প্রবাসীদের নিয়ে দেশে আতংক বাড়ছে। অনেক জায়গায় তাদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ডেস্পারেট সময়ের ডেস্পারেট সিদ্ধান্ত! করোনা মহামারী ঠেকাতে সরকারের উপর বিশ্বাস রাখার কোন কারণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। একদিক সরকারী প্রোপাগান্ডা মেশিনের বলদ ওকা চৌধুরী, অন্যদিকে মুফতি ইব্রাহিমের মত ধর্ম ব্যবসায়ীরাই ডমিনেট করছে করোনার মাঠ। এখানে ব্লেইম গেম খেলার অনেক সুযোগ আছে। কারণ বাংলাদেশ আর দশটা দেশের মত দেশ নয়। এখানে করোনা রুগীকে এক নজর দেখার জন্যে শত শত মানুষ যেমন ভিড় জমায়, তেমনি ভাইরাসের রুগী হাসপাতালে ভর্তি হলে ভয়ে ডাক্তার তার কর্মস্থল ছেড়ে পালায়। এসব বিবেচনা মাথায় নিয়ে আতংকিত সাধারণ মানুষ যদি তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে, বাড়ি-ঘরে প্রবাসীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয় খুব কি অন্যায় হবে? প্রবাসীরা রেমিটেন্স যোদ্ধা, দেশের ক্ষয়িষ্ণু অর্থনীতির অক্সিজেন, ব্লা...ব্লা...ব্লা, এমন অনেক কিছুই দাবি করতে পারি। সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু বিদেশ হতে দেশে ফিরে ১৫ দিনের জন্যে নিজকে আইসোলেশনে রাখা কি খুব অন্যায় দাবি? এয়ারপোর্টে নেমে প্রবাসী অনেকের হম্বি তম্বি, দেশ ও জাতি নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের সাথে কি আমরা পরিচিত নই? গোট বিশ্ব একটা হেলথ ক্রাইসিসে আছে। ছোঁয়াচে এই রোগের হাত হতে রেহাই পাওয়ার অন্যতম উপায় হতে পারে আক্রান্ত ব্যক্তি হতে দূরে থাকা।
আমি চাঁদের দেশের বাসিন্দা হয়েও যদি উগান্ডায় বেড়াতে আসি, উগান্ডার আইন মেনেই বেড়াতে আসতে হবে। বিশেষকরে আপদ-কালীন সময়ে। আমার মত প্রবাসীদের জানা আছে উগান্ডার প্রধানমন্ত্রী খাজাবাবার দয়ার দান। তার মন্ত্রীরা ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার দল...। এ মুহূর্তে এসব বলে কি করোনাভাইরাসের মত যমদূতদের ঠেকানো যাবে?
বিদেশে থাকতে গেলে আইন কানুন মেনেই থাকতে হয়। এবং অলমোষ্ট সব বাংলাদেশিরা বিদেশে সুনাগরিক। কিন্তু দেশের মাটিতে পা রাখা মাত্র তারা কেন আইন অমান্যকারী 'নবাবজাদা' বনে যায় সেটাও গবেষণার বিষয়। খবরে প্রকাশ, জনৈক বিদেশ ফেরত উগান্ডা-বাসীকে কোরেন্টাইনের ভয় দেখিয়ে উগান্ডার পুলিশ এক লাখ টাকা সালামি দাবি করেছে।
দেশটার সমস্যা বহুমুখী। কিন্তু এসব নিয়ে তর্ক করার এটা কি উপযুক্ত সময়?
ছবি: খায়রুল হাসানের দেয়াল হতে