অনিশ্চয়তা হতে জন্ম নিচ্ছে ভয়। এবং এই ভয় গ্রাস করে নিচ্ছে গোটা সমাজ। নিরাপত্তার জন্যে স্কুল কলেজ বন্ধ। সব ধরণের স্পোর্টিং ইভেন্টে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কনসার্ট হল গুলোতে পিনপতন নীরবতা। নতুন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জগত সংসারের চেহারায় এখন বিষাদের ছায়া। মানুষ জানেনা কেমনটা হবে আগামীকালের ভোর।
সবাই স্টক করছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। দেখাদেখি আমিও গেলাম স্থানীয় Costco'তে। এক সপ্তাহের আগের দেখা দোকানটার সাথে আজকে দোকানের কোন মিল নেই। আকাশ পাতাল পার্থক্য। সেলফগুলো ফাঁকা। উপচেপরা পণ্যের ভাণ্ডার এখন অনেকটাই স্মৃতি। ইচ্ছে ছিল বেশকটা চিকেন কিনে স্টক করবো খারাপ সময়ের জন্যে। কিছুই নেই ওখানে। থরে থরে সাজানো চালের বস্তার রেকগুলোতে শোভা পাচ্ছে কুকুর-বেড়ালের খাবার। দুই পাউন্ড চিনির বদলে কিনতে হল পঁচিশ পাউন্ডের বস্তা। টয়লেট পেপার নাকি এক সপ্তাহ আগেই সবাই তুমুল হৈ চৈ'এ শেষ করে ফেলেছে। দু'প্যাকেট তেলাপিয়া মাছ, সাথে দু'প্যাকেট গরুর মাংস ও অতিরিক্ত ক'প্যাকেট ডিম কিনে বাসায় ফিরে এলাম। রাস্তায় মানুষ নেই। নিয়মিত ট্রাফিক জ্যামের বদলে খোলামেলা ফ্রীওয়ে। পেট্রোলের দাম নিম্নমুখী। এ এক নতুন বাস্তবতা, যা নীরবে মেনে নেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। কংগ্রেস ৫০ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন দিয়েছে করোনাভাইরাস মোকাবেলার যুদ্ধে। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যপার হল এই ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোন চিকিৎসা নেই। সতর্কতা ও ল্যাব-টেস্টই একমাত্র উপশম ও সান্ত্বনা।
এ সময়টা যদি ভালবাসার কোন গল্প লিখতে পারতাম...শিরোনাম দিতাম...লাভ ইন টাইম অব করোনাভাইরাস... অনেকটা গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের Love in time of cholera'র মত।
জল ডাকে আগুনও টানে
আমি পড়ি মধ্যিখানে...