রাজনৈতিক বিভাজন আমাদের দেশকে বিভক্তির শেষপ্রান্তে টেনে এনেছে সন্দেহ নেই। এই টানাটানির ফল এখন আমদের চোখের সামনে। গোটা দেশ ডুবে আছে পানির নীচে। মরণঘাতী মশার কাছে মানুষ পরাজিত। দুর্ঘটনায় মৃত্যু এখন কোন খবরই না। ছয় মাসের শিশু হতে ৭০ বছরের বৃদ্ধা ধর্ষণের সাথেও আমরা খাপ খাইয়ে নিচ্ছি। কোথাও এমন কোন খবর নেই যা নিয়ে মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারে। জীবনের সব সঞ্চয় নিঃশেষ করে পিতা তার সন্তানকে পাঠাচ্ছে বিদেশ। সে ভূমধ্য সাগরে লাশ হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। একটু সচ্ছলতার আশায় স্বামী তার স্ত্রীকে পাঠাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। ওখানে ওরা আরব ধনকুবের হাত লাঞ্ছিত, নির্যাতিত, ধর্ষিত হচ্ছে মধ্যযুগের ক্রীতদাসদের মত। এমিড এভ্রিং থিং, আমাদের রাজনীতিবিদের মুখে নির্বিবাদে চলছে মিথ্যাচারের জোয়ার।
ডেঙ্গু নাকি মিথ্যা... তাতেও কি বিরোধীদলের হাত আছে
বন্যার খবর নাকি অতিরঞ্জিত
উন্নয়নের মহাসড়কের কাহিনী নাকি সঠিকভাবে প্রচারিত হচ্ছেনা।
কিন্তু হায়! দিনশেষে একদিনেই নাকি ২৭ হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে যায় শেয়ার মার্কেট হতে। হবে হয়ত এটাও বিরোধী দলের মিথ্যাচার। তবে একজন বিনিয়োগকারী যার ক্ষতি হয়ে গেল, তাকে কি গেলানো যাবে মিথ্যাচারের এ বিষ?
সুশাসনের অভাব এখন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে মানুষ খুন করা হচ্ছে কেবল রাজনৈতিক মতভেদের কারণে। ক্ষমতার ডানায় ভর করে শিশুদের গলা কাটছে। পুলিশ ঘর হতে উঠিয়ে নিচ্ছে মা-বোনদের। মফস্বলের একজন সাংবাদিক আমাকে ম্যাসেজ দিয়ে জানালেন তাদের অবস্থা। সরকারী দলের কেউ খুন করলে থানা হতে ফোন আসে তাদের কাছে। আসে খবর ছাপালে বাবার নাম মনেকরার স্মৃতিশক্তি কেড়ে নেয়ার হুমকি।
ছবিটা দেখুন! কক্সবাজারের চকোরিয়ার এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী অস্ত্র উঁচিয়ে নিজের দম্ভ প্রকাশ করেছে ফেইসবুকে। ক্যাপশন ছিল, সাবধান, ডাইরেক্ট একশন হবে। এই একটা ছবিই তুলে ধরে বাংলাদেশের সমসাময়িক আর্থ-সামাজিক অবস্থা। রাজনৈতিক ক্ষমতা মানুষকে কতটা পশুত্বের পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারে এই ছবি তার নিষ্ঠুর প্রমাণ। ইউনিয়ন পর্যায়ের ছাত্রের কাছে যদি এ ধরণের অস্ত্র থাকতে পারে, তাহলে আন্দাজ করা যায় আরও উপরের নেতাদের অবস্থা। গোটা দেশ এখন একটা এখন ভাগাড়। জাতি এখানে লাশ হয়ে শুয়ে আছে। ক্ষমতাসীনরা এ লাশ চেটেপুটে খাচ্ছে।
ডেঙ্গু হতে বাচতে চান? - তাহলে আগে জবাবদিহিতা চান
জবাব দিহিতা চান? - তাহলে আগে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করতে শিখুন
আইনের শাসন চান? - তাহলে ছবির এ নেতাকে দিয়েই শুরু করতে বলুন।