খায়েশ প্রকাশ করতে খুব একটা সময় নেননি প্রায়ত মেয়রের ছেলে। প্রধানমন্ত্রী চাইলে নাভেদুল হক সাহেব রাজধানী-বাসীর সেবা করতে প্রস্তুত, এমনটাই জানিয়েছেন লাশ দাফনপূর্বক সংবাদ সম্মেলনে। চাইলে অনেক প্রশ্নই করা যায়। তবে সদ্য বাবা হারানো সন্তানকে কাঠগড়ায় দাড় করানোর সঠিক সময় এটা নয়। আমি বা আমরা দেরী করলেও যিনি বাবা হারিয়েছেন তিনি কিন্তু দেরী করেননি। হয়ত ভেবেছেন দেরী করলে কাঙ্ক্ষিত খায়েশটা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। রিপ্লেসমেন্টের প্রশ্নটা আসার আগেই জুনিয়র হক সাহেব নিজের ক্যান্ডিডেন্সিটা সাবমিট করে দিলেন। বাবা মারা গেলে সন্তান ওয়ারিশ সূত্রে অনেক কিছুই পায়, তবে মেয়র পদও যে তালিকায় থাকতে পারে এই প্রথম জানলাম। মেয়র পদও কি তাহলে প্রধানমন্ত্রীর দয়ার ভাণ্ডারে জমা থাকা অনেক আইটেমের অন্যতম আইটেম! জনাব হক সাহেবের কথায়তো তাই মনে হচ্ছে। এই খায়েশের মাধ্যমে তিনি কি মৃত পিতাকে অপমান করলেন না? তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি দয়ার দরিয়া এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তহস্তের দানের বদৌলতেই পিতা আনিসুল হক মেয়র হয়েছিলেন! সেখানে জনগণ বা ঢাকাবাসীর কোন সম্পৃক্ততা ছিলনা। লুটেরা সিন্ডিকেটের অংশ হয়েও মৃত আনিসুল হক জনগণের যে ভালবাসা পেয়েছেন তা উনার অবৈধ মেয়র পদের জন্য নয় তা বুঝতে সন্তান বোধহয় একটু দেরী করে ফেলেছেন। মরে গিয়ে আনিসুল হক আওয়ামী প্রেতাত্মা হতে মুক্তি পেয়েছেন, পাশাপাশি জনগণ ফিরে পেয়েছে তাদের প্রিয় টিভি উপস্থাপক আনিসুল হককে, ব্যবসায়ীরা কাছে পেয়েছে তাদের সহযোগীকে। শ্রদ্ধা আর ভালবাসার জোয়ারে ভাসিয়ে দেশবাসী জনাব আনিসুল হককে বিদায় জানিয়েছেন। সে ভালবাসায় মেয়র পদকে টেনে আনলে তা কলুষিত হতে বাধ্য।