তেলের দামটা বাড়ানো খুবই জরুরি। বিশেষ করে সৌদি রাজপরিবারের জন্যে। অনেকে ঠাট্টা করে বলেন জুয়ার আসরে হাইস্টেক বেট দূরে থাক, ব্রোথালে ব্যবহারের জন্যে ভাল জাতের কনডম কেনার অর্থেও নাকি টান পরেছে সৌদি যুবরাজদের। তাই তারা দ্বারস্থ হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের দরবারে। রাজপরিবারের সাথ ট্রাম্পের সুসম্পর্কটা অনেক দিনের পুরানো। এই রিয়েল এস্টেট মোগলের পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে তোলা হেরেমখানার ১ং গেস্ট সৌদি রাজপরিবার। পয়সার পরোয়া নেই, যেখানেই যান হাতে পায়ে দেদারসে উড়ান। ১ ডলারের রুম ১০০ ডলারে ভাড়া করতেও কার্পন্য করেন না। স্বভাবতই ট্রাম্প পরিবারের সবাই সৌদি রাজপরিবারের উপর বেজায় খুশি।
প্রেসিডেন্ট বনে প্রথম যে দেশটায় তিনি প্রথম ভ্রমণ করলেন তা হলো সৌদি আরব। হাতে তরবারি নিয়ে বাংলাদেশি হাসমতের মত খেমটা নাচ নাচলেন আলখেল্লা পরিহিত সৌদিদের সাথে। একই ট্রাম্প ক্ষমতার প্রথম প্রহরে এসে ঘোষণা দিলেন পরবর্তী সিদ্বান্ত না দেয়া পর্যন্ত যুক্তরাস্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ব থাকা উচিৎ। এবং তা হতে ৯/১১ হামলার ২১ জন সন্ত্রাষীর ১৯ জনের জন্মস্থান সৌদি আরবকে অব্যাহতি দিলেন।
ওবামা প্রশাসনের সিদ্বান্ত মোতাবেক বিশ্ব তেলের বাজারে এখন মার্কিন তেল ঢুকছে এবং এর দামকে নিয়ন্ত্রন করছে কঠোরভাবে। তার ফলেই ব্যারেল প্রতি তেলের দাম কমছে হু হু করে। কোনঠাসা হয়ে পরছে বিশ্ব জুয়ার আসর ও বেশ্যালয়ের প্রধান ভোক্তা সৌদি রাজপরিবারের কুলাঙ্গার সদস্যবৃন্দ। পাশাপাশি ভেনিজুয়েলার মত অনেক ছোট দেশও ভুগতে শুরু করেছে।
ইরান ও সৌদি আরব একে অপরের ভয়াবহ শত্রু। রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে সৌদি রাজাদের যে পৈশাচিকতা তার পথে অন্যতম বাধা ইরানী সরকার ও তার জনগণ। শত সমস্যার মাঝেও ইরান একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ফেয়ার ও ফ্রী ইলেকশনের মাধ্যমেই সেখানে সরকার আসে আর যায়। এখানেই ভয় সৌদি কসাইদের। ১৪ বছরের এক কিশোরকে তারা শিরচ্ছেদ করতে চেয়েছিল আরব বসন্তের প্রতিবাদে সাইকেল মিছিল করার জন্যে।
ইরান নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইদানিং যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার মূলে রয়েছে সৌদি আরব। তারা এখানে এক ঢিলে দুই পাখী মারতে চাইছে। প্রথমত, যুদ্ধ বাধিয়ে তেলের বাজার অস্থির করা এবং পাশাপাশি শক্তহাতে ইরানী প্রভাব নিয়ন্ত্রন করা।
নিশ্চিতভাবে এই চক্রে সক্রিয় আছে ইসরাইল। তবে দেখার বিষয় সামনের নির্বাচনে জিততে চাইলে ডোনাল্ড ট্রাম্প কতদূর যাবেন। একটা ব্যপার নিশ্চিত, মার্কিন জনগনকে এখন আর যুদ্ধের ট্যাবলেট গেলানো যাবেনা।