। সেদিনই ভবিষৎবাণী করেছিলাম উচ্চ আদালত প্রায় সবাইকে ফাঁসি হতে রেহাই দিয়ে পলাতক ২/১ জনের রায় বহাল রাখবে। অনেকেই জামিন পেয়ে পালাবে। এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সোরগোল যখন থিতু হয়ে আসবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে একটা নথি যাবে উইথ নোটঃ বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের আসামীরা আসলে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার, যার মূলে রয়েছে বিম্পি-জামাতিরা। নীরবে নিঃশব্দে ওরা বেরিয়ে আসবে। যে দুজনের ফাঁসি হয়েছে তাদের নথি যাবে প্রেসিডেন্টের কাছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হতে একটা ফোন আসবে এবং প্রাক্তন কিশোরগঞ্জীয় ছাত্রলীগারের কলমের এক খোঁচায় ওরাও মুক্তি পাবে। সময় বয়ে যাবে এবং একসময় আসামীদের সবাই চলে আসবে রাজনীতির লাইম-লাইটে। ওরাও সাংসদ হবে এবং মমতাজের মত স্তুতি বন্দনার গান গাইবে। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড ওদের বায়োডাটার নতুন চাপটার উন্মোচন করবে...গর্বভরে উল্লেখ করবে প্রতিপক্ষ বিম্পি-জামাতিদের মোকাবেলা করতে গিয়ে ফাঁসির মঞ্চ পর্যন্ত গিয়েছিল। সব সম্ভবের এটাই বাংলাদেশ। এখানেই সরকারী স্পন্সরে প্রতিপক্ষকে পশুর মত কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না কোন প্রেক্ষাপটে বিশ্বজিত খুন হয়েছিল। আগের রাতে বড়ভাইদের সাথে গোপন বৈঠিকে ঠিক হয়েছিল ছাত্রলীগ পরদিন রাস্তায় প্রতিপক্ষের যাকে পাবে তাকেই কোপাবে এবং তাদের রক্ষার দায়দায়িত্ব নেবে সরকার। বিশ্বজিতকে হত্যা করাটা তাদের জন্য ছিল জরুরি। কারণ ক্ষমতার সিঁড়ি ডিঙ্গানোর জন্য ওরা সবাই মুখিয়ে ছিল। ২/১টা খুন এ সিড়ির গোড়া শক্ত করে কেবল।
আপনি আওয়ামী চেতনার অন্ধ ভক্ত হয়ে বিশ্বজিতের জন্য চোখের পানি ফেলবেন, তা হতে পারেনা।