ক্রিকেট বাংলাদেশের বর্তমানে যে হালনাগাদ তাতে সাকিব আল হাসান থাকলেও যা, না থাকলেও তাই। মাঠের খেলায় বড় কোন তারতম্য হবেনা। দেশীয় ক্রিকেটের মান এখন দক্ষিনমুখী। গেল বিশ্বকাপ হতে যার শুরু তার শেষ কোথায়,এর নত্মুনা কিছুটা হলেও মিলছে ইদানিংকালের ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ও তার তড়িঘড়ি ফলাফল হতে। ক্রিকেটাররা দাবী তুললো আর তা ওভারনাইট সমাধা হয়ে গেল, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যা ছিল একেবারেই অস্বাভাবিক। শেখ হাসিনার মত একজন প্রতিশোধপরায়ন মহিলা এত সহজে একটা বিদ্রোহ মেনে নেবেন তা হবার ছিলনা। আসলেও তা হয়নি! ডাল মে কিছু যে কালা ছিল তা আগেই বুঝা গিয়েছিল। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের তিনি গৃহপালিত, প্রভুভক্ত কুকুর-বিড়াল বলেই জানতেন। অসময়ে এসব কুকুর-বেড়ালদের বিদ্রোহ নিশ্চয় তিনি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি। শেখ হাসিনার ডিফেন্সিভ শট দেখেতেই বুঝা গিয়েছিল চার-ছক্কার ঝাড় আসছে।
পালের গোদাটাকে উপড়ে ফেলেই তিনি মেসেজটা পৌঁছে দিয়েছেন বাকিদের কাছে। আমার সন্দেহ ভারত সফরের পর পারফরমেন্সের দোহাই দিয়ে বাকি অনেকের কোমর ভেঙ্গে দেবেন। আপনি বলবেন পালের গোদা সাকিব আল হাসানকে তো আইসিসি শাস্তি দিয়েছে, তাতে হাসিনা-পাপন গংদের সংপৃক্ততা কোথায়? কথায় যুক্তি আছে। তবে প্রশ্ন উঠবে শাস্তির টাইমিং নিয়ে। সাকিব আক্ল হাসান ঢাকা ডায়নামাইটস এবং হায়দরাবাদ সানরাইজার্সের হয়ে খেলেছে্ন এক বছরেরও আগে। আইসিসি নিশ্চয় তাদের তদন্ত হঠাৎ করে শুরু করে তাৎক্ষণিক রায় দেয়নি! এর জন্যে নিশ্চয় সময় লেগেছে এবং তা হাসিনা-পাপন গংদের জানা ছিল।
এবং তারাই হয়ত ঠেকিয়ে রেখছিল চূড়ান্ত সিদ্বান্ত। এবং তা ততদিন পর্যন্ত যতদিন পোষ্য গ্ররহপালিত পায়রার দল তাদের হয়ে গান গাইছিলো। যেদিন চেতনার গান বেসুরা গলায় গাইতে শুরু করল , সেদিনই উঠে গেল প্রটেকশন। আগ বাড়িয়ে আমি বলবো পাপন সাহেব নিজেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আইসিসিকে। অন্যের কাধে বন্দুক রেখে সাকিবের মত মেগাস্টারকে বুঝিয়ে দিলেন পোষ্যদের শাস্তি কতটা নির্মম হতে পারে।
সাকিব আল হাসানের শাস্তিটা আমার কাছে খালেদা জিয়ার শাস্তির কথাই মনে করিয়ে দেয়। দুই কোটি টাকার এক টাকাও যার পকেটে যায়নি তাকে আদালতের কাধে বন্ধুক রেখে চীরতরের জন্যে ধরাশায়ী করে ফেলেছেন। কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে বাংলাদেশের স্বৈরাচারী সরকার প্রধান দোহাই দেন আদালতের। বলেন...আমি তো শাস্তি দেননি, শাস্তি দিয়েছে দেশের নিম্ন উচ্চ, দুই আদালত। অথচ দেশের একটা ভেড়াও জানে এই শাস্তির পিছনে পাহাড় হয়ে কে দাঁড়িয়ে আছেন। সাকিবেরও একই হাল। তাকে তো হাসিনা সরকা।।শাস্তি দেয়নি, দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল! এই দুই প্রশ্নের উত্তর একজনের মুখ হতে শুনতে চাইলে আমাদের চোখ, কান ও মুখ ফেরাতে হবে দেশ হতে বিতারিত প্রধান বিচারপতি সিনহা বাবুর দিকে।
আজকের দিনে একজনকে খুব মিস করছি। তিনি হলেন লোকান্তরিত আওয়ামী নেতা বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। মনে আছে তেনার কথা...বাঘে ধরলে বাঘে ছাড়ে, শেখ হাসিনায় ধরলে ছাড়েনা। সাকিব আল হাসানকে আইসিসি ধরেনি, ধরেছেন শেখ হাসিনা নামের হিংস্র বাঘ।