১৫ টাকার সীটে থেকে ৩৮ টাকার খাবার খেয়ে ছাত্ররা লাফালাফি করার সাহস কোথায় পায় তা জানতে চেয়েছেন আমাদের স্বনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। এমনটা তিনি বলতেই পারেন। কারণ এসব বলার অধিকার উনাকে আদালতই নিশ্চিত করে দিয়েছেন (রং-হেডেড)। এবার আসুন ইতিহাসের পাতা উলটে চলে যাই একই ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে, যেখানে উনার পিতা এক সময় ২ টাকার সীটে থেকে নামমাত্র মূল্যের খাবার খেয়ে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের জন্য আন্দোলন করেছিলেন। ঐ কারণে উনাকে বিশ্ববিদ্যালয় হতে বহিস্কারও করা হয়েছিল (কেউ হাতুড়া দিয়ে পেটায়নি)। ২, ১৫ অথবা ৩৮, সবাটাই জনগণের টাকা। কারও পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত পারিবারিক সম্পত্তি নয়। পাবলিক ট্যাক্স দেয়, পাবলিক বিদেশ পাড়ি দিয়ে পশুশ্রমের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠায়। একই পাব্লিককে বিশ্বদরবারে পরিবেশনের মাধ্যমে হয় খয়রাতি অথবা ধারের মাধ্যমে সরকারী কোষাগার পূর্ণ করা হয়। একই কোষাগার হতে স্বনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কেবল বেতনই হয়ন, ওখান হতে সদলবলে লুটেরও আয়োজন করা হয়। যাদের সম্পূরক বাজেট সম্পর্কে সম্যক ধারণা আছে তাদের জানা থাকা উচিৎ বিনাভোটের পার্লামেন্ট এবার প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিলে অতিরিক্ত ৩৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ তেনার খরচের হাত এতটাই উদার কখন কিভাবে অতিরিক্ত ৩৫০০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছেন বুঝতেই পারেননি।
আমাদের রাজতন্ত্রীয় সিংহাসনের ৩নং দাবিদার জনাবা শেখ রেহানার স্বামী জনাব সিদ্দিকি সাহেবের এক সময় ব্রেন টিউমার অপসারণ জরুরি হয়ে পরেছিল। সদ্য নির্বাসিত জীবন হতে দেশে ফিরেছেন। হাত খালি। প্রয়োজনীয় অর্থ যোগানোর জন্যে দুয়ারের দুয়ারে ধর্ণা দিয়েছিলেন। কেউ কথা রাখেনি এক দরবেশ বাবা সালমান রহমান বাদে। জানতে ইচ্ছে করে কি এমন আলাদিনের প্রদীপ পেয়েছেন যা ঘষে তিনি ইতিমধ্যে লন্ডন শহরে আবাসন গেড়েছেন! বিশাল কোন চাকরি করেন? আলীশান ব্যবসা? পৈত্রিক সম্পত্তিতে গুপ্তধন আবিস্কার?
১৫ টাকার সীট আর ৩৮ টাকার ভোক্তারা খেটে খাওয়া পরিবার হতে আসে। তাদের নিয়ে বিদ্রুপ আর অবজ্ঞা করার আগে আয়নায় নিজের চেহারাটা ভাল করে দেখে নিলে অনেক প্রশ্নের উত্তর সহজ হয়ে যাবে।