খবরে প্রকাশ অল্প সময়ে দেশ হতে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া ৪৫০ কোটি টাকা উদ্ধারে নেমেছে বর্তমান সরকার। এই উদ্দেশ্যে ঐ দেশের তিনটি ল-ফার্মের সাথে চুক্তি করেছে। আমরা যারা চুরির হাতি-ঘোড়ার সাথে পরিচিত তাদের কাছে ৪৫০ কোটি টাকা গুলিস্তান বাসষ্ট্যান্ডে ভিক্ষুকদের একদিনের ভিক্ষার অংকের সমান মনে হতে বাধ্য! এই ছাইপাঁশ উদ্ধারে ৩টি ল-ফার্ম! তাও আবার মার্কিন মুলুকে!! এই অংক উদ্ধার করতে যদি দু'তিন বছর লেগে যায়, বলাই বাহুল্য এই তিন ফার্মের ফি হিসাবেই চলে যাবে ৪৫০ কোটি টাকার উপর। এখানেই জন্ম নেয় অন্য সন্দেহ! যে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হতে হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায় এবং চোর ভাসুরদের নাম পর্যন্ত মুখে নিতে সরকার বাহাদুরের লজ্জা লাগে, সেখানে ৪৫০ কোটির জন্য তিন ল-ফার্ম! কারা এসব ফার্মের মালিক? কি তাদের পরিচয়? আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি এই তিন ফার্মের পিছনে আছে আরও বড় বাঘ। রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় বেড়ে উঠা একদল ধূর্ত ও ক্ষুধার্ত দেশীয় বাঘ। এদের নাম মুখে আনতে গেলে অনেকের চেতনার মূত্রাশয়ে বহুমূত্র রোগ দেখা দেবে! অনেকে আবার খাম্বার সমীকরণে হালাল করবেন ৪৫০ কোটি উদ্ধারের নামে আরও হাজার কোটী লোপাট। অন্য এক খবরে দেখলাম ৩৪ বছর বয়স্ক জনৈক সিংগাপুরিয়ান নাগরিক ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ নারীর সাথে সংগম করে বিশ্বরেকর্ড করেছে। তাও চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগের পতিতালয়ের এক প্রতিযোগিতায়। দেশের রাজনীতিকে যদি পতিতালয়ের সাথে তুলনা করা যায় তাহলে বর্তমান আওয়ামী লুটেরাদের সাথে এই রেকর্ডের কোথায় যেন একটা প্যারালাল টানা যায়... অতি দ্রুত সময়ে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পশ্চাৎ-দেশ ভায়োলেট করার কাজেও বিশ্বরেকর্ড করেছে এই অনির্বাচিত সরকার। অভিনন্দন রাস্ট্রীয় খাঞ্জানিখানার সাথে সঙ্গম করার এই অভিনব পথ আবিস্কারের জন্য। অভিনন্দন চেতনার ফেরিওয়ালাদের!