কোথায় গেল এই কয়লা?

Submitted by WatchDog on Sunday, August 12, 2018

বড়পুকুরিয়া বলতে আমারা জানি কয়লাখনি। দিনাজপুরের এই জায়গাটা মূলত এর জন্যেই বিখ্যাত। দুর্নীতির অনেক কলংকিত অধ্যায় লেখা আছে এই খনির পরতে পরতে। সবকালে সব সরকারের অধীনে যারাই ওখানে হর্তাকর্তা হয়ে কাজে গেছে্ন তারাই আখের গুছিয়ে নিয়েছেন। নিশ্চিত করেছেন ১৪ গুষ্টির ১৪ প্রজন্মের আর্থিক সচ্ছলতা। 'উন্নতির'র ধারাবাহিকতায় খাম্বার জায়গা যেমন কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ভল্ট স্থান করে নিয়েছে, তেমনি আলীবাবা চল্লিশ চোরের লুটের গুহায় যোগ হয়েছে নতুন গুপ্তধন; কয়লা! খবরে প্রকাশ বড়পুকুরিয়া খনি হতে উত্তেলিত ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা গায়েব হয়ে গেছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ২২৭ কোটি টাকা (মাত্র!)। পাশের তাপ বিদ্যুতকেন্দ্রে এর প্রভাব পরতে খুব একটা সময় লাগেনি। কয়লার অভাবে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে। যথারীতি একজনকে ওএসডি, অন্য একজনকে সাময়িক চাকরিচ্যুতির মাধ্যমে 'কঠিন' ব্যবস্থা নিয়েছে উন্নতির জোয়ারে ভাসমান এই সরকা্র। অবশ্য দেশের মাথাপিছু গড় আয় নিয়ে যাদের বুক আসমানে উঠে যায় তাদের জন্য এই লুট অবশ্যই সুসংবাদ। খনির দুই ম্যানেজারের এই টুপাইস ইনকাম নিশ্চয় যোগ হবে দেশের গড় আয়ে। হিসাবটা আরেকটু সহজ করে দেই। এই যেমন ধরুন ১০০ জনের একটা গ্রাম। ঐ গ্রামের ৯৮ জনের সবাই মাসে দুই হাজার টাকা করে আয় করে। বাকি দুইজনের একজন এমপি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এই দুই জনের মাসিক আয় ১০ লাখ করে। গড় নির্নয়ের ফর্মুলার সাথে পরিচয় থাকলে আপনারা নিজেরাই করে নিন ঐ গ্রামের প্রতিজনের মাসিক ইনকামের হিসাব! ঐ গ্রামের আয়-রোজগার নিয়ে কেউ যদি গর্বে মহাকাশে চলে যায় আপনি কি দোষ দিতে পারবেন? এখানে একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে সবাই কৌতুহলি হবে;

https://www.thedailystar.net/…/%E0%A7%A7%E0%A7%AA%E0%A7%A8-…

ভালো লাগলে শেয়ার করুন